ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ট্রাংকগুলো’ কোথায় গেল, সেই খোঁজটাও তারা দিক: শেখ হাসিনা

  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে অপপ্রচারের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “আমি শুনলাম, কেউ কেউ বলেছে, আমি নাকি কত বস্তা, না কত ট্রাঙ্ক বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে না কি বিমানে এসেছি। যারা এই কথাগুলো বলেছে, তারা যখন এই বিষয়টা জানে, তো সেই ট্রাঙ্কগুলো গেল কোথায়, রাখলাম কোথায়, কী হল? সেই খোঁজটা তারা একটু দিক।”
গত শুক্রবার নিউ ইয়র্কের ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছিলেন।
সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে দেড়শ সুটকেস নিয়ে সৌদি আরব চলে গিয়েছিল এবং সেখানে লকার ভাড়া করে নাকি অনেক জিনিস রেখে এসেছিল শোনা যায়। তখন সেটা প্রচার হয়েছিল।
“আর খালেদা জিয়ার মন্ত্রী বাবর (লুৎফুজ্জামান বাবর) যখন এখানে আসে, এয়াপোর্টে ধরা পড়েছিল কয়েক লক্ষ ডলার নিয়ে। পরে অ্যাম্বাসি থেকে লোক গিয়ে কোনোমতে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়েছিল।”
সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “যাদের এই সমস্ত বদ অভ্যাস তারা সবাইকে, মানে নিজে চোর, সবাইকে ওই রকমই মনে করে। এটা হল তাদের চরিত্র। এই ধরনের কথা তারা ছড়ায়, মনে করে যে এটা বোধহয় খুব প্রচার করতে পারবে।
“সমালোচনাকারীরা একটা কথা ভুলে যায় যে আমি জাতির পিতার মেয়ে। আমরা দেশের জন্য কাজ করি, আর ক্ষমতাটা আমাদের কাছে দেশসেবা করা, মানুষের সেবা করা। আমরা অর্থ সম্পদের জন্য লালায়িত না।”
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তাদের সন্তানরা ক্ষমতাটাকে ভোগের জায়গা বানিয়েছে। ক্ষমতাটাকে তারা নিজেদের ভাগ্য গড়ার জায়গা বানিয়েছে।
“আর আমাদের কাছে ক্ষমতা হচ্ছে মানুষের ভাগ্য গড়া, বাঙালির ভাগ্য গড়া, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়া। দেশের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।”
জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ফিনল্যান্ডে দুদিন যাত্রা বিরতি শেষে রোববার নিউ ইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ফিরতি যাত্রায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হয়ে ফিনল্যান্ডে যাত্রা বিরতির পর ১ অক্টোবর তিনি দেশে ফিরবেন।
করোনাভাইরাস মহামারীকালে এই সফরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার্টার ফ্লাইট ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবারের অনুষ্ঠানে তার ব্যাখ্যাও দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের ড্রিমলাইনার, সেটা নিয়েই আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। কেন এসেছি? দুটো কারণ। একটা হচ্ছে যে আমি যদি এই করোনার সময় অন্য এয়ারলাইন্সের টিকেট করি, তাহলে তাদেরকে টাকা দিতে হয়। আর আপনারা জানেন আন্তর্জাতিক রুটগুলো করোনার কারণে বন্ধ ছিল। আমাদের বিমানগুলো বসেই ছিল। আর একটা বিমান বসে থাকলে তার রক্ষণাবেক্ষণে একটা বিরাট টাকা খরচ হয়।
“সেজন্যই আমি বললাম, আমরা অন্য এয়ারলাইন্সকে টাকা না দিয়ে আমাদের বিমান নিয়ে আসব। কারণ ওরা তো দেশে বসে আছে। কাজেই আমাদের সাথে আসলো আর ঘরের টাকা ঘরেই থাকল, বিমানই পেল।”
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে নিউ ইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট পুনরায় চালুর কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। “আমাদের লক্ষ্য যে নিউ ইয়র্কে অন্তত আমাদের নিজেদের বিমান আসবে। সেটাও আমরা আনতে চাই। জেএফকে (জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) তে ল্যান্ডিং করার প্র্যাকটিসটাও হয়ে গেল। ভবিষ্যতে তো আসব। কাজেই তার প্র্যাকটিসটা এখানে থেকেই করে গেলাম।”
বিমানের অবস্থা এক সময়ে ‘ঝরঝরে’ ছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপির আমলে বিমানের সীমাহীন দুর্নীতি ছিল। এই পর্যন্ত প্রায় ১১টা বিমান আমরা ক্রয় করেছি, আজকে আমাদের ২১টা বিমান।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ট্রাংকগুলো’ কোথায় গেল, সেই খোঁজটাও তারা দিক: শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৯:৪০:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে অপপ্রচারের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “আমি শুনলাম, কেউ কেউ বলেছে, আমি নাকি কত বস্তা, না কত ট্রাঙ্ক বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে না কি বিমানে এসেছি। যারা এই কথাগুলো বলেছে, তারা যখন এই বিষয়টা জানে, তো সেই ট্রাঙ্কগুলো গেল কোথায়, রাখলাম কোথায়, কী হল? সেই খোঁজটা তারা একটু দিক।”
গত শুক্রবার নিউ ইয়র্কের ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছিলেন।
সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে দেড়শ সুটকেস নিয়ে সৌদি আরব চলে গিয়েছিল এবং সেখানে লকার ভাড়া করে নাকি অনেক জিনিস রেখে এসেছিল শোনা যায়। তখন সেটা প্রচার হয়েছিল।
“আর খালেদা জিয়ার মন্ত্রী বাবর (লুৎফুজ্জামান বাবর) যখন এখানে আসে, এয়াপোর্টে ধরা পড়েছিল কয়েক লক্ষ ডলার নিয়ে। পরে অ্যাম্বাসি থেকে লোক গিয়ে কোনোমতে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়েছিল।”
সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “যাদের এই সমস্ত বদ অভ্যাস তারা সবাইকে, মানে নিজে চোর, সবাইকে ওই রকমই মনে করে। এটা হল তাদের চরিত্র। এই ধরনের কথা তারা ছড়ায়, মনে করে যে এটা বোধহয় খুব প্রচার করতে পারবে।
“সমালোচনাকারীরা একটা কথা ভুলে যায় যে আমি জাতির পিতার মেয়ে। আমরা দেশের জন্য কাজ করি, আর ক্ষমতাটা আমাদের কাছে দেশসেবা করা, মানুষের সেবা করা। আমরা অর্থ সম্পদের জন্য লালায়িত না।”
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তাদের সন্তানরা ক্ষমতাটাকে ভোগের জায়গা বানিয়েছে। ক্ষমতাটাকে তারা নিজেদের ভাগ্য গড়ার জায়গা বানিয়েছে।
“আর আমাদের কাছে ক্ষমতা হচ্ছে মানুষের ভাগ্য গড়া, বাঙালির ভাগ্য গড়া, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়া। দেশের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।”
জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ফিনল্যান্ডে দুদিন যাত্রা বিরতি শেষে রোববার নিউ ইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ফিরতি যাত্রায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হয়ে ফিনল্যান্ডে যাত্রা বিরতির পর ১ অক্টোবর তিনি দেশে ফিরবেন।
করোনাভাইরাস মহামারীকালে এই সফরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার্টার ফ্লাইট ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবারের অনুষ্ঠানে তার ব্যাখ্যাও দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের ড্রিমলাইনার, সেটা নিয়েই আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। কেন এসেছি? দুটো কারণ। একটা হচ্ছে যে আমি যদি এই করোনার সময় অন্য এয়ারলাইন্সের টিকেট করি, তাহলে তাদেরকে টাকা দিতে হয়। আর আপনারা জানেন আন্তর্জাতিক রুটগুলো করোনার কারণে বন্ধ ছিল। আমাদের বিমানগুলো বসেই ছিল। আর একটা বিমান বসে থাকলে তার রক্ষণাবেক্ষণে একটা বিরাট টাকা খরচ হয়।
“সেজন্যই আমি বললাম, আমরা অন্য এয়ারলাইন্সকে টাকা না দিয়ে আমাদের বিমান নিয়ে আসব। কারণ ওরা তো দেশে বসে আছে। কাজেই আমাদের সাথে আসলো আর ঘরের টাকা ঘরেই থাকল, বিমানই পেল।”
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে নিউ ইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট পুনরায় চালুর কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। “আমাদের লক্ষ্য যে নিউ ইয়র্কে অন্তত আমাদের নিজেদের বিমান আসবে। সেটাও আমরা আনতে চাই। জেএফকে (জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) তে ল্যান্ডিং করার প্র্যাকটিসটাও হয়ে গেল। ভবিষ্যতে তো আসব। কাজেই তার প্র্যাকটিসটা এখানে থেকেই করে গেলাম।”
বিমানের অবস্থা এক সময়ে ‘ঝরঝরে’ ছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপির আমলে বিমানের সীমাহীন দুর্নীতি ছিল। এই পর্যন্ত প্রায় ১১টা বিমান আমরা ক্রয় করেছি, আজকে আমাদের ২১টা বিমান।”