ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

টুইটারের হাল ধরতে নতুন সিইও

  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ ছেড়েছেন। এ পদে এনবিসিইউনিভার্সালের বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান লিন্ডা ইয়াকারিনোর নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। কমকাস্ট কর্পোরেশনের মালিকানাধীন এনবিসিইউনিভার্সালের বিজ্ঞাপন ব্যবসার আধুনিকীকরণে বেশ কয়েক বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন লিন্ডা। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আয় কমে যাওয়ায় ঋণের বোঝায় জর্জরিত টুইটারে বিজ্ঞাপন প্রবাহ বাড়াতে লিন্ডা ইয়াকারিনোকে সিইও পদে নিয়োগ দিয়েছেন এলন মাস্ক। শুক্রবার (১২ মে) এক টুইটে এলন মাস্ক লিন্ডার নিয়োগের ঘোষণা দেন। এতে তিনি বলেন, টুইটারের নতুন সিইও হিসেবে লিন্ডা ইয়াকারিনোকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। তিনি প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়িক দিকটিতে মনোযোগ দেবেন। অন্যদিকে, আমি টুইটার প্রডাক্টের ডিজাইন ও নতুন প্রযুক্তির দিকে মনোযোগী হব। এই প্ল্যাটফর্মটিকে এক্স বা এভরিথিং অ্যাপে রূপান্তর করতে লিন্ডার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। গত অক্টোবরে এলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা নেওয়ার পরপর প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বও নেন তিনি। এর পর তার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও টুইটারের দীর্ঘদিনের নীতি পরিবর্তনের কারণে সংস্থাটিতে ধস নামে। বড় বিজ্ঞাপনদাতারা একে একে প্ল্যাটফর্মটি থেকে সরে যায়। এলন মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর টুইটারে প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মী চাকরিচ্যুত হন। এতে বিজ্ঞাপনদাতারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বিজ্ঞাপনদাতাদের আশঙ্কা হলো, লোকবলের অভাবে টুইটারে দেওয়া বিজ্ঞাপন অনুপযুক্ত কন্টেন্টের সঙ্গে প্রকাশ হতে পারে। এতে তারা আশানুরূপ ফল পাবেন না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে টুইটারে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন এলন মাস্ক। এলন মাস্ক মালিকানা নিয়েই দ্রুত একটি সাবস্ক্রিপশন প্রডাক্ট চালু করেছেন। এই প্রডাক্টের কারণে স্ক্যামাররা বড় ব্র্যান্ডের ছদ্মবেশ ধারণ করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এলন মাস্ক যেসব ব্যবহারকারীর সঙ্গে একমত নন তাদের একাউন্ট প্রায়ই বাতিল করে দেন তিনি। এসব কারণ বড় ব্র্যান্ডগুলো টুইটার থেকে দূরে সরে গেছে। টুইটারের আয়ের বড় খাত ছিল বিজ্ঞাপন। আয়ের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে এলন মাস্ক টাকার বিনিময়ে টুইটারের ব্লু টিক বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। একটি ব্লু টিক সাবসক্রিপশন কিনতে ব্যবহারকারীদের প্রতি মাসে ৮ ডলার খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু টুইটারের এই প্রডাক্ট আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। এলন মাস্কের কারণে বিজ্ঞাপনে ধস, টুইটারের হাল ধরতে নতুন সিইও স্বাধীন গবেষক ট্রাভিস ব্রাউন টুইটারের ব্লু টিক সাবস্ক্রাইবারের দিকে শুরু থেকে নজর রাখছেন। তিনি জানান, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন ব্লু টিক সাবস্ক্রাইব করেছেন। বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত একটি প্লাটফর্মের জন্য এই সংখ্যা নগন্য। উল্লেখ্য যে, ইভরিথিং অ্যাপ মাস্কের স্বপ্নের একটি প্রকল্প। মাক্স টুইটারকে এক্স নামকরণ করে এভরিথিং অ্যাপে রূপান্তর করতে চান। তিনি আগে জানিয়েছিলেন, এভরিথিং অ্যাপ পিয়ার-টু-পিয়ার পেমেন্টের মতো বিভিন্ন পরিষেবা সরবরাহ করার সুবিধা নিয়ে তৈরি করা হবে। বিজ্ঞাপন ক্ষেত্রে ইয়াকারিনোর মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে সিইও পদে বসানোর ব্যাপারটি এভরিথিং অ্যাপে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বিষয়ে এলন মাস্কের মনোযোগ বৃদ্ধির বার্তা দিচ্ছে। প্রযুক্তিখাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন নির্বাহী পদে কাজ করা ও বিপণন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এজিএল অ্যাডভাইজরির প্রধান নির্বাহী লউ প্যাসকাইলস লিন্ডার নিয়োগের ব্যাপারে বলেন, ‘নতুন এই প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে অবিলম্বে টুইটারের গতিপথ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনেকরি, টুইটারের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনবিসিইউ-তে পাহাড় টপকাতে অনবদ্য কাজ করেছেন। তবে এখন টুইটারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আর কিছু নেই।’
লিন্ডা ইয়াকারিনোর জন্ম ইতালীয়-আমেরিকান পরিবারে, ১৯৬৩ সালের ২৭ নভেম্বর। তার বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, মা অবশ্য কলেজ পর্যন্ত পড়েননি। স্নাতক শেষ করে লিন্ডা টার্নার এন্টারটেইনমেন্টে টানা ১৫ বছর কাজ করেন। পরে তিনি যোগ দেন এনবিসিইউনিভার্সালে। এই সংস্থার স্ট্রিমিং সার্ভিস চালু করার ক্ষেত্রে তার অবদান রয়েছে। তিনি মূলত বড় ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য বিশেষজ্ঞ। তিনি এনবিসিইউনিভার্সালের হয়ে অ্যাপল নিউজ, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউবের প্লাটফর্মের সঙ্গে সফলভাবে কাজ করেছেন। পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে বিজ্ঞাপন শিল্পে নানা নতুন ধারার প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত লিন্ডা। টুইটারে লিন্ডার প্রথম ও প্রধান কাজ হবে বড় ব্র্যান্ডগুলোকে ফিরিয়ে আনার জন্য পরিবেশ তৈরি করা। মিডিয়া কেনাবেচার প্লাটফর্ম হরাইজনেড় প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ডেভ ক্যাম্পনেলি এমনটাই মনে করেন। তিনি বলেন, আমি মনেকরি লিন্ডার প্রথম কাজ হবে, বিজ্ঞাপনদাতারা কী চায় সেই বোধটি টুইটারে তৈরি করা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টুইটারের হাল ধরতে নতুন সিইও

আপডেট সময় : ০৪:১৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ ছেড়েছেন। এ পদে এনবিসিইউনিভার্সালের বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান লিন্ডা ইয়াকারিনোর নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। কমকাস্ট কর্পোরেশনের মালিকানাধীন এনবিসিইউনিভার্সালের বিজ্ঞাপন ব্যবসার আধুনিকীকরণে বেশ কয়েক বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন লিন্ডা। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আয় কমে যাওয়ায় ঋণের বোঝায় জর্জরিত টুইটারে বিজ্ঞাপন প্রবাহ বাড়াতে লিন্ডা ইয়াকারিনোকে সিইও পদে নিয়োগ দিয়েছেন এলন মাস্ক। শুক্রবার (১২ মে) এক টুইটে এলন মাস্ক লিন্ডার নিয়োগের ঘোষণা দেন। এতে তিনি বলেন, টুইটারের নতুন সিইও হিসেবে লিন্ডা ইয়াকারিনোকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। তিনি প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়িক দিকটিতে মনোযোগ দেবেন। অন্যদিকে, আমি টুইটার প্রডাক্টের ডিজাইন ও নতুন প্রযুক্তির দিকে মনোযোগী হব। এই প্ল্যাটফর্মটিকে এক্স বা এভরিথিং অ্যাপে রূপান্তর করতে লিন্ডার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। গত অক্টোবরে এলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা নেওয়ার পরপর প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বও নেন তিনি। এর পর তার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও টুইটারের দীর্ঘদিনের নীতি পরিবর্তনের কারণে সংস্থাটিতে ধস নামে। বড় বিজ্ঞাপনদাতারা একে একে প্ল্যাটফর্মটি থেকে সরে যায়। এলন মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর টুইটারে প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মী চাকরিচ্যুত হন। এতে বিজ্ঞাপনদাতারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বিজ্ঞাপনদাতাদের আশঙ্কা হলো, লোকবলের অভাবে টুইটারে দেওয়া বিজ্ঞাপন অনুপযুক্ত কন্টেন্টের সঙ্গে প্রকাশ হতে পারে। এতে তারা আশানুরূপ ফল পাবেন না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে টুইটারে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন এলন মাস্ক। এলন মাস্ক মালিকানা নিয়েই দ্রুত একটি সাবস্ক্রিপশন প্রডাক্ট চালু করেছেন। এই প্রডাক্টের কারণে স্ক্যামাররা বড় ব্র্যান্ডের ছদ্মবেশ ধারণ করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এলন মাস্ক যেসব ব্যবহারকারীর সঙ্গে একমত নন তাদের একাউন্ট প্রায়ই বাতিল করে দেন তিনি। এসব কারণ বড় ব্র্যান্ডগুলো টুইটার থেকে দূরে সরে গেছে। টুইটারের আয়ের বড় খাত ছিল বিজ্ঞাপন। আয়ের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে এলন মাস্ক টাকার বিনিময়ে টুইটারের ব্লু টিক বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। একটি ব্লু টিক সাবসক্রিপশন কিনতে ব্যবহারকারীদের প্রতি মাসে ৮ ডলার খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু টুইটারের এই প্রডাক্ট আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। এলন মাস্কের কারণে বিজ্ঞাপনে ধস, টুইটারের হাল ধরতে নতুন সিইও স্বাধীন গবেষক ট্রাভিস ব্রাউন টুইটারের ব্লু টিক সাবস্ক্রাইবারের দিকে শুরু থেকে নজর রাখছেন। তিনি জানান, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন ব্লু টিক সাবস্ক্রাইব করেছেন। বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত একটি প্লাটফর্মের জন্য এই সংখ্যা নগন্য। উল্লেখ্য যে, ইভরিথিং অ্যাপ মাস্কের স্বপ্নের একটি প্রকল্প। মাক্স টুইটারকে এক্স নামকরণ করে এভরিথিং অ্যাপে রূপান্তর করতে চান। তিনি আগে জানিয়েছিলেন, এভরিথিং অ্যাপ পিয়ার-টু-পিয়ার পেমেন্টের মতো বিভিন্ন পরিষেবা সরবরাহ করার সুবিধা নিয়ে তৈরি করা হবে। বিজ্ঞাপন ক্ষেত্রে ইয়াকারিনোর মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে সিইও পদে বসানোর ব্যাপারটি এভরিথিং অ্যাপে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বিষয়ে এলন মাস্কের মনোযোগ বৃদ্ধির বার্তা দিচ্ছে। প্রযুক্তিখাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন নির্বাহী পদে কাজ করা ও বিপণন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এজিএল অ্যাডভাইজরির প্রধান নির্বাহী লউ প্যাসকাইলস লিন্ডার নিয়োগের ব্যাপারে বলেন, ‘নতুন এই প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে অবিলম্বে টুইটারের গতিপথ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনেকরি, টুইটারের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনবিসিইউ-তে পাহাড় টপকাতে অনবদ্য কাজ করেছেন। তবে এখন টুইটারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আর কিছু নেই।’
লিন্ডা ইয়াকারিনোর জন্ম ইতালীয়-আমেরিকান পরিবারে, ১৯৬৩ সালের ২৭ নভেম্বর। তার বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, মা অবশ্য কলেজ পর্যন্ত পড়েননি। স্নাতক শেষ করে লিন্ডা টার্নার এন্টারটেইনমেন্টে টানা ১৫ বছর কাজ করেন। পরে তিনি যোগ দেন এনবিসিইউনিভার্সালে। এই সংস্থার স্ট্রিমিং সার্ভিস চালু করার ক্ষেত্রে তার অবদান রয়েছে। তিনি মূলত বড় ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য বিশেষজ্ঞ। তিনি এনবিসিইউনিভার্সালের হয়ে অ্যাপল নিউজ, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউবের প্লাটফর্মের সঙ্গে সফলভাবে কাজ করেছেন। পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে বিজ্ঞাপন শিল্পে নানা নতুন ধারার প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত লিন্ডা। টুইটারে লিন্ডার প্রথম ও প্রধান কাজ হবে বড় ব্র্যান্ডগুলোকে ফিরিয়ে আনার জন্য পরিবেশ তৈরি করা। মিডিয়া কেনাবেচার প্লাটফর্ম হরাইজনেড় প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ডেভ ক্যাম্পনেলি এমনটাই মনে করেন। তিনি বলেন, আমি মনেকরি লিন্ডার প্রথম কাজ হবে, বিজ্ঞাপনদাতারা কী চায় সেই বোধটি টুইটারে তৈরি করা।