ক্রীড়া ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হয়ে গেছে। ইংল্যান্ড জাতীয় দলে কোচিংয়ের দায়িত্ব চলছে পুরোদমে। সব ধরনের ক্রিকেটেই খেলোয়াড়ি জীবনের অধ্যায় এখন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু জেমস অ্যান্ডারসন শুরু করতে যাচ্ছেন নতুনভাবে। ল্যাঙ্কাশায়ারে হয়ে আগামী মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তো খেলবেনই, সব ঠিক থাকলে কিংবদন্তি পেসারকে দেখা যাবে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টেও।
ল্যাঙ্কাশায়ারের সঙ্গে অ্যান্ডারসনের নতুন চুক্তির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল কয়েকদিন ধরেই। টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন, এমনটিই ধারণা করা হচ্ছিল। এবার ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষ থেকে জানানো হলো, এক মৌসুমের এই চুক্তিতে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি থাকছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটও।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অ্যান্ডারসন সবশেষ খেলেছেন ২০১৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়েই। ইংল্যান্ডের হয়ে ২০ ওভারের ম্যাচে তাকে শেষবার দেখা গেছে সেই ২০০৯ সালে। আগামী ইংলিশ গ্রীষ্মে ৪৩ বছর পূর্ণ হবে অ্যান্ডারসনের। ২৫ বছর আগে যে ক্লাবের হয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়েছিল তার, সেই ক্লাবে নতুন চুক্তি তাকে রোমাঞ্চে ভাসাচ্ছে।
“ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে নতুন চুক্তিতে সই করতে পেরে ও আগামী মৌসুমে পেশাদার খেলোয়াড়ি জীবন আবার শুরু করার সুযোগ পেয়ে আমি অবিশ্বাস্যরকমের রোমাঞ্চিত। টিনএজ বয়স থেকেই এই ক্লাব আমার জীবনে বিশাল ভূমিকা রেখেছে। তাই এই ক্লাবের জার্সি আবার গায়ে চাপানোর সুযোগ পেয়ে এবং লাল ও সাদা, উভয় বলের ক্রিকেটে দলকে সহায়তা করার জন্য সত্যিই মুখিয়ে আছি।”
গত মৌসুমে কাউন্টি ক্রিকেটে একটি ম্যাচই তিনি খেলেছিলেন ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে। ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ৩৫ রানে। এরপর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট দিয়ে বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানেন তিনি ৭০৪ টেস্ট উইকেট নিয়ে। অবসরের পরের টেস্ট থেকেই নতুন দায়িত্ব শুরু হয় তার। পেস বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দেন ইংল্যান্ড দলে। শুরুতে শুধু ইংলিশ গ্রীষ্মে কাজ করার কথা থাকলেও পরে পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ড সফরেও তাকে কোচের দায়িত্ব রেখে দেয় ইংল্যান্ডের বোর্ড।
সেই দায়িত্ব চলছে এখনও। ভারতে সীমিত ওভারের সিরিজের আগে আবু ধাবিতে চলছে বিশেষ ক্যাম্প, সেখানে কাজ করছেন অ্যান্ডারসন। আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তিনি থাকবেন ইংল্যান্ডের কোচিং স্টাফে। অ্যান্ডারসন জানালেন, কোচিংয়ের ফাঁকে নিজের বোলিংই ঝালিয়ে নিচ্ছেন তিনি। “ফিটনেসের মান উঁচুতে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি আমি এবং ইংল্যান্ডের হয়ে কোচের দায়িত্ব পালনের সময় নিয়মিত বোলিং করে যাচ্ছি। এটাই ভাবনায় ছিল যে, এপ্রিলে শুরু হতে যাওয়া কাউন্টি মৌসুমে আবার মাঠে নামতে চাই” “এমিরেটস ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে খেলতে আমি দারুণ ভালোবাসি এবং ক্লাবের সদস্য ও সমর্থকদের সামনে আবার মাঠে নামা ও বোলিং করতে পারার সুযোগ হবে বিশেষ কিছু।”