ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

টিপ পরা না পরা নারীর ইচ্ছা, প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদে নারীরা

  • আপডেট সময় : ০১:০৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কপালে টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মমেট এলাকায় এক শিক্ষককে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কনস্টেবলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার নারীরা।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘নারী প্রগতি সংঘ’ ব্যানারে এক মানবন্ধন থেকে নারী হয়রানি বন্ধে সোচ্চার হওয়ারও আহ্বানও জানানো হয়। নানা ধরনের প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন নারীরা। তাতে লেখা ছিলো ‘টিপ পরা না পরা নারীর ইচ্ছা’, ‘নারীর সমান অধিকারের বিরোধিতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশের সংবিধানের বিরোধিতা’, ‘জেন্ডার সংবেদনশীল ও নারীবান্ধব পুলিশ চাই’, ‘হয়রানিকারী পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘নারীবিরোধী অপশক্তি জাতীয় অগ্রগতির শত্রু’।
সংবিধানে নারী পুরুষের সমঅবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নারী প্রগতি সংঘের নেত্রী নাসরিন বেগম বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের রয়েছে, সেখানে নারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে না, স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন করতে পারবে না, স্বাধীনভাবে কাজ-কর্ম করতে পারবে না- সেটা কোনো দিন হতে পারে না।”
হেনস্থাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রোববার সংসদে দাবি জানান অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তফা। নারী প্রগতি সংঘের নেতা নাসরিন বেগম বলেন, তাদের এই মানববন্ধন শুধু নারীর টিপ পরা সংক্রান্ত বিষয়ে নয়, নারীর প্রতিদিনের জীবনের হয়রানি বন্ধের দাবি নিয়ে তারা এসেছেন।
“আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে এভাবে গলা টিপে ধরেছে, তারা কারা? আমরা একদিকে নারীর স্বাধীনতার কথা বলি, অন্যদিকে আমি কপালে টিপ পরব কি পরব না তাও ওদের অনুমতি নিতে হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া পোশাক কর্মী আমেনা বেগম বলেন, “আমি কি পরব, আমি কীভাবে চলব তা ঠিক করবে কে? আমি ঘোমটা দেব কি দেব না তার জন্য একজন সরকারি লোক আমাকে শাসাবে?”
মানববন্ধনে আসা পরিচ্ছন্নতা কর্মী নাসের আহমেদ বলেন, “যারা জনগণের নিরাপত্তা দেবেন, তারা যদি একজন কলেজ শিক্ষক বলুন বা আমার বোন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বলুন, তার প্রতি এমনটি ব্যবহার করেন, তাহলে আমরা যাবো কোথায়?”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টিপ পরা না পরা নারীর ইচ্ছা, প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদে নারীরা

আপডেট সময় : ০১:০৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : কপালে টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মমেট এলাকায় এক শিক্ষককে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কনস্টেবলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার নারীরা।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘নারী প্রগতি সংঘ’ ব্যানারে এক মানবন্ধন থেকে নারী হয়রানি বন্ধে সোচ্চার হওয়ারও আহ্বানও জানানো হয়। নানা ধরনের প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন নারীরা। তাতে লেখা ছিলো ‘টিপ পরা না পরা নারীর ইচ্ছা’, ‘নারীর সমান অধিকারের বিরোধিতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশের সংবিধানের বিরোধিতা’, ‘জেন্ডার সংবেদনশীল ও নারীবান্ধব পুলিশ চাই’, ‘হয়রানিকারী পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘নারীবিরোধী অপশক্তি জাতীয় অগ্রগতির শত্রু’।
সংবিধানে নারী পুরুষের সমঅবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নারী প্রগতি সংঘের নেত্রী নাসরিন বেগম বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের রয়েছে, সেখানে নারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে না, স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন করতে পারবে না, স্বাধীনভাবে কাজ-কর্ম করতে পারবে না- সেটা কোনো দিন হতে পারে না।”
হেনস্থাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রোববার সংসদে দাবি জানান অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তফা। নারী প্রগতি সংঘের নেতা নাসরিন বেগম বলেন, তাদের এই মানববন্ধন শুধু নারীর টিপ পরা সংক্রান্ত বিষয়ে নয়, নারীর প্রতিদিনের জীবনের হয়রানি বন্ধের দাবি নিয়ে তারা এসেছেন।
“আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে এভাবে গলা টিপে ধরেছে, তারা কারা? আমরা একদিকে নারীর স্বাধীনতার কথা বলি, অন্যদিকে আমি কপালে টিপ পরব কি পরব না তাও ওদের অনুমতি নিতে হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া পোশাক কর্মী আমেনা বেগম বলেন, “আমি কি পরব, আমি কীভাবে চলব তা ঠিক করবে কে? আমি ঘোমটা দেব কি দেব না তার জন্য একজন সরকারি লোক আমাকে শাসাবে?”
মানববন্ধনে আসা পরিচ্ছন্নতা কর্মী নাসের আহমেদ বলেন, “যারা জনগণের নিরাপত্তা দেবেন, তারা যদি একজন কলেজ শিক্ষক বলুন বা আমার বোন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বলুন, তার প্রতি এমনটি ব্যবহার করেন, তাহলে আমরা যাবো কোথায়?”