নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ করোনা মহামারির সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পার করছে দেশ। গত সোমবারও দেশে সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সারাদেশে সাতদিনের কঠোর লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। লকডাউনে সোমবার থেকে সারাদেশে ট্রাকে করে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। গতকাল মঙ্গলবার সকালেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে টিসিবির পণ্য কিনতে লোকজনকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তবে সেখানে কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধির পরিপালন করা হচ্ছে না। পণ্য কিনতে আসা মানুষজনের অভিযোগ, নির্ধারিত সময়েও ট্রাকগুলো নির্ধারিত এলাকায় আসে না। এতে আগে পণ্য সংগ্রহ করার জন্য অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। ফলে গাদাগাদি করেই দাঁড়াতে হচ্ছে তাদের। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খিলগাঁও রেলগেট এলাকা গিয়ে দেখা গেছে মানুষের দীর্ঘ লাইন। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে টিসিবির পণ্যবাহী ট্রাকের অপেক্ষায়। কিন্তু তখনো ট্রাক আসেনি। কারও মুখে মাস্ক আছে, আবার কারও মুখে নেই। এর মধ্যে অধিকাংশ নারীদের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। কথা হয় আসমা বেগম নামে একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক ঘণ্টার বেশি সময় থেইক্কা খাড়ায়া আছি। কত মানুষ অপেক্ষা করতেছে দেখছেন? কিন্তু কহন যে ট্রাক আইবো, কইতে তা পারতেছি না। এতো দেরি করে আইলে তো মানুষের ভিড় বাড়বোই। সরকার ট্রাকগুলারে তাড়াতাড়ি পাডাইতে পারে না?’
স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেন- সামছুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এখানে দাঁড়ালে রেলগেট থেকে রাজারবাগ পার হয়ে লাইন ফকিরাপুল পর্যন্ত চলে যাবে। এতে দূরে গিয়ে সিরিয়াল ধরে কে পণ্য কিনতে চাইবে? ‘কয়টা টাকা লাভের’ জন্য দীর্ঘ এই ভোগান্তি দূর করারও দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ৪৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি করছে টিসিবি। ছুটির দিন ছাড়া আগামী ২৯ জুলাই (ঈদুল আজহার ছুটি ছাড়া) পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
টিসিবির পণ্যের জন্য অপেক্ষা, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত
ট্যাগস :
টিসিবির পণ্যের জন্য অপেক্ষা
জনপ্রিয় সংবাদ