ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা

টেকনাফ পাহাড় থেকে ৮৪ জনকে উদ্ধার, আটক ৩

  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজার সংবাদদাতা: কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে মানব পাচারকারীদের আস্তানায় বিজিবি-র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে ৮৪ জন মালয়েশিয়াগামীকে উদ্ধার করেছে। এ সময় মানব পাচারকারীর চক্রের সদস্যরা গুলি চালায়। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আটক মানব পাচারকারীরা হলো– টেকনাফের বাহারছড়ার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ (২১); একই এলাকার সাইফুল ইসলাম (২০) ও ইব্রাহিম (২০)।

সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, ‘টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়ায় গহিন পাহাড়ে একটি পাচারকারী চক্র মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজনকে আটক রাখার খবর পাওয়া যায়। গতকাল রাতে বিজিবি-র‌্যাব সদস্যরা প্রথমে বাহারছড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে একজন পাচারকারীকে আটকসহ চার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন। তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে পাহাড়ে আমরা সমন্বিতভাবে বৃহৎ যৌথ অভিযান পরিচালনা করি। আলাদাভাবে পাচারকারীদের তিনটি পাহাড়ি আস্তানা থেকে ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পাচারের জন্য জড়ো করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘বিজিবি ও র‌্যাবের ১২ ঘণ্টার দুঃসাহসিক অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান এবং একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি দেশি রামদা ও একটি চাকু, তিনটি অস্ত্রের চেম্বার থেকে তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি টেকনাফের পাহাড়ে মানব পাচারের বেশ কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে। ফলে আমরা টহল-নজরদারির মাধ্যমে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছি। এরই অংশ হিসেবে আমরা কয়েকটি পাহাড়ে মানব পাচার চক্রের আস্তানায় হানা দিয়ে সমুদ্রপথে মিয়ানমার হয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা ৮৪ জনকে উদ্ধার করি। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত হোসেন, সাইফুল ও নিজাম নামের তিন ব্যক্তি এই আন্তর্জাতিক চক্রের মূল হোতা। তাদের অধীনে রয়েছে বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত দালালদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ক্যাম্পের চক্রও জড়িত রয়েছে। তাদের ধরতে আমরা কাজ করছি।’

এসি/আপ্র/২২/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা

টেকনাফ পাহাড় থেকে ৮৪ জনকে উদ্ধার, আটক ৩

আপডেট সময় : ০৫:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার সংবাদদাতা: কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে মানব পাচারকারীদের আস্তানায় বিজিবি-র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে ৮৪ জন মালয়েশিয়াগামীকে উদ্ধার করেছে। এ সময় মানব পাচারকারীর চক্রের সদস্যরা গুলি চালায়। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আটক মানব পাচারকারীরা হলো– টেকনাফের বাহারছড়ার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ (২১); একই এলাকার সাইফুল ইসলাম (২০) ও ইব্রাহিম (২০)।

সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, ‘টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়ায় গহিন পাহাড়ে একটি পাচারকারী চক্র মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজনকে আটক রাখার খবর পাওয়া যায়। গতকাল রাতে বিজিবি-র‌্যাব সদস্যরা প্রথমে বাহারছড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে একজন পাচারকারীকে আটকসহ চার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন। তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে পাহাড়ে আমরা সমন্বিতভাবে বৃহৎ যৌথ অভিযান পরিচালনা করি। আলাদাভাবে পাচারকারীদের তিনটি পাহাড়ি আস্তানা থেকে ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পাচারের জন্য জড়ো করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘বিজিবি ও র‌্যাবের ১২ ঘণ্টার দুঃসাহসিক অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান এবং একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি দেশি রামদা ও একটি চাকু, তিনটি অস্ত্রের চেম্বার থেকে তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি টেকনাফের পাহাড়ে মানব পাচারের বেশ কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে। ফলে আমরা টহল-নজরদারির মাধ্যমে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছি। এরই অংশ হিসেবে আমরা কয়েকটি পাহাড়ে মানব পাচার চক্রের আস্তানায় হানা দিয়ে সমুদ্রপথে মিয়ানমার হয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা ৮৪ জনকে উদ্ধার করি। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত হোসেন, সাইফুল ও নিজাম নামের তিন ব্যক্তি এই আন্তর্জাতিক চক্রের মূল হোতা। তাদের অধীনে রয়েছে বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত দালালদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ক্যাম্পের চক্রও জড়িত রয়েছে। তাদের ধরতে আমরা কাজ করছি।’

এসি/আপ্র/২২/০৯/২০২৫