ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫

ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পরও খনিজ চুক্তি সইয়ে ‘প্রস্তুত’ জেলেনস্কি

  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রকাশ্যে বাগবিতণ্ডা সত্ত্বেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি সইয়ের জন্য ‘প্রস্তুত’। খবর আল জাজিরার। রোববার (০২ মার্চ) লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেন, চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত কিয়েভ। গত শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর সম্ভাব্য চুক্তিটি বাতিল হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। জেলেনস্কি লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অতীতে যা ঘটেছে তা সত্ত্বেও সবকিছু অব্যাহত রাখা আমাদের নীতি। আমরা গঠনমূলক। আমরা এই চুক্তি সইয়ের বিষয়ে একমত হয়েছি এবং সত্যি বলতে আমি বিশ্বাস করি, এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রও প্রস্তুত রয়েছে।

’ তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিষয় বিশ্লেষণের প্রয়োজন হতে পারে। তবে আমি শুধু চাই যে ইউক্রেনের অবস্থান শোনা হোক। এটি আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ জেলেনস্কি তার আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়ে বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা সম্ভব এবং তার প্রশাসন কিয়েভকে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করবে না। ‘আমি মনে করি আমাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে, কারণ এটি শুধুমাত্র কোনো নির্দিষ্ট সময়ের সম্পর্ক নয়,’ বলেন তিনি। আমাদের অবশ্যই খোলা মনের হতে হবে। ইউক্রেন বিশ্বের বৃহত্তম দেশ নয়। তবে সবাই দেখতে পাবে, এটি কীভাবে তার স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য লড়াই করে। আমরা নিঃসন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এ ধরনের সহায়তা বন্ধ করা শুধুমাত্র পুতিনকে সুবিধা দেবে। আর এ কারণেই আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্র এবং সভ্য বিশ্বের প্রতিনিধিরা, এই বিশ্বের নেতারা কখনোই পুতিনকে সাহায্য করবেন না।’ যুক্তরাজ্যে দুই দিনের সফর শেষে জেলেনস্কি এমন মন্তব্য করলেন। সেখানে ওই শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তুলে ধরতে এবং রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের ইতি টানার প্রচেষ্টা চালান। সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, তার দেশ ও ফ্রান্স ট্রাম্পের কাছে শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য ‘ইচ্ছুকদের একটি জোট’ তৈরি করবে। নেতাদের ইউরোপের নিরাপত্তার বিরল সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে স্টারমার বলেন, ‘আজ আমরা ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’

‘এখন আলোচনার সময় নয়। এখন কাজ করার সময়। এখন ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির জন্য একটি নতুন পরিকল্পনার চারপাশে এগিয়ে যাওয়ার এবং নেতৃত্ব দেওয়ার এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়।’ প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে হোয়াইট হাউস জানায়, খনিজ উপাদানের চুক্তিটি হয়নি। রবিবার (২ মার্চ) লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেন রাশিয়াকে কোনও ভূখণ্ড ছাড়বে না। জেলেনস্কি বলেন, তিনি মনে করেন না যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ করবে। কারণ ‘সভ্য বিশ্বের নেতা’ হিসেবে তারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে সহায়তা করতে চাইবে না। তবে তিনি যেকোনও ফলাফলের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পরও খনিজ চুক্তি সইয়ে ‘প্রস্তুত’ জেলেনস্কি

আপডেট সময় : ০৭:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রকাশ্যে বাগবিতণ্ডা সত্ত্বেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি সইয়ের জন্য ‘প্রস্তুত’। খবর আল জাজিরার। রোববার (০২ মার্চ) লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেন, চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত কিয়েভ। গত শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর সম্ভাব্য চুক্তিটি বাতিল হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। জেলেনস্কি লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অতীতে যা ঘটেছে তা সত্ত্বেও সবকিছু অব্যাহত রাখা আমাদের নীতি। আমরা গঠনমূলক। আমরা এই চুক্তি সইয়ের বিষয়ে একমত হয়েছি এবং সত্যি বলতে আমি বিশ্বাস করি, এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রও প্রস্তুত রয়েছে।

’ তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিষয় বিশ্লেষণের প্রয়োজন হতে পারে। তবে আমি শুধু চাই যে ইউক্রেনের অবস্থান শোনা হোক। এটি আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ জেলেনস্কি তার আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়ে বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা সম্ভব এবং তার প্রশাসন কিয়েভকে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করবে না। ‘আমি মনে করি আমাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে, কারণ এটি শুধুমাত্র কোনো নির্দিষ্ট সময়ের সম্পর্ক নয়,’ বলেন তিনি। আমাদের অবশ্যই খোলা মনের হতে হবে। ইউক্রেন বিশ্বের বৃহত্তম দেশ নয়। তবে সবাই দেখতে পাবে, এটি কীভাবে তার স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য লড়াই করে। আমরা নিঃসন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এ ধরনের সহায়তা বন্ধ করা শুধুমাত্র পুতিনকে সুবিধা দেবে। আর এ কারণেই আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্র এবং সভ্য বিশ্বের প্রতিনিধিরা, এই বিশ্বের নেতারা কখনোই পুতিনকে সাহায্য করবেন না।’ যুক্তরাজ্যে দুই দিনের সফর শেষে জেলেনস্কি এমন মন্তব্য করলেন। সেখানে ওই শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তুলে ধরতে এবং রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের ইতি টানার প্রচেষ্টা চালান। সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, তার দেশ ও ফ্রান্স ট্রাম্পের কাছে শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য ‘ইচ্ছুকদের একটি জোট’ তৈরি করবে। নেতাদের ইউরোপের নিরাপত্তার বিরল সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে স্টারমার বলেন, ‘আজ আমরা ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’

‘এখন আলোচনার সময় নয়। এখন কাজ করার সময়। এখন ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির জন্য একটি নতুন পরিকল্পনার চারপাশে এগিয়ে যাওয়ার এবং নেতৃত্ব দেওয়ার এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়।’ প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে হোয়াইট হাউস জানায়, খনিজ উপাদানের চুক্তিটি হয়নি। রবিবার (২ মার্চ) লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেন রাশিয়াকে কোনও ভূখণ্ড ছাড়বে না। জেলেনস্কি বলেন, তিনি মনে করেন না যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ করবে। কারণ ‘সভ্য বিশ্বের নেতা’ হিসেবে তারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে সহায়তা করতে চাইবে না। তবে তিনি যেকোনও ফলাফলের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।