ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে ভাবার এখনই সময়

  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার সম্পৃক্ততা আর কর্তব্যনিষ্ঠা এবং আত্মনিবেদন দেখেই ঘুরেফিরে তার ওপর জাতীয় দল পরিচালনার ভার ন্যস্ত করা হয়। টিম বাংলাদেশের ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ বলা হয় খালেদ মাহমুদ সুজনকে।
জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দল চিন্তাভাবনা করার এখনই সময়। এ ফরম্যাটে আসলে বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে, ভুলত্রুটি-সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলো কী কী? এসব খুঁজে বের করে টি-টোয়েন্টিতে সাহসী শুরু দরকার।
সুজনের কথা, ‘এই ফরম্যাটে আমরা এখনও শক্ত প্রতিপক্ষ না। আমরা ভালো দল। তবে এখনও নিজেদের প্রমাণ করতে পারিনি। যদিও আমরা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তানের সঙ্গেও (১ ম্যাচের) দেশের মাটিতে সিরিজ জিতেছি। তারপরও আমরা বিশ্বকাপে ভাল করিনি। ’
ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। খেলতে খেলতে ওয়ানডেটা শিখে গেছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ এখনও নিয়মিত ভালো খেলে না। এ কথা স্বীকার করে সুজন বলেন, ‘এ ফরম্যাটে আমরা ব্যাকফুটেই আছি। এ ফরম্যাটে কিভাবে আগাবো, তা নিয়ে ভাবনার ও পথ খোঁজার এখনই সময়।’ কীভাবে সামনে আগানো যায়? কোন পরামর্শ বা প্রস্তাব আছে আপনার? সুজনের পরিষ্কার কথা, ‘একদম ভয়ডরহীন এবং সাহসী ক্রিকেট খেলতে হবে। কীভাবে সে ‘ফিয়ারলেস’ ক্রিকেট খেলা যায়, সে পথ খুঁজে বের করতেই হবে।’
তার অনুভব, ‘সব দলের ওপরে ও নিচে হাত খুলে খেলার মতো পাওয়ার ও বিগ হিটার থাকে। আমাদের মাহমুদউল্লাহও অবশ্য মারে। আর তেমন কেউ নেই যে নিচের দিকে মারতে পারে। আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড, বেন স্টোকসের মতো কেউ নেই আমাদের। টি-টোয়েন্টির প্রসেসটাও ঠিক হয়নি।’
তবে বোলিং নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই সুজনের। নিজ দলের বোলিংটাকে সময়ের অন্যতম সেরা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যে কোনো উইকেটে ১৬০-এর বেশি করতে পারলে লড়াই করতে পারবো। বাংলাদেশের বর্তমানে যে বোলিং অ্যাটাক আছে, সেটা অন্যতম সেরা।
‘ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে যে আমাদের ১৫০-১৬০ করতে হবে। সেই স্কোরটা ২০ ওভারে আমরা কিভাবে করবো, ভেরি ইম্পর্টেন্ট। আপনি যদি শুরুর দিকে আগ্রাসী ক্রিকেট না খেলেন, তাহলে খুব কঠিন এমন স্কোর গড়া।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নতুন করেই শুরু করতে হবে, নতুনদের নিয়ে চিন্তা করতে হবে-এমন ভাবনা সুজনের। তার ভাষায়, ‘কিছু জায়গায় পরিবর্তন দরকার। নতুনদের নিয়ে চিন্তা করতেই হবে। সবচেয়ে বড় কথা সাহসী শুরু দরকার। আমাদেরকে ওই চ্যালেঞ্জটাই নিতে হবে। আমরা হয়তো ৮-১০টি ম্যাচ হারবো। কিন্তু ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার প্রসেসটা শিখতে হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইইউ ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে ভাবার এখনই সময়

আপডেট সময় : ০৯:০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার সম্পৃক্ততা আর কর্তব্যনিষ্ঠা এবং আত্মনিবেদন দেখেই ঘুরেফিরে তার ওপর জাতীয় দল পরিচালনার ভার ন্যস্ত করা হয়। টিম বাংলাদেশের ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ বলা হয় খালেদ মাহমুদ সুজনকে।
জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দল চিন্তাভাবনা করার এখনই সময়। এ ফরম্যাটে আসলে বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে, ভুলত্রুটি-সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলো কী কী? এসব খুঁজে বের করে টি-টোয়েন্টিতে সাহসী শুরু দরকার।
সুজনের কথা, ‘এই ফরম্যাটে আমরা এখনও শক্ত প্রতিপক্ষ না। আমরা ভালো দল। তবে এখনও নিজেদের প্রমাণ করতে পারিনি। যদিও আমরা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তানের সঙ্গেও (১ ম্যাচের) দেশের মাটিতে সিরিজ জিতেছি। তারপরও আমরা বিশ্বকাপে ভাল করিনি। ’
ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। খেলতে খেলতে ওয়ানডেটা শিখে গেছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ এখনও নিয়মিত ভালো খেলে না। এ কথা স্বীকার করে সুজন বলেন, ‘এ ফরম্যাটে আমরা ব্যাকফুটেই আছি। এ ফরম্যাটে কিভাবে আগাবো, তা নিয়ে ভাবনার ও পথ খোঁজার এখনই সময়।’ কীভাবে সামনে আগানো যায়? কোন পরামর্শ বা প্রস্তাব আছে আপনার? সুজনের পরিষ্কার কথা, ‘একদম ভয়ডরহীন এবং সাহসী ক্রিকেট খেলতে হবে। কীভাবে সে ‘ফিয়ারলেস’ ক্রিকেট খেলা যায়, সে পথ খুঁজে বের করতেই হবে।’
তার অনুভব, ‘সব দলের ওপরে ও নিচে হাত খুলে খেলার মতো পাওয়ার ও বিগ হিটার থাকে। আমাদের মাহমুদউল্লাহও অবশ্য মারে। আর তেমন কেউ নেই যে নিচের দিকে মারতে পারে। আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড, বেন স্টোকসের মতো কেউ নেই আমাদের। টি-টোয়েন্টির প্রসেসটাও ঠিক হয়নি।’
তবে বোলিং নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই সুজনের। নিজ দলের বোলিংটাকে সময়ের অন্যতম সেরা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যে কোনো উইকেটে ১৬০-এর বেশি করতে পারলে লড়াই করতে পারবো। বাংলাদেশের বর্তমানে যে বোলিং অ্যাটাক আছে, সেটা অন্যতম সেরা।
‘ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে যে আমাদের ১৫০-১৬০ করতে হবে। সেই স্কোরটা ২০ ওভারে আমরা কিভাবে করবো, ভেরি ইম্পর্টেন্ট। আপনি যদি শুরুর দিকে আগ্রাসী ক্রিকেট না খেলেন, তাহলে খুব কঠিন এমন স্কোর গড়া।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নতুন করেই শুরু করতে হবে, নতুনদের নিয়ে চিন্তা করতে হবে-এমন ভাবনা সুজনের। তার ভাষায়, ‘কিছু জায়গায় পরিবর্তন দরকার। নতুনদের নিয়ে চিন্তা করতেই হবে। সবচেয়ে বড় কথা সাহসী শুরু দরকার। আমাদেরকে ওই চ্যালেঞ্জটাই নিতে হবে। আমরা হয়তো ৮-১০টি ম্যাচ হারবো। কিন্তু ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার প্রসেসটা শিখতে হবে।’