ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

ঠাকুরগাঁয়ে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস

  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। দাম কমলেও খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। বছরের শুরুতেই তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম কমেছে। ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়ায় এক হাজার ১৭৮ টাকায়। কিন্তু জেলা পর্যায়ের খুচরা বাজারে এর সুফল এখনও ভোগ করতে পারছেন না ক্রেতারা।
গতকাল মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ি বাজার ঘুরে দেখা যায়, নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপি গ্যাস। আগের মূল্যেই গ্যাস কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। শহরের কয়েকজন গ্যাসের পরিবেশকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারাই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ১ হাজার ১৭৮ টাকা দরে গ্যাসের সিলিন্ডার দিচ্ছেন। খুচরা বিক্রেতারা আবার এর চেয়ে কিছুটা বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছেন। ফলে ভোক্তারা ১ হাজার ১৭৮ টাকায় গ্যাস পাচ্ছেন না।
ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, ভোক্তা পর্যায়ে বসুন্ধরা ও ওমেরা এলপি গ্যাসের ১২ কেজির মূল্য ১ হাজার ২৫০ টাকা, যমুনা ও লাফস ১ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু ১২ কেজি গ্যাস ছাড়াও সাড়ে ৫ কেজি, ১৫ কেজি, ২০ কেজি, ৩০ কেজি, ৪৫ কেজির দামও আনুপাতিক হারে বেশি টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতার
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওমর ফুডের কর্ণধার ফারুখ বলেন, ডিলাররা পাইকারি বিক্রি করে, কিন্তু আমরা খুচরা বিক্রি করি। সেই কারণে পাইকারি কিনে বিক্রি করতে গেলে দামের একটু পরিবর্তন হয়। আমাদের পরিবহন খরচ থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য খরচ আছে। তাই আমরাই যখন ১ হাজার ১৭৮ টাকায় কিনছি, তখন এ দামে ভোক্তাকে দেওয়া সম্ভব নয়।
যমুনা গ্যাসের পরিবেশক বলেন, ‘আমরা পাইকারি হিসাবে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ১ হাজার ১৭৮ টাকায় গ্যাস বিক্রি করছি। খুচরা বিক্রেতারা কত টাকায় বিক্রি করছেন তা জানি না, সেটা আমাদের জানার দরকারও নেই।
কথা হয় শহরের কালিবাড়ি বাজারে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে আসা তানভীর হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, শুনেছি সিলিন্ডারের দাম কমেছে। তাই ভেবেছিলাম আজ হয়তো কিছুটা কমে কিনতে পারবো। কিন্তু বাজারে এসে দেখলাম আগের পরিস্থিতি আছে এখনও।
গত সোমবার ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার প্রতি এলপি গ্যাসের দাম ৫০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিইআরসি। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকেই কার্যকরের কথা বলা হয়। এ দিন থেকে ১ হাজার ১৭৮ টাকায় ভোক্তারা সিলিন্ডার কিনতে পারার কথা। কিন্তু ঠাকুরগাঁও সহ রংপুর বিভাগীয় জেলা শহরগুলোতে এর কোনো প্রভাব পরেনি।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে যদি কেউ বেশি দামে গ্যাস বিক্রি করে তাহলে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঠাকুরগাঁয়ে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। দাম কমলেও খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। বছরের শুরুতেই তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম কমেছে। ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়ায় এক হাজার ১৭৮ টাকায়। কিন্তু জেলা পর্যায়ের খুচরা বাজারে এর সুফল এখনও ভোগ করতে পারছেন না ক্রেতারা।
গতকাল মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ি বাজার ঘুরে দেখা যায়, নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপি গ্যাস। আগের মূল্যেই গ্যাস কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। শহরের কয়েকজন গ্যাসের পরিবেশকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারাই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ১ হাজার ১৭৮ টাকা দরে গ্যাসের সিলিন্ডার দিচ্ছেন। খুচরা বিক্রেতারা আবার এর চেয়ে কিছুটা বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছেন। ফলে ভোক্তারা ১ হাজার ১৭৮ টাকায় গ্যাস পাচ্ছেন না।
ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, ভোক্তা পর্যায়ে বসুন্ধরা ও ওমেরা এলপি গ্যাসের ১২ কেজির মূল্য ১ হাজার ২৫০ টাকা, যমুনা ও লাফস ১ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু ১২ কেজি গ্যাস ছাড়াও সাড়ে ৫ কেজি, ১৫ কেজি, ২০ কেজি, ৩০ কেজি, ৪৫ কেজির দামও আনুপাতিক হারে বেশি টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতার
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওমর ফুডের কর্ণধার ফারুখ বলেন, ডিলাররা পাইকারি বিক্রি করে, কিন্তু আমরা খুচরা বিক্রি করি। সেই কারণে পাইকারি কিনে বিক্রি করতে গেলে দামের একটু পরিবর্তন হয়। আমাদের পরিবহন খরচ থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য খরচ আছে। তাই আমরাই যখন ১ হাজার ১৭৮ টাকায় কিনছি, তখন এ দামে ভোক্তাকে দেওয়া সম্ভব নয়।
যমুনা গ্যাসের পরিবেশক বলেন, ‘আমরা পাইকারি হিসাবে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ১ হাজার ১৭৮ টাকায় গ্যাস বিক্রি করছি। খুচরা বিক্রেতারা কত টাকায় বিক্রি করছেন তা জানি না, সেটা আমাদের জানার দরকারও নেই।
কথা হয় শহরের কালিবাড়ি বাজারে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে আসা তানভীর হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, শুনেছি সিলিন্ডারের দাম কমেছে। তাই ভেবেছিলাম আজ হয়তো কিছুটা কমে কিনতে পারবো। কিন্তু বাজারে এসে দেখলাম আগের পরিস্থিতি আছে এখনও।
গত সোমবার ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার প্রতি এলপি গ্যাসের দাম ৫০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিইআরসি। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকেই কার্যকরের কথা বলা হয়। এ দিন থেকে ১ হাজার ১৭৮ টাকায় ভোক্তারা সিলিন্ডার কিনতে পারার কথা। কিন্তু ঠাকুরগাঁও সহ রংপুর বিভাগীয় জেলা শহরগুলোতে এর কোনো প্রভাব পরেনি।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে যদি কেউ বেশি দামে গ্যাস বিক্রি করে তাহলে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।