ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

টি-মোবাইল হ্যাকিংয়ে শিকার হয়েছেন পাঁচ কোটির বেশি

  • আপডেট সময় : ১১:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : টি-মোবাইল ইউএস ইনকর্পোরেটেড গ্রাহকদের ডেটা বেহাত হওয়া নিয়ে চলছে তদন্ত। সম্প্রতি জানা গেছে, ওই আক্রমণেই আরও ৫৩ লাখ গ্রাহকের ডেটা হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। ফলে এখন মোট আক্রান্ত গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি ৩০ লাখেরও উপরে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, ৭৮ লাখ বিদ্যমান গ্রাহকের পাশাপাশি চার কোটিরও বেশি সাবেক ও সম্ভাব্য গ্রাহকের ব্যক্তিগত ডেটা হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা।

ঘটনার পরপরই ইউএস ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি) তদন্ত শুরু করেছে বিষয়টি নিয়ে। সম্প্রতি টি-মোবাইল জানিয়েছে, আক্রমণে আক্রান্ত আরও ৫৩ লাখ গ্রাহককে শনাক্ত করেছে তারা। এ ছাড়াও সাবেক গ্রাহকদের ছয় লাখ ৬৭ হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্ট আক্রান্ত হয়েছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

গ্রাহকদের বেহাত হওয়া ডেটার মধ্যে রয়েছে ঠিকানা, জন্মতারিখ এবং ফোন নম্বর। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ক্রেডিট কার্ড বা অন্যান্য লেনদেন তথ্যের মতো আর্থিক তথ্য বেহাত হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।

এরই মধ্যে ডেটা বেহাতের ঘটনায় টি-মোবাইলের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল ফেডারেল আদালতে দায়ের করেছেন কিছু গ্রাহক। প্রস্তাবিত ওই ক্লাস অ্যাকশনে অভিযোগকারীরা বলেছেন, সাইবার আক্রমণে তাদের গোপনতার লঙ্ঘন হয়েছে এবং তাদেরকে প্রতারণা ও পরিচয় চুরির উচ্চ ঝুঁকির মুখে ফেলেছে ঘটনাটি।

করোনাভাইরাস মহামারীর মুখে সাইবার আক্রমণের ঘটনা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। হ্যাকাররা বাসা থেকে কাজের এ সময়টিতে ব্যবহারকারীর সিস্টেমের গোপনতা ও সুরক্ষার দুর্বলতাকে কাজে লাগাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার আক্রমণ কবলিত বড় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান টি-মোবাইল। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও হ্যাকারদের হামলার মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে সম্ভাব্য এক অনুপ্রবেশের ঘটনা জানিয়েছিল। সেবার টি-মোবাইলের সাত কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের তিন শতাংশ আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডাগ শ্মিড বলেছেন, “গত চার বছরে ছয়বার অন্যান্য ডেটা বেহাতের মুখে পড়েছে টি-মোবাইল।”

“মনে হচ্ছে, তারা এ সময়ের মধ্যে তাদের অবগত নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করতে না পারায় তাদের আইটি সিস্টেম বিশেষভাবে দুর্বল, এটি গ্রাহকের জন্য উদ্বেগের ব্যাপার।”

শুক্রবার এক নিয়ন্ত্রক নথিতে টি-মোবাইল জানিয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলার সময়টিতে তারা “অনুপ্রবেশ বন্ধ করে” দিতে পেরেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টি-মোবাইল হ্যাকিংয়ে শিকার হয়েছেন পাঁচ কোটির বেশি

আপডেট সময় : ১১:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : টি-মোবাইল ইউএস ইনকর্পোরেটেড গ্রাহকদের ডেটা বেহাত হওয়া নিয়ে চলছে তদন্ত। সম্প্রতি জানা গেছে, ওই আক্রমণেই আরও ৫৩ লাখ গ্রাহকের ডেটা হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। ফলে এখন মোট আক্রান্ত গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি ৩০ লাখেরও উপরে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, ৭৮ লাখ বিদ্যমান গ্রাহকের পাশাপাশি চার কোটিরও বেশি সাবেক ও সম্ভাব্য গ্রাহকের ব্যক্তিগত ডেটা হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা।

ঘটনার পরপরই ইউএস ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি) তদন্ত শুরু করেছে বিষয়টি নিয়ে। সম্প্রতি টি-মোবাইল জানিয়েছে, আক্রমণে আক্রান্ত আরও ৫৩ লাখ গ্রাহককে শনাক্ত করেছে তারা। এ ছাড়াও সাবেক গ্রাহকদের ছয় লাখ ৬৭ হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্ট আক্রান্ত হয়েছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

গ্রাহকদের বেহাত হওয়া ডেটার মধ্যে রয়েছে ঠিকানা, জন্মতারিখ এবং ফোন নম্বর। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ক্রেডিট কার্ড বা অন্যান্য লেনদেন তথ্যের মতো আর্থিক তথ্য বেহাত হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।

এরই মধ্যে ডেটা বেহাতের ঘটনায় টি-মোবাইলের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল ফেডারেল আদালতে দায়ের করেছেন কিছু গ্রাহক। প্রস্তাবিত ওই ক্লাস অ্যাকশনে অভিযোগকারীরা বলেছেন, সাইবার আক্রমণে তাদের গোপনতার লঙ্ঘন হয়েছে এবং তাদেরকে প্রতারণা ও পরিচয় চুরির উচ্চ ঝুঁকির মুখে ফেলেছে ঘটনাটি।

করোনাভাইরাস মহামারীর মুখে সাইবার আক্রমণের ঘটনা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। হ্যাকাররা বাসা থেকে কাজের এ সময়টিতে ব্যবহারকারীর সিস্টেমের গোপনতা ও সুরক্ষার দুর্বলতাকে কাজে লাগাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার আক্রমণ কবলিত বড় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান টি-মোবাইল। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও হ্যাকারদের হামলার মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে সম্ভাব্য এক অনুপ্রবেশের ঘটনা জানিয়েছিল। সেবার টি-মোবাইলের সাত কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের তিন শতাংশ আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডাগ শ্মিড বলেছেন, “গত চার বছরে ছয়বার অন্যান্য ডেটা বেহাতের মুখে পড়েছে টি-মোবাইল।”

“মনে হচ্ছে, তারা এ সময়ের মধ্যে তাদের অবগত নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করতে না পারায় তাদের আইটি সিস্টেম বিশেষভাবে দুর্বল, এটি গ্রাহকের জন্য উদ্বেগের ব্যাপার।”

শুক্রবার এক নিয়ন্ত্রক নথিতে টি-মোবাইল জানিয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলার সময়টিতে তারা “অনুপ্রবেশ বন্ধ করে” দিতে পেরেছেন।