ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

‘টিপ পরায় হেনস্তা’র কথা স্বীকার করলেন সেই পুলিশ কনস্টেবল

  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কপালে টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক শিক্ষককে হেনস্তার ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে চিহ্নিত করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষিকাকে হেনস্তার বিষয় স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক। এ বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তদন্ত ও ঘটনার সত্যতা তুলে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি গতকাল সোমবার সকালে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
বিপ্লব বলেন, “ওই কনস্টেবলের নাম নাজমুল তারেক। ঘটনার সাথে জড়িত হিসেবে তাকে চিহ্নিত করেছি আমরা। শিক্ষক যে জিডি করেছিলেন, তার যথাযথ তদন্ত হবে।”
ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ডিসি বিপ্লব বলেন, অভিযোগে ওই নারী কিন্তু পুলিশ সদস্যের নাম ও পদবি বলেননি। শুধু একজন পুলিশ সদস্যের কথা বলেছেন।
‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা খুব গুরুত্বসহ তদন্ত শুরু করি। শুরু থেকে ডিএমপি কমিশনার, আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ঘটনার যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দেন। পুরো তেজগাঁওয়ে কর্মরত পুলিশের সব সদস্য নিয়ে আমরা একযোগে তদন্তে নামি। সবার নিরলস প্রচেষ্টায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই।’ অভিযুক্ত নাজমুল তারেক কনস্টেবল জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত তিনি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ, ডিজিটাল ও অ্যানালগ সব পর্যায়ে তদন্ত করে কনস্টেবল নাজমুলের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। তার মোটরসাইকেল নম্বর ধরেও নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ কী?- জানতে চাইলে উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সব জায়গায় ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সংসদেও আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনা হোক বা না হোক, আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করি। এক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী শিক্ষিকা ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি জিডি করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই জিডির তদন্ত করা হবে।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক কী জানিয়েছেন?- এমন প্রশ্নে ডিসি বিপ্লব বলেন, আমরা অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেকের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
টিপ পরা, ইভটিজিং সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে কিছু জানা গেছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা ঘটেছে, সেটার সত্যতা আমরা পেয়েছি। এখন টিপ পরা বা ইভটিজিং সংক্রান্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করবো। আমাদের প্রাথমিক কাজ ছিল অভিযুক্তকে শনাক্ত করা। যেহেতু জিডিতে অভিযুক্তের নাম, পদবি, ও মোটরসাইকেলের নম্বর পরিপূর্ণ ছিল না। শুধু সংক্ষিপ্ত বিবরণী ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘টিপ পরায় হেনস্তা’র কথা স্বীকার করলেন সেই পুলিশ কনস্টেবল

আপডেট সময় : ০১:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : কপালে টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক শিক্ষককে হেনস্তার ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে চিহ্নিত করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষিকাকে হেনস্তার বিষয় স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক। এ বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তদন্ত ও ঘটনার সত্যতা তুলে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি গতকাল সোমবার সকালে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
বিপ্লব বলেন, “ওই কনস্টেবলের নাম নাজমুল তারেক। ঘটনার সাথে জড়িত হিসেবে তাকে চিহ্নিত করেছি আমরা। শিক্ষক যে জিডি করেছিলেন, তার যথাযথ তদন্ত হবে।”
ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ডিসি বিপ্লব বলেন, অভিযোগে ওই নারী কিন্তু পুলিশ সদস্যের নাম ও পদবি বলেননি। শুধু একজন পুলিশ সদস্যের কথা বলেছেন।
‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা খুব গুরুত্বসহ তদন্ত শুরু করি। শুরু থেকে ডিএমপি কমিশনার, আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ঘটনার যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দেন। পুরো তেজগাঁওয়ে কর্মরত পুলিশের সব সদস্য নিয়ে আমরা একযোগে তদন্তে নামি। সবার নিরলস প্রচেষ্টায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই।’ অভিযুক্ত নাজমুল তারেক কনস্টেবল জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত তিনি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ, ডিজিটাল ও অ্যানালগ সব পর্যায়ে তদন্ত করে কনস্টেবল নাজমুলের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। তার মোটরসাইকেল নম্বর ধরেও নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ কী?- জানতে চাইলে উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সব জায়গায় ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সংসদেও আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনা হোক বা না হোক, আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করি। এক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী শিক্ষিকা ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি জিডি করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই জিডির তদন্ত করা হবে।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক কী জানিয়েছেন?- এমন প্রশ্নে ডিসি বিপ্লব বলেন, আমরা অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেকের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
টিপ পরা, ইভটিজিং সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে কিছু জানা গেছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা ঘটেছে, সেটার সত্যতা আমরা পেয়েছি। এখন টিপ পরা বা ইভটিজিং সংক্রান্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করবো। আমাদের প্রাথমিক কাজ ছিল অভিযুক্তকে শনাক্ত করা। যেহেতু জিডিতে অভিযুক্তের নাম, পদবি, ও মোটরসাইকেলের নম্বর পরিপূর্ণ ছিল না। শুধু সংক্ষিপ্ত বিবরণী ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি।