ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

ট্রাম্পের শুল্ক থেকে কীভাবে মুক্তি পাচ্ছে প্রযুক্তি কোম্পানিরা?

  • আপডেট সময় : ০১:৩১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একের পর এক নজিরবিহীন চুক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন শীর্ষ প্রযুক্তি নির্বাহীরা।

গত কয়েকদিনে হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে, চীনে উন্নতমানের চিপ বিক্রির অনুমতি পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুই চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়া ও অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস বা এএমডি। তবে শর্ত হচ্ছে, চীনে ওই চিপ বিক্রি থেকে পাওয়া আয়ের ১৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দিতে হবে তাদের।

সিএনবিসি লিখেছে, অ্যাপলের সিইও টিম কুক সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০ হাজার কোটি ডলার করবে তারা।

আইফোন নির্মাতা মার্কিন কোম্পানিটির এমন পদক্ষেপকে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির টার্গেট থেকে অ্যাপলকে রক্ষার এক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আপাত সফল হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

সবমিলিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব চুক্তি প্রমাণ করে যে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগেুলোর জন্য শুল্কের চাপ থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া কতটা জরুরি হয়ে উঠেছে।

এক ইমেইল বার্তায় ‘পিপি ফোরসাইট’-এর প্রযুক্তি বিশ্লেষক পাওলো পেসাতোরে বলেছেন, “একের পর এক এই চুক্তি করার চেষ্টা মূলত শুল্কে কিছুটা ছাড় পাওয়ার জন্যই করছে বিভিন্ন কোম্পানি।

“কোনো না কোনোভাবে সব বড় প্রযুক্তি কোম্পানিই শুল্কের নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হয়েছে। তারা অতিরিক্ত কোটি কোটি ডলার ফি দিয়ে চলতে পারবে না। কারণ, তা তাদের মুনাফার আরো ক্ষতি করবে, যা বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিক আয়ের প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।”

এসব চুক্তির ছোট-বড় সব শর্তাবলী গুরুত্বপূর্ণ হলেও পেস্কাতোরে বলেছেন, অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত বিনিয়োগ বাড়ালে দেশটির অন্যান্য কোম্পানিও একইভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করতে পারে, যা একটির পর আরেকটির ওপর প্রভাব ফেলবে, ঠিক যেন ‘ডমিনো ইফেক্ট’-এর মতো।

অনেকদিন ধরেই বড় বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির মধ্যে নেতৃস্থানীয় হিসেবে দেখা হয় অ্যাপলকে, যে কোম্পানির ব্যবসায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্ব।

এ মাসের শুরুতে ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টর ও চিপ আমদানিতে একশ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে, যেসব কোম্পানি ‘যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য উৎপাদন করছে’ তাদের জন্য ছাড় থাকবে।

নিজেদের ডিভাইস তৈরিতে অনেক ধরনের চিপ ব্যবহার করে অ্যাপল এবং জুন মাসের শেষের তিন মাসে তারা শুল্ক হিসেবে ৮০ কোটি ডলার খরচ করেছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে কিছু পণ্য উৎপাদনের শর্তে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত একশ শতাংশ শুল্ক থেকে অব্যাহতি পেয়েছে অ্যাপল।

এক ‘অদ্ভুত’ চুক্তি

এরইমধ্যে চিপ জায়ান্টদের ব্যবসার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব এবং মার্কিন সরকার অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি করতে চাইবে কি না তা নিয়ে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এনভিডিয়া ও এএমডির চুক্তি।

এ চুক্তিকে ‘জবরদস্তিমূলক কর আদায়’ বলে বর্ণনা করেছেন কিছু কৌশলবিদ। আবার কেউ কেউ এটিকে অসাংবিধানিক ও রপ্তানি পণ্যের ওপর কর দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট বলেছেন, এনভিডিয়া ও এএমডি’র ওপর প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ রপ্তানি করের আইনি বৈধতা ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ‘চূড়ান্ত করা হচ্ছে’। তিনি এও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের চুক্তি অন্য কোম্পানির সঙ্গেও হতে পারে।

এদিকে, এনভিডিয়া ও এএমডি’কে চীনে চিপ বিক্রির আয়ের ১৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দিতে হবে এমন চুক্তিকে ‘অদ্ভুত’ বলে বর্ণনা করেছেন ‘কনস্টেলেশন রিসার্চ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান রে ওয়াং।

সোমবার সিএনবিসির ‘স্কোয়াক বক্স’ অনুষ্ঠানে ওয়াং বলেছেন, ‘সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে’ এসব চিপ আসলেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি কি না তা নিয়ে এখনো কিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে।

“এসব চিপ যদি আসলেই নিরাপত্তার জন্য হুমকি না হয় তবে সরকার কেবল ব্যবসার একটা অংশ নিয়ে নিচ্ছে। আর এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াং ও এএমডির লিসা সু দুজনেই ভাবছেন, এ চুক্তির মাধ্যমে অন্তত চীনে তাদের পণ্য রপ্তানি চালিয়ে যেতে পারছেন এবং এতে ভবিষ্যতে কিছু ভালো সুযোগও তৈরি হতে পারে।”

বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ

শুরুতে এই চুক্তিকে এনভিডিয়া ও এএমডি উভয়ের জন্যই মোটামুটি ইতিবাচক হিসেবে দেখেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ তাদের আবার চীনা বাজারে প্রবেশের সুযোগ মিললেও রে ওয়াং বলেছেন, প্রযুক্তি খাতের অনেকেই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকবেন।

“একজন বিনিয়োগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবলে আপনি চিন্তিত হবেন। কারণ এখানে প্রশ্ন ওঠে, বিষয়টি কি সরকারের ইচ্ছামতো নেওয়া সিদ্ধান্ত? তাহলে কি প্রতিটি প্রেসিডেন্ট এভাবে নিজের মতো করে চুক্তির নিয়ম বানাতে পারবেন?”

“আমার মনে হয় আসল উদ্বেগ এখানেই, ভবিষ্যতে চীনকে নিয়ে আরো শুল্ক আর বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তি আসতে পারে, যা শিল্প ও বিনিয়োগকারীদের জন্য জটিলতা বাড়াবে।”

সোমবার সিএনবিসির ‘ক্লোজিং বেল: ওভারটাইম’ অনুষ্ঠানে ‘নাইলস ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার ড্যান নাইলস বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় প্রশ্ন হল, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘এমন সক্রিয় হস্তক্ষেপ’ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ইতিবাচক না কি নেতিবাচক।

“প্রতিটি কোম্পানির জন্য প্রশাসনের নীতির প্রভাব আলাদা হতে পারে। আমি অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনায় রাখি। আমার জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হল, নীতি কি স্থির আছে? না কি এক সপ্তাহ কোনো নীতি থাকে আর পরের সপ্তাহে সেটি বদলে যায়? এখন এই অনিশ্চয়তাই আমাকে একটু বেশি উদ্বিগ্ন করছে।”

এসি/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ট্রাম্পের শুল্ক থেকে কীভাবে মুক্তি পাচ্ছে প্রযুক্তি কোম্পানিরা?

আপডেট সময় : ০১:৩১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একের পর এক নজিরবিহীন চুক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন শীর্ষ প্রযুক্তি নির্বাহীরা।

গত কয়েকদিনে হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে, চীনে উন্নতমানের চিপ বিক্রির অনুমতি পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুই চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়া ও অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস বা এএমডি। তবে শর্ত হচ্ছে, চীনে ওই চিপ বিক্রি থেকে পাওয়া আয়ের ১৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দিতে হবে তাদের।

সিএনবিসি লিখেছে, অ্যাপলের সিইও টিম কুক সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০ হাজার কোটি ডলার করবে তারা।

আইফোন নির্মাতা মার্কিন কোম্পানিটির এমন পদক্ষেপকে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির টার্গেট থেকে অ্যাপলকে রক্ষার এক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আপাত সফল হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

সবমিলিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব চুক্তি প্রমাণ করে যে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগেুলোর জন্য শুল্কের চাপ থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া কতটা জরুরি হয়ে উঠেছে।

এক ইমেইল বার্তায় ‘পিপি ফোরসাইট’-এর প্রযুক্তি বিশ্লেষক পাওলো পেসাতোরে বলেছেন, “একের পর এক এই চুক্তি করার চেষ্টা মূলত শুল্কে কিছুটা ছাড় পাওয়ার জন্যই করছে বিভিন্ন কোম্পানি।

“কোনো না কোনোভাবে সব বড় প্রযুক্তি কোম্পানিই শুল্কের নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হয়েছে। তারা অতিরিক্ত কোটি কোটি ডলার ফি দিয়ে চলতে পারবে না। কারণ, তা তাদের মুনাফার আরো ক্ষতি করবে, যা বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিক আয়ের প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।”

এসব চুক্তির ছোট-বড় সব শর্তাবলী গুরুত্বপূর্ণ হলেও পেস্কাতোরে বলেছেন, অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত বিনিয়োগ বাড়ালে দেশটির অন্যান্য কোম্পানিও একইভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করতে পারে, যা একটির পর আরেকটির ওপর প্রভাব ফেলবে, ঠিক যেন ‘ডমিনো ইফেক্ট’-এর মতো।

অনেকদিন ধরেই বড় বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির মধ্যে নেতৃস্থানীয় হিসেবে দেখা হয় অ্যাপলকে, যে কোম্পানির ব্যবসায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্ব।

এ মাসের শুরুতে ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টর ও চিপ আমদানিতে একশ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে, যেসব কোম্পানি ‘যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য উৎপাদন করছে’ তাদের জন্য ছাড় থাকবে।

নিজেদের ডিভাইস তৈরিতে অনেক ধরনের চিপ ব্যবহার করে অ্যাপল এবং জুন মাসের শেষের তিন মাসে তারা শুল্ক হিসেবে ৮০ কোটি ডলার খরচ করেছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে কিছু পণ্য উৎপাদনের শর্তে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত একশ শতাংশ শুল্ক থেকে অব্যাহতি পেয়েছে অ্যাপল।

এক ‘অদ্ভুত’ চুক্তি

এরইমধ্যে চিপ জায়ান্টদের ব্যবসার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব এবং মার্কিন সরকার অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি করতে চাইবে কি না তা নিয়ে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এনভিডিয়া ও এএমডির চুক্তি।

এ চুক্তিকে ‘জবরদস্তিমূলক কর আদায়’ বলে বর্ণনা করেছেন কিছু কৌশলবিদ। আবার কেউ কেউ এটিকে অসাংবিধানিক ও রপ্তানি পণ্যের ওপর কর দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট বলেছেন, এনভিডিয়া ও এএমডি’র ওপর প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ রপ্তানি করের আইনি বৈধতা ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ‘চূড়ান্ত করা হচ্ছে’। তিনি এও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের চুক্তি অন্য কোম্পানির সঙ্গেও হতে পারে।

এদিকে, এনভিডিয়া ও এএমডি’কে চীনে চিপ বিক্রির আয়ের ১৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দিতে হবে এমন চুক্তিকে ‘অদ্ভুত’ বলে বর্ণনা করেছেন ‘কনস্টেলেশন রিসার্চ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান রে ওয়াং।

সোমবার সিএনবিসির ‘স্কোয়াক বক্স’ অনুষ্ঠানে ওয়াং বলেছেন, ‘সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে’ এসব চিপ আসলেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি কি না তা নিয়ে এখনো কিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে।

“এসব চিপ যদি আসলেই নিরাপত্তার জন্য হুমকি না হয় তবে সরকার কেবল ব্যবসার একটা অংশ নিয়ে নিচ্ছে। আর এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াং ও এএমডির লিসা সু দুজনেই ভাবছেন, এ চুক্তির মাধ্যমে অন্তত চীনে তাদের পণ্য রপ্তানি চালিয়ে যেতে পারছেন এবং এতে ভবিষ্যতে কিছু ভালো সুযোগও তৈরি হতে পারে।”

বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ

শুরুতে এই চুক্তিকে এনভিডিয়া ও এএমডি উভয়ের জন্যই মোটামুটি ইতিবাচক হিসেবে দেখেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ তাদের আবার চীনা বাজারে প্রবেশের সুযোগ মিললেও রে ওয়াং বলেছেন, প্রযুক্তি খাতের অনেকেই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকবেন।

“একজন বিনিয়োগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবলে আপনি চিন্তিত হবেন। কারণ এখানে প্রশ্ন ওঠে, বিষয়টি কি সরকারের ইচ্ছামতো নেওয়া সিদ্ধান্ত? তাহলে কি প্রতিটি প্রেসিডেন্ট এভাবে নিজের মতো করে চুক্তির নিয়ম বানাতে পারবেন?”

“আমার মনে হয় আসল উদ্বেগ এখানেই, ভবিষ্যতে চীনকে নিয়ে আরো শুল্ক আর বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তি আসতে পারে, যা শিল্প ও বিনিয়োগকারীদের জন্য জটিলতা বাড়াবে।”

সোমবার সিএনবিসির ‘ক্লোজিং বেল: ওভারটাইম’ অনুষ্ঠানে ‘নাইলস ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার ড্যান নাইলস বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় প্রশ্ন হল, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘এমন সক্রিয় হস্তক্ষেপ’ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ইতিবাচক না কি নেতিবাচক।

“প্রতিটি কোম্পানির জন্য প্রশাসনের নীতির প্রভাব আলাদা হতে পারে। আমি অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনায় রাখি। আমার জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হল, নীতি কি স্থির আছে? না কি এক সপ্তাহ কোনো নীতি থাকে আর পরের সপ্তাহে সেটি বদলে যায়? এখন এই অনিশ্চয়তাই আমাকে একটু বেশি উদ্বিগ্ন করছে।”

এসি/