ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

টিপু হত্যায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিন আসামি কারাগারে

  • আপডেট সময় : ০২:২২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মতিঝিলের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যা মামলার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার গতকাল সোমবার তিন আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। হাকিম মামুনুর রশিদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া তিন আসামি হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ, ইমরান হোসেন ও রাকিবুর রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে বলা হয়, ১৬ জুন ইসতিয়াক আহম্মেদকে তিন দিনের এবং ১৭ জুন ইমরান ও রাকিবকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। টিপু ও প্রীতি হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহকারীদের সঙ্গে ইসতিয়াক সম্পৃক্ত এবং ইমরান গুলি সরবরাহকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাজাহানপুরে যানজটে আটকে পড়া গাড়িতে এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু। মোটর সাইকেলে আসা এক ব্যক্তি টিপুর গাড়ির কাছে এসে গুলি করেন। ওই সময় টিপুর গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি গুলিতে নিহত হন। টিপুর গাড়িচালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন। হত্যাকা-ের পর টিপুর স্ত্রী স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি যে মামলা করেন, তাতে আসামির তালিকায় কারও নাম উল্লেখ করা ছিল না। পরে ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ব্যক্তিই টিপুকে গুলি করেন। পরে আরফান উল্লাহ দামাল নামে আরও একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় কমলাপুর থেকে।
‘শুটার’ মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের জবাববন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে সুমন শিকদার মুসার নাম আসে। এরপর তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছিল বাংলাদেশের পুলিশ। এরপর গত ১২ মে মুসা ওমানে গ্রেপ্তার হলেও বাংলাদেশে বিষয়টি জানাজানি হয় ৩ জুন। পরে বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম গত ৯ জুন ওমানে গিয়ে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে আছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

টিপু হত্যায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিন আসামি কারাগারে

আপডেট সময় : ০২:২২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মতিঝিলের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যা মামলার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার গতকাল সোমবার তিন আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। হাকিম মামুনুর রশিদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া তিন আসামি হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ, ইমরান হোসেন ও রাকিবুর রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে বলা হয়, ১৬ জুন ইসতিয়াক আহম্মেদকে তিন দিনের এবং ১৭ জুন ইমরান ও রাকিবকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। টিপু ও প্রীতি হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহকারীদের সঙ্গে ইসতিয়াক সম্পৃক্ত এবং ইমরান গুলি সরবরাহকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাজাহানপুরে যানজটে আটকে পড়া গাড়িতে এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু। মোটর সাইকেলে আসা এক ব্যক্তি টিপুর গাড়ির কাছে এসে গুলি করেন। ওই সময় টিপুর গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি গুলিতে নিহত হন। টিপুর গাড়িচালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন। হত্যাকা-ের পর টিপুর স্ত্রী স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি যে মামলা করেন, তাতে আসামির তালিকায় কারও নাম উল্লেখ করা ছিল না। পরে ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ব্যক্তিই টিপুকে গুলি করেন। পরে আরফান উল্লাহ দামাল নামে আরও একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় কমলাপুর থেকে।
‘শুটার’ মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের জবাববন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে সুমন শিকদার মুসার নাম আসে। এরপর তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছিল বাংলাদেশের পুলিশ। এরপর গত ১২ মে মুসা ওমানে গ্রেপ্তার হলেও বাংলাদেশে বিষয়টি জানাজানি হয় ৩ জুন। পরে বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম গত ৯ জুন ওমানে গিয়ে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে আছেন।