চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদিকে টপকে শীর্ষ উইকেট শিকারি হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ১১৪ ম্যাচে ১৩৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। সাকিবের চেয়ে ২ উইকেট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সাউদি।
চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ঝড় তোলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। লিটনের ১৮ বলের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরিতে ২০২ রান সংগ্রহ করে। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই তাসকিনের দারুণ এক ডেলিভারিতে সাজঘরে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। তার পরের গল্পটা সাকিবের। একে একে আইরিশ পাঁচ ব্যাটারকে ফিরিয়ে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট। প্রথমবার ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। পরপর দুই ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে আগের রেকর্ড ভাঙার দারপ্রান্তে ছিলেন সাকিব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। ওই ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন লরকান টাকারকে। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে তার শিকার রস অ্যাডায়ার ও গ্যারেথ ডিলানি। তৃতীয় ওভারে সাকিব ফের জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফাইফার তুলে নেন। ষষ্ঠ ওভারে সাকিব ফেরান ডকরেল-টেক্টরকে। ডকরেল ২ ও টেক্টর ২২ রান করেন। সাকিবের এটি ছিল পঞ্চম উইকেট। ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। চতুর্থ ওভারে আর কোনও উইকেট পাননি তিনি। সবমিলিয়ে সাকিব ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ৫ উইকৈট শিকার করেন। এটা তার দ্বিতীয় ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাউদিকে পেছনে ফেলার কৃতিত্ব অর্জন করেন সাকিব। সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি উইকেট এখন তার। দুই নম্বরে থাকা সাউদির উইকেট ১০৭ ম্যাচে ১৩৪ উইকেট। তিন নম্বরে আছেন রশিদ খান। আফগান এই লেগ স্পিনার ৮০ ম্যাচে নেন ১২৯ উইকেট।