ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ের আম যাচ্ছে ইউরোপে

  • আপডেট সময় : ১২:০৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • ১৯৪ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের আম। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের লাভের পাশাপাশি সমৃদ্ধ হচ্ছে জেলার ও দেশের অর্থনীতি। আর এ রপ্তানির মাধ্যমে ভবিষ্যতে মানসম্মত আম বিদেশে রপ্তানির পথ সুগম হবে বলে আশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
ঠাকুরগাঁও জেলায় ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন রকম সবজি ও ফল উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত পণ্য জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবারে দ্বিতীয়বারের মতো আম্রপালি, বানানা ম্যাংগো ও বারি আম-৪ জাতের আমসহ বিভিন্ন জাতের আম ইউরোপে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। মানসম্মত আম উৎপাদন, ন্যায্যমূল্য ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে এ জেলা থেকে এ বছর বিপুল পরিমাণ আম রপ্তানি হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। নিজের বাগানের উৎপাদিত আম ইউরোপে রপ্তানি করতে পেরে খুশি বাগান মালিকরা। বাগান মালিক আকরাম মিয়া বলেন, আমার বাগানের আম বিদেশে পাঠাতে পেরে আমি অনেক গর্বিত। এই জেলার আম অনেক সুস্বাদু। আম রপ্তানি হলে জেলায় আম চাষ আরও বাড়বে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেড লিংকের সিইও কাওসার আহমেদ রুবেল বলেন, ঠাকুরগাঁয়ের আম রপ্তানি উপযোগী বলে আমরা মনে করি। তাই দ্বিতীয়বারের মতো এই জেলা থেকে আম আমদানি করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি আম চাষিরা আমাদের গুণগত মানসম্পন্ন আম সরবরাহ করবে। তাহলে বিদেশে আমাদের আমের চাহিদা বাড়বে সেই সঙ্গে আমের বাজার আরও প্রসারিত হবে। রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আরিফুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবারে দ্বিগুণ আম রপ্তানি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বছরে প্রকল্পের শুরু হলো, আর এবারে ঠাকুরগাঁওয়ের আম ইউরোপের বাজারে যাবে। এর মাধ্যমে বাগান মালিকদের পাশাপাশি এ শিল্পে যারা আছেন তারা সবাই লাভবান হবেন বলে আশা করছি। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপে আম পাঠানো হবে। আর ক্রমান্বয়ে জেলায় আম বাগান বাড়ছে। রপ্তানির মাধ্যমে চাষিরা অধিক মূল্যের পাশাপাশি স্থানীয় শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এতে করে জেলার অর্থনীতির পরিবর্তন আসবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার আম বাগানি একরাম বাগান পরিদর্শন করেন কৃষি সম্প্রসারণের প্রতিনিধিরা।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঠাকুরগাঁওয়ের আম যাচ্ছে ইউরোপে

আপডেট সময় : ১২:০৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের আম। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের লাভের পাশাপাশি সমৃদ্ধ হচ্ছে জেলার ও দেশের অর্থনীতি। আর এ রপ্তানির মাধ্যমে ভবিষ্যতে মানসম্মত আম বিদেশে রপ্তানির পথ সুগম হবে বলে আশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
ঠাকুরগাঁও জেলায় ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন রকম সবজি ও ফল উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত পণ্য জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবারে দ্বিতীয়বারের মতো আম্রপালি, বানানা ম্যাংগো ও বারি আম-৪ জাতের আমসহ বিভিন্ন জাতের আম ইউরোপে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। মানসম্মত আম উৎপাদন, ন্যায্যমূল্য ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে এ জেলা থেকে এ বছর বিপুল পরিমাণ আম রপ্তানি হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। নিজের বাগানের উৎপাদিত আম ইউরোপে রপ্তানি করতে পেরে খুশি বাগান মালিকরা। বাগান মালিক আকরাম মিয়া বলেন, আমার বাগানের আম বিদেশে পাঠাতে পেরে আমি অনেক গর্বিত। এই জেলার আম অনেক সুস্বাদু। আম রপ্তানি হলে জেলায় আম চাষ আরও বাড়বে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেড লিংকের সিইও কাওসার আহমেদ রুবেল বলেন, ঠাকুরগাঁয়ের আম রপ্তানি উপযোগী বলে আমরা মনে করি। তাই দ্বিতীয়বারের মতো এই জেলা থেকে আম আমদানি করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি আম চাষিরা আমাদের গুণগত মানসম্পন্ন আম সরবরাহ করবে। তাহলে বিদেশে আমাদের আমের চাহিদা বাড়বে সেই সঙ্গে আমের বাজার আরও প্রসারিত হবে। রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আরিফুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবারে দ্বিগুণ আম রপ্তানি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বছরে প্রকল্পের শুরু হলো, আর এবারে ঠাকুরগাঁওয়ের আম ইউরোপের বাজারে যাবে। এর মাধ্যমে বাগান মালিকদের পাশাপাশি এ শিল্পে যারা আছেন তারা সবাই লাভবান হবেন বলে আশা করছি। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপে আম পাঠানো হবে। আর ক্রমান্বয়ে জেলায় আম বাগান বাড়ছে। রপ্তানির মাধ্যমে চাষিরা অধিক মূল্যের পাশাপাশি স্থানীয় শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এতে করে জেলার অর্থনীতির পরিবর্তন আসবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার আম বাগানি একরাম বাগান পরিদর্শন করেন কৃষি সম্প্রসারণের প্রতিনিধিরা।