ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

ট্রাম্পের বাসায় ১১ হাজারের বেশি সরকারি নথি

  • আপডেট সময় : ১২:৫০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসা থেকে ১১ হাজারের বেশি সরকারি নথি ও ছবি উদ্ধার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)। খবর রয়টার্সের। ওই বাসা থেকে ‘গোপনীয়’ লেখা ৪৮টি ফাঁকা ফাইলও উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার আদালতের প্রকাশিত নথিতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্টের মার-এ-লাগো রিসোর্টে এই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এফবিআই। নজিরবিহীন এই তল্লাশি ঘিরে মার্কিন রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। ওয়েস্ট পাম বিচের মার্কিন জেলা জজ আইলিন ক্যানন তল্লাশিতে নথি উদ্ধারের বিষয়টি প্রকাশ করেন। এর আগে জব্দ করা সামগ্রীর বিশেষ পর্যালোচনার জন্য ট্রাম্পের অনুরোধে বিশেষ একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করা উচিত কি না, সে বিষয়ে ট্রাম্পের অ্যাটর্নিদের এবং বিচার বিভাগের শীর্ষ দুজন কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কৌঁসুলির যুক্তিতর্ক শোনেন এই নারী বিচারক।
সাবেক মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার এ ধরনের নিয়োগের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁকে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বার বলেন, ‘যেহেতু তাঁরা (এফবিআই) নথিগুলো ইতিমধ্যে পড়ে ফেলেছেন, এ পর্যায়ে এসে স্পেশাল মাস্টার নিয়োগ দেওয়া সময়ের অপচয় বলে আমি মনে করি।’
বার ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ওই বছর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের কারচুপির অভিযোগের প্রতি সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। সাক্ষাৎকারে সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, যদি নথিগুলো গোপনীয় হয়, তাহলে সেগুলো ফ্লোরিডার বাসায় রাখার কোনো ‘বৈধ কারণ’ ট্রাম্পের আছে বলে তিনি দেখছেন না। ট্রাম্পের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া ১১ হাজারেরও বেশি নথি ও ছবির মধ্যে ১৮টিকে ‘অতি গোপনীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৫৪টিকে ‘গোপনীয়’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। আর ৩১টি নথিকে ‘গোপনভাবে রক্ষিত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘অতি গোপনীয়’ হলো সর্বোচ্চ গোপনীয়তার স্তর। দেশের সবচেয়ে গোপনীয় বিষয়গুলো এই ক্যাটাগরিতে পড়ে। এ ছাড়া ৯০টি ফাঁকা ফাইল উদ্ধার করা হয়েছিল। এসবের ৪৮টি ছিল ‘গোপনীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা। কেন ফাইলগুলো ফাঁকা ছিল কিংবা কোনো নথি হারিয়ে গিয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। এসব নথি ৩০ আগস্ট ফাইল করা হয়। এতে বলা হয়, জব্দ সামগ্রীগুলোর প্রাথমিক পর্যালোচনা সম্পন্ন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে পরবর্তী তদন্ত চলবে এবং আরও সাক্ষীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ট্রাম্পের বাসায় ১১ হাজারের বেশি সরকারি নথি

আপডেট সময় : ১২:৫০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসা থেকে ১১ হাজারের বেশি সরকারি নথি ও ছবি উদ্ধার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)। খবর রয়টার্সের। ওই বাসা থেকে ‘গোপনীয়’ লেখা ৪৮টি ফাঁকা ফাইলও উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার আদালতের প্রকাশিত নথিতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্টের মার-এ-লাগো রিসোর্টে এই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এফবিআই। নজিরবিহীন এই তল্লাশি ঘিরে মার্কিন রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। ওয়েস্ট পাম বিচের মার্কিন জেলা জজ আইলিন ক্যানন তল্লাশিতে নথি উদ্ধারের বিষয়টি প্রকাশ করেন। এর আগে জব্দ করা সামগ্রীর বিশেষ পর্যালোচনার জন্য ট্রাম্পের অনুরোধে বিশেষ একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করা উচিত কি না, সে বিষয়ে ট্রাম্পের অ্যাটর্নিদের এবং বিচার বিভাগের শীর্ষ দুজন কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কৌঁসুলির যুক্তিতর্ক শোনেন এই নারী বিচারক।
সাবেক মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার এ ধরনের নিয়োগের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁকে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বার বলেন, ‘যেহেতু তাঁরা (এফবিআই) নথিগুলো ইতিমধ্যে পড়ে ফেলেছেন, এ পর্যায়ে এসে স্পেশাল মাস্টার নিয়োগ দেওয়া সময়ের অপচয় বলে আমি মনে করি।’
বার ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ওই বছর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের কারচুপির অভিযোগের প্রতি সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। সাক্ষাৎকারে সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, যদি নথিগুলো গোপনীয় হয়, তাহলে সেগুলো ফ্লোরিডার বাসায় রাখার কোনো ‘বৈধ কারণ’ ট্রাম্পের আছে বলে তিনি দেখছেন না। ট্রাম্পের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া ১১ হাজারেরও বেশি নথি ও ছবির মধ্যে ১৮টিকে ‘অতি গোপনীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৫৪টিকে ‘গোপনীয়’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। আর ৩১টি নথিকে ‘গোপনভাবে রক্ষিত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘অতি গোপনীয়’ হলো সর্বোচ্চ গোপনীয়তার স্তর। দেশের সবচেয়ে গোপনীয় বিষয়গুলো এই ক্যাটাগরিতে পড়ে। এ ছাড়া ৯০টি ফাঁকা ফাইল উদ্ধার করা হয়েছিল। এসবের ৪৮টি ছিল ‘গোপনীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা। কেন ফাইলগুলো ফাঁকা ছিল কিংবা কোনো নথি হারিয়ে গিয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। এসব নথি ৩০ আগস্ট ফাইল করা হয়। এতে বলা হয়, জব্দ সামগ্রীগুলোর প্রাথমিক পর্যালোচনা সম্পন্ন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে পরবর্তী তদন্ত চলবে এবং আরও সাক্ষীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।