ঢাকা ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের অভিষেকে যাচ্ছেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট

  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। সেই দিনটিকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয়েছে তার অভিষেক অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতাকে, যার মধ্যে আছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। কিন্তু জিনপিং নন, অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং কে অনুষ্ঠানে পাঠাচ্ছে চীন। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো চীনের কোনও ঊর্ধ্বতন নেতা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে শপথ নিতে দেখবেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে বিদেশি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর রেওয়াজ নেই। তবে ট্রাম্প সেই রেওয়াজ ভেঙেছেন।

চীন বলেছে, ‘নতুন এই যুগে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার সঠিক উপায় খুঁজে পেতে’ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় তারা। তবে চীন আরেকবার ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যিনি ক্ষমতা নেওয়ার পরই চীনা পণ্য আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প তার নতুন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যাকে মনোনীত করেছেন, সেই মার্কো রুবিও চীনকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ পর্যন্ত সবচেয়ে অগ্রগামী’ প্রতিপক্ষ বলে উল্লেখ করেছেন।

বিবিসি জানায়, চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শি কখনও বিদেশে কোনও নেতার শপথ অনুষ্ঠান বা রাজ্যাভিষেকে যোগ দেননি; বরং তার পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। ২০১৭ ও ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সেদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত। অন্যান্য দেশে এ ধরনের অনুষ্ঠানে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং-কে পাঠিয়ে আসছে চীন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ান্তোর শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হান। তার পূর্বসূরি ওয়াং কিশান ২০২২ সালে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এবং ২০২৩ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।

এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের চীনা রাজনীতি বিষয়ক ফেলো নীল থমাসের মতে, হানকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর মধ্য দিয়ে শি আসলে ট্রাম্পের চুক্তি করার মানসিকতা তৈরি করতে চান। তবে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাকে সহায়তাকারী বা সমর্থনকারীর ভূমিকায় থাকতে চান না তিনি। চীন ছাড়াও ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের মধ্যে আছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলেই এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। কিন্তু এ তালিকায় নেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম। ট্রাম্পের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট মার্কিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো “ট্রাম্পের এমন এক দৃষ্টান্ত যা কেবল আমাদের মিত্র নয় বরং আমাদের প্রতিপক্ষ এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে একটি উন্মুক্ত সংলাপের পথ তৈরি করছে”।

ওদিকে, ওয়াশিংটনের স্টিমসন সেন্টারের চীন প্রোগ্রামের পরিচালক ইউন সান বলেন, “ট্রাম্প হয়ত এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকে দেখানোর চেষ্টা নিয়েছেন যে, শি’র সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর প্রভাব রাখার ক্ষমতা তার আছে এবং তাদের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।” আগের কয়েকটি খবরে বলা হয়েছিল যে, ট্রাম্পের কিছু উপদেষ্টা চেয়েছিলেন অনুষ্ঠানে চীনের পক্ষ থেকে কাই কিউ উপস্থিত থাকুন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ডান হাত হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত ৬৬ বছর বয়সী কাই; যিনি কমিউনিস্ট পার্টির ৭ সদস্যের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বসেন। এই কমিটি চীনের মন্ত্রিসভার সমতুল্য। ‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ পত্রিকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভ্যন্তরীন এক কর্মকর্তার ঊদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, উপস্থিত চীনা দূত “কেবল হান বা (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ওয়াং ই’র পর্যায়ের হলে ট্রাম্প ‘খুশি’ হবেন না।

তবে কার্নেগি চায়নার একজন অনাবাসী বিশেষজ্ঞ চং জা-ইয়ান বলেছেন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে, ৭০ বছর বয়সী হান “চীনা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ‘খুবই উচ্চ পর্যায়ে’ আছেন এবং “ট্রাম্পের সৌজন্যেই” তাকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হওয়া হান ‘আট নম্বর শীর্ষ’ নেতা হিসেবে পরিচিত। পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির ৭ সদস্যের পরই তার স্থান। হান নিজেও ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পলিটব্যুরো সদস্য ছিলেন।
ওই সময় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর ঐতিহাসিক তৃতীয় মেয়াদ শুরু করেছিলেন এবং তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত ডেপুটিদের শীর্ষ পদে নিয়োগ করেছিলেন।

এর আগে হান তার রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় নিজ জন্মশহর সাংহাইতে কাটিয়েছেন। ২০০৭ সালে তিনি শি জিনপিংয়ের সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পররাষ্ট্র হানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের প্রচারের একটি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বেইজিংয়ে ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিকের স্টিয়ারিং কমিটির নেতৃতত্বেও ছিলেন হান। কিন্তু হান আর পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে না থাকাটা বেইজিংয়ের তাকে ট্রাম্পের অভিষেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অধ্যাপক চং বলেন, “যদি পার্টির দৃষ্টিকোণ থেকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যায়, তাহলে শি জিনপিং ও তার দল দেখাতে সক্ষম হবে যে, তারা ট্রাম্পের থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেছে।”

 

 

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বায়ুদূষণের কারণে দেশে প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি মৃত্যু

ট্রাম্পের অভিষেকে যাচ্ছেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট

আপডেট সময় : ০৭:৪১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। সেই দিনটিকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয়েছে তার অভিষেক অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতাকে, যার মধ্যে আছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। কিন্তু জিনপিং নন, অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং কে অনুষ্ঠানে পাঠাচ্ছে চীন। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো চীনের কোনও ঊর্ধ্বতন নেতা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে শপথ নিতে দেখবেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে বিদেশি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর রেওয়াজ নেই। তবে ট্রাম্প সেই রেওয়াজ ভেঙেছেন।

চীন বলেছে, ‘নতুন এই যুগে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার সঠিক উপায় খুঁজে পেতে’ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় তারা। তবে চীন আরেকবার ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যিনি ক্ষমতা নেওয়ার পরই চীনা পণ্য আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প তার নতুন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যাকে মনোনীত করেছেন, সেই মার্কো রুবিও চীনকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ পর্যন্ত সবচেয়ে অগ্রগামী’ প্রতিপক্ষ বলে উল্লেখ করেছেন।

বিবিসি জানায়, চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শি কখনও বিদেশে কোনও নেতার শপথ অনুষ্ঠান বা রাজ্যাভিষেকে যোগ দেননি; বরং তার পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। ২০১৭ ও ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সেদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত। অন্যান্য দেশে এ ধরনের অনুষ্ঠানে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং-কে পাঠিয়ে আসছে চীন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ান্তোর শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হান। তার পূর্বসূরি ওয়াং কিশান ২০২২ সালে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এবং ২০২৩ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।

এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের চীনা রাজনীতি বিষয়ক ফেলো নীল থমাসের মতে, হানকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর মধ্য দিয়ে শি আসলে ট্রাম্পের চুক্তি করার মানসিকতা তৈরি করতে চান। তবে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাকে সহায়তাকারী বা সমর্থনকারীর ভূমিকায় থাকতে চান না তিনি। চীন ছাড়াও ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের মধ্যে আছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলেই এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। কিন্তু এ তালিকায় নেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম। ট্রাম্পের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট মার্কিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো “ট্রাম্পের এমন এক দৃষ্টান্ত যা কেবল আমাদের মিত্র নয় বরং আমাদের প্রতিপক্ষ এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে একটি উন্মুক্ত সংলাপের পথ তৈরি করছে”।

ওদিকে, ওয়াশিংটনের স্টিমসন সেন্টারের চীন প্রোগ্রামের পরিচালক ইউন সান বলেন, “ট্রাম্প হয়ত এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকে দেখানোর চেষ্টা নিয়েছেন যে, শি’র সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর প্রভাব রাখার ক্ষমতা তার আছে এবং তাদের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।” আগের কয়েকটি খবরে বলা হয়েছিল যে, ট্রাম্পের কিছু উপদেষ্টা চেয়েছিলেন অনুষ্ঠানে চীনের পক্ষ থেকে কাই কিউ উপস্থিত থাকুন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ডান হাত হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত ৬৬ বছর বয়সী কাই; যিনি কমিউনিস্ট পার্টির ৭ সদস্যের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বসেন। এই কমিটি চীনের মন্ত্রিসভার সমতুল্য। ‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ পত্রিকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভ্যন্তরীন এক কর্মকর্তার ঊদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, উপস্থিত চীনা দূত “কেবল হান বা (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ওয়াং ই’র পর্যায়ের হলে ট্রাম্প ‘খুশি’ হবেন না।

তবে কার্নেগি চায়নার একজন অনাবাসী বিশেষজ্ঞ চং জা-ইয়ান বলেছেন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে, ৭০ বছর বয়সী হান “চীনা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ‘খুবই উচ্চ পর্যায়ে’ আছেন এবং “ট্রাম্পের সৌজন্যেই” তাকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হওয়া হান ‘আট নম্বর শীর্ষ’ নেতা হিসেবে পরিচিত। পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির ৭ সদস্যের পরই তার স্থান। হান নিজেও ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পলিটব্যুরো সদস্য ছিলেন।
ওই সময় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর ঐতিহাসিক তৃতীয় মেয়াদ শুরু করেছিলেন এবং তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত ডেপুটিদের শীর্ষ পদে নিয়োগ করেছিলেন।

এর আগে হান তার রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় নিজ জন্মশহর সাংহাইতে কাটিয়েছেন। ২০০৭ সালে তিনি শি জিনপিংয়ের সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পররাষ্ট্র হানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের প্রচারের একটি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বেইজিংয়ে ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিকের স্টিয়ারিং কমিটির নেতৃতত্বেও ছিলেন হান। কিন্তু হান আর পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে না থাকাটা বেইজিংয়ের তাকে ট্রাম্পের অভিষেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অধ্যাপক চং বলেন, “যদি পার্টির দৃষ্টিকোণ থেকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যায়, তাহলে শি জিনপিং ও তার দল দেখাতে সক্ষম হবে যে, তারা ট্রাম্পের থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেছে।”