ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক শুল্কে বড় ধাক্কা ভারতের

  • আপডেট সময় : ০৭:৪২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সব বাণিজ্যিক অংশীদারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ভারত এই শুল্কের কারণে বড় ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ভারতের মতো দেশগুলো আমদানি পণ্যে ‘অন্যায্যভাবে’ উচ্চ শুল্ক আরোপ করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর গড়ে তিন শতাংশ শুল্ক নিলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মার্কিন পণ্যে গড়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক আদায় করে।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের জন্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান রপ্তানিকারক। যুক্তরাষ্ট্র শুল্কহার বাড়ালে ভারতের খাদ্যপণ্য, শাকসবজি, টেক্সটাইল, পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, রত্ন ও গহনা, ওষুধ, গাড়ি, লোহা ও স্টিলের রপ্তানিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ট্রাম্প বলেছেন, ভারতে ব্যবসা করা কঠিন। কারণ তাদের শুল্কহার অত্যন্ত বেশি। তবে এখন থেকে তারা আমাদের ওপর যে শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও তাদের ওপর একই পরিমাণ শুল্ক ধার্য করবো। এটি সহজ এবং কার্যকর ব্যবস্থা। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক সহজ করতে ভারত ৩০টিরও বেশি পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর কথা বিবেচনা করছে। পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতে মার্কিন পণ্য আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই শুল্ক ব্যবস্থা ভারতের অর্থনীতি ও বাণিজ্য সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। তবে ভারত ছাড়া জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্বল্পমেয়াদে উচ্চ শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বাড়তে পারে এবং ব্যবসার প্রতিযোগিতা কমতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও এর বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে ভারসাম্য আনতে সহায়তা করতে পারে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে দু’দিনের সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন গলাতে পারেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের কঠোর নীতির নড়চড় হয়নি একটুও। তার ফলাফল দেখা যাচ্ছে চোখের সামনেই। সফর শেষে মোদী ভারতে ফিরতে না ফিরতেই আবারও প্লেনভর্তি করে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প। গতকাল শনিবার ভারতের মাটিতে পা রাখার কথা তাদের। দুদিনের সফর শেষে গত শুক্রবার ভারতে ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদী। সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কসহ মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এসব বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য ইস্যু ছিল অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন। এর আগে শতাধিক অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে যেভাবে হাত-পায়ে শিকল পরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারতের রাজনৈতিক মহল।

দাবি উঠেছিল, বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী যেন ট্রাম্পের কাছে ভারতীয় অভিবাসীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করার দাবি জানান। কিন্তু সেই দাবি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আরও ১১৯ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি অনুযায়ী আরও একদল ভারতীয়কে নিয়ে একটি মার্কিন প্লেন ভারতের পথে রয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে পাঞ্জাবের অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে প্লেনটির। এতে মোট ১১৯ জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন, যার মধ্যে ৬৭ জন পাঞ্জাবের বাসিন্দা, ৩৩ জন হরিয়ানার, আটজন গুজরাটের, তিনজন উত্তর প্রদেশের, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান থেকে দুজন করে এবং হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর থেকে একজন করে রয়েছেন। এরপর রোববার আরও একটি প্লেন ভারতে অবতরণ করবে, যাতে আরও কিছু অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফিরিয়ে আনা হবে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহগুলোতে এই ধরনের বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে।

এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক প্লেন ১০৪ জন ভারতীয়কে নিয়ে ভারতে অবতরণ করেছিল। তাদের মধ্যে ৩৩ জন হরিয়ানা ও গুজরাটের, ৩০ জন পাঞ্জাবের, তিনজন মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের এবং দুইজন চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা ছিলেন। এদের অনেকেই বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আশায় বিপুল অর্থ ব্যয় করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানবপাচার চক্রের মাধ্যমে কঠিন যাত্রাপথ পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান এবং পরে সেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। তবে প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের কঠোর শর্তে ফেরত পাঠানো নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে ভারতে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বর্ডার প্যাট্রোল) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের হাতে হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল। এমনকি তাদের যেভাবে প্লেনে ওঠানো-নামানো হয়েছিল, সেই আচরণ কেবল দাগি অপরাধীদের সঙ্গেই দেখা যায়। বিষয়টি ভারতের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তারা প্রশ্ন তুলেছে, কেন ভারত সরকার নিজস্ব প্লেন পাঠিয়ে নিজ নাগরিকদের মানবিক উপায়ে ফিরিয়ে আনেনি। কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম বলেন, অমৃতসরে অবতরণ করা মার্কিন প্লেনে ফেরত আসা অভিবাসীদের কীভাবে আনা হচ্ছে, তা সবার নজরে থাকবে। তাদের কি হাতকড়া ও পায়ে দড়ি পরানো হবে? এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা। সূত্র: এনডিটিভি

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মহাসড়কে সিএনজি ছিনতাইয়ের চেষ্টায় চালককে ছুরিকাঘাত, ভিডিও ভাইরাল

ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক শুল্কে বড় ধাক্কা ভারতের

আপডেট সময় : ০৭:৪২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সব বাণিজ্যিক অংশীদারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ভারত এই শুল্কের কারণে বড় ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ভারতের মতো দেশগুলো আমদানি পণ্যে ‘অন্যায্যভাবে’ উচ্চ শুল্ক আরোপ করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর গড়ে তিন শতাংশ শুল্ক নিলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মার্কিন পণ্যে গড়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক আদায় করে।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের জন্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান রপ্তানিকারক। যুক্তরাষ্ট্র শুল্কহার বাড়ালে ভারতের খাদ্যপণ্য, শাকসবজি, টেক্সটাইল, পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, রত্ন ও গহনা, ওষুধ, গাড়ি, লোহা ও স্টিলের রপ্তানিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ট্রাম্প বলেছেন, ভারতে ব্যবসা করা কঠিন। কারণ তাদের শুল্কহার অত্যন্ত বেশি। তবে এখন থেকে তারা আমাদের ওপর যে শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও তাদের ওপর একই পরিমাণ শুল্ক ধার্য করবো। এটি সহজ এবং কার্যকর ব্যবস্থা। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক সহজ করতে ভারত ৩০টিরও বেশি পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর কথা বিবেচনা করছে। পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতে মার্কিন পণ্য আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই শুল্ক ব্যবস্থা ভারতের অর্থনীতি ও বাণিজ্য সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। তবে ভারত ছাড়া জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্বল্পমেয়াদে উচ্চ শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বাড়তে পারে এবং ব্যবসার প্রতিযোগিতা কমতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও এর বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে ভারসাম্য আনতে সহায়তা করতে পারে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে দু’দিনের সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন গলাতে পারেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের কঠোর নীতির নড়চড় হয়নি একটুও। তার ফলাফল দেখা যাচ্ছে চোখের সামনেই। সফর শেষে মোদী ভারতে ফিরতে না ফিরতেই আবারও প্লেনভর্তি করে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প। গতকাল শনিবার ভারতের মাটিতে পা রাখার কথা তাদের। দুদিনের সফর শেষে গত শুক্রবার ভারতে ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদী। সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কসহ মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এসব বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য ইস্যু ছিল অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন। এর আগে শতাধিক অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে যেভাবে হাত-পায়ে শিকল পরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারতের রাজনৈতিক মহল।

দাবি উঠেছিল, বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী যেন ট্রাম্পের কাছে ভারতীয় অভিবাসীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করার দাবি জানান। কিন্তু সেই দাবি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আরও ১১৯ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি অনুযায়ী আরও একদল ভারতীয়কে নিয়ে একটি মার্কিন প্লেন ভারতের পথে রয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে পাঞ্জাবের অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে প্লেনটির। এতে মোট ১১৯ জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন, যার মধ্যে ৬৭ জন পাঞ্জাবের বাসিন্দা, ৩৩ জন হরিয়ানার, আটজন গুজরাটের, তিনজন উত্তর প্রদেশের, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান থেকে দুজন করে এবং হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর থেকে একজন করে রয়েছেন। এরপর রোববার আরও একটি প্লেন ভারতে অবতরণ করবে, যাতে আরও কিছু অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফিরিয়ে আনা হবে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহগুলোতে এই ধরনের বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে।

এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক প্লেন ১০৪ জন ভারতীয়কে নিয়ে ভারতে অবতরণ করেছিল। তাদের মধ্যে ৩৩ জন হরিয়ানা ও গুজরাটের, ৩০ জন পাঞ্জাবের, তিনজন মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের এবং দুইজন চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা ছিলেন। এদের অনেকেই বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আশায় বিপুল অর্থ ব্যয় করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানবপাচার চক্রের মাধ্যমে কঠিন যাত্রাপথ পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান এবং পরে সেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। তবে প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের কঠোর শর্তে ফেরত পাঠানো নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে ভারতে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বর্ডার প্যাট্রোল) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের হাতে হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল। এমনকি তাদের যেভাবে প্লেনে ওঠানো-নামানো হয়েছিল, সেই আচরণ কেবল দাগি অপরাধীদের সঙ্গেই দেখা যায়। বিষয়টি ভারতের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তারা প্রশ্ন তুলেছে, কেন ভারত সরকার নিজস্ব প্লেন পাঠিয়ে নিজ নাগরিকদের মানবিক উপায়ে ফিরিয়ে আনেনি। কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম বলেন, অমৃতসরে অবতরণ করা মার্কিন প্লেনে ফেরত আসা অভিবাসীদের কীভাবে আনা হচ্ছে, তা সবার নজরে থাকবে। তাদের কি হাতকড়া ও পায়ে দড়ি পরানো হবে? এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা। সূত্র: এনডিটিভি