আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ওমান উপকূলে বাণিজ্যিক ট্যাংকারে প্রাণঘাতী হামলায় ব্যবহৃত মনুষ্যবিহীন উড়ন্ত যান বা ড্রোনটি ইরানে তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের তদন্তে এটা উঠে এসেছে বলে দাবি করেছে তারা। এ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হয়েছে, তারা এখন সেসব খতিয়ে দেখছেন।
জুলাইয়ের শেষদিকে ওমানের দ্বীপ মাসিরাহ’র পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ইসরায়েলি-পরিচালিত এমটি মার্সার স্ট্রিটে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ট্যাংকারটির রোমানিয়ান ক্যাপ্টেন ও এক ব্রিটিশ নিরাপত্তা রক্ষী আড্রিয়ান আন্ডারউড প্রাণ হারান।
এ ঘটনার জন্য ইসরায়েল ও পশ্চিমা অনেক দেশ ইরানকে দায়ী করলেও তেহরান শুরু থেকেই ট্যাংকারে হামলার দায় অস্বীকার করে আসছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইরান বলছে, হামলায় তাদের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যদি থেকে থাকে, তবে তা প্রকাশ্যে আনা হোক।
হামলার পর মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগানের বিস্ফোরক তদন্ত দল গত সপ্তাহে ড্রোন হামলায় বেঁচে যাওয়াদের সাক্ষাৎকার নেয় এবং বিস্ফোরকের অবশেষসহ নানান আলামত খতিয়ে দেখে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তারা জানায়, এমটি মার্সার স্ট্রিটে হামলার উদ্দেশ্যে মোট তিনটি ড্রোন ছাড়া হয়েছিল। এরমধ্যে ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় ছাড়া দুটি লক্ষ্যে আঘাত হানতে ব্যর্থ হয়।
পরে ৩০ জুলাই ভোরের আগে সামরিক বাহিনীগুলো ব্যবহার করে এমন বিস্ফোরকবোঝাই তৃতীয় ড্রোনটি ছাড়া হয়, যেটি মার্সার স্ট্রিটের চালকের ঘরে আঘাত হানে; এর ফলে ২ মিটার ব্যাসের একটি গর্ত তৈরি হয়, প্রাণ যায় ২ জনের।
হামলায় আরডিএক্স বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়েছে, যার অর্থ ড্রোনটি পাঠানোই হয়েছে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে, বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা।
তারা ড্রোনের পাখার একটি অংশ উদ্ধার করে এবং ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ড্রোনটি ‘ইরানে তৈরি হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়’। গত শুক্রবার শিল্পোন্নত ৭টি দেশের জোট জি-৭ এক যৌথ বিবৃতিতে ইরানের কর্মকা-ের নিন্দা জানিয়েছে। বলেছে, তেহরানের পদক্ষেপ ওই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
ট্যাংকারে হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ইরানে তৈরি : যুক্তরাষ্ট্র
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ