ক্রীড়া প্রতিবেদক : শুধু টি-টোয়েন্টি সংস্করণের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ দেওয়ার পর এবার টেস্টের জন্যও এমন কিছুর প্রয়োজনীয়তা দেখছে বিসিবি। শিগগিরই কোচিং প্যানেলে পরিবর্তন দেখা যাবে বলেও জানিয়ে রাখলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হিসেবে রাসেল ডমিঙ্গোর ভবিষ্যৎ তাই এখন বলা যায় অনিশ্চিত। ডমিঙ্গোর কোচিংয়ে বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ড সফরে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক এক জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। তবে ওই সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়েযেতে পারেনি টেস্ট দল। বরং এই বছর পরের ৮ টেস্টেই তারা হেরে যায় বাজেভাবে। বছরের শেষ প্রান্তে এসে আবার আরেকটি স্মরণীয় জয়ের সুযোগ তৈরি হয়। মিরপুরে ভারতকে হারানোর খুব কাছাকাছি চলে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু অষ্টম উইকেটে ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন জিতিয়ে তেন ভারতকে। এই টেস্ট শেষের একটু পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোচিং স্টাফে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।
“আমাদের একজন কোচ দরকার, যে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো। ওয়ানডেতে আমরা ভালোই করছি। সেটার দিতে তাও নজর রাখা দরকার, কারণ, বিশ্বকাপ খুবই কাছে, ২০২৩ সালে। এটির দিকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি, আমরা চাই, টেস্ট দলের টিম ম্যানেজমেন্টে যারা থাকবেন, তারা যেন ইম্প্যাক্ট রাখতে পারেন।” “কোচের যাতে দলের ওপর ইমপ্যাক্ট থাকে, দলের মধ্যে তার ইনফ্লুয়েন্স থাকে, প্রভাব থাকে। আমাদের এই ধরনের কোচ দরকার। আমার মনে হয় শিগগির আপনারা কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবেন। দেখা যাক, চেষ্টা করছি আমরা।” কাগজে-কলমে তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের প্রধান কোচ ডমিঙ্গো। তবে গত অগাস্টে টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট করে আনা হয় শ্রীধরন শ্রীরামকে। তার কাজ ছিল মূলত প্রধান কোচেরই। সাবেক এই ভারতীয় অলরাউন্ডারের সঙ্গে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল চু্ক্িত। সামনেও তাকে টি-টোয়েন্টির জন্য আবার আনা হতে পারে বলে নানা সময়ে ইঙ্গিত মিলেছে বিসিবি কর্তাদের কথায়। এবার পরিবর্তনের ডাক শোনা যাচ্ছে টেস্টে। র‌্যাঙ্কিংয়ে নিচের সারির দলগুলির সঙ্গে জিতে সন্তুষ্টির যে বলয়, তা ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায় বিসিবি। টেস্টে দলকে সামনে এগিয়ে নিতে কোচিংয়ে পরিবর্তন জরুরি বলেই মনে করছেন জালাল ইউনুস।
“আমরা অবশ্যই চাইব একটা শক্তিশালী দল। মানসম্পন্ন ক্রিকেট খেলতে হবে, তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে হবে। এমন নয় যে আমরা টেস্ট খেলছি স্রেফ খেলার জন্য। নিচের র‌্যাঙ্কের দলের সঙ্গে জিতে খুশি হচ্ছি, আনন্দ করছি, এমন নয়। আজ যেমন ভারতের সঙ্গে, ইট ওয়াজ ভেরি ক্লোজ।” “যত কিছুই বলুন, ভারতের সঙ্গে জেতা কঠিন। এখানে আমরা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের সঙ্গে জিতেছি। কিন্তু ভারত এই কন্ডিশন খুব ভালো জানে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার সাথে তুলনা করলে ভারতের সঙ্গে পারা কঠিন। তবে কাছে এসে গিয়েছিলাম। এমনটি চট্টগ্রামেও, আর কিছু রান যদি থাকত, ড্রয়ের পথে যেতে পারতাম, জিতেও যেতে পারতাম। টেস্টেও আমরা ভালো করেছি, সর্বাত্মক চেষ্টা করছি আরও ভালো করার জন্য। অপেক্ষা করুন, কিছু পরিবর্তন হয়তো দেখতে পাবেন।”