ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

টিনএজ সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার আচরণ হবে সমর্থনসূচক

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বয়ঃসন্ধিকালকে অভিভাবকত্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পর্যায় বলা হয়। এক সময়ের আড্ডাবাজ ও স্নেহপূর্ণ শিশু হঠাৎ দূরের, খিটখিটে মেজাজের বা বিদ্রোহী বলে মনে হতে পারে। ফলে বাবা-মা বিভ্রান্ত বোধ করে এবং কীভাবে সংযোগ করা যায় তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায়। কিশোর-কিশোরীদের জন্য এটি একটি বিশাল পরিবর্তনের সময় কারণ তারা তাদের ক্রমবর্ধমান স্বাধীনতা, সময়বয়সীদের সঙ্গে প্রতিযোগীতার চাপ এবং মানসিক উত্থান-পতনে নিজেও দিশাহারা বোধ করে। তাই টিনএজ সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার আচরণ সম্পর্কে জানা দরকার। তা হলোÑ
বেশি শুনুন, কম কথা বলুন: কথোপকথনের আগে, চলাকালীন এবং পরে কথা বলার চেয়ে অনেক বেশি শুনুন। কিশোর-কিশোরীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রমাগত উপদেশ বা নির্দেশ পেতে থাকে। আপনার নিজের শব্দ নিরীক্ষা করে এবং অপ্রয়োজনীয় বক্তৃতা সীমিত করে, তার স্বায়ত্তশাসনের প্রতি আস্থা ও সম্মান প্রকাশ করেন। এই সূক্ষ্ম পরিবর্তন তাকে মন খুলে কথা বলতে সাহায্য করবে।

ভাষাকে আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করবেন না: কিশোর-কিশোরীরা প্রায়ই নাটকীয় বা আঘাতমূলক ভাষা ব্যবহার করে, কিন্তু এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া করা উচিত নয়। ‘আমি তোমাকে ঘৃণা করি’ বা ‘আমি তোমাকে মেরে ফেলবো’ এর মতো বাক্যাংশগুলো সাধারণত প্রকৃত উদ্দেশ্যের পরিবর্তে হতাশার প্রকাশ করে। এগুলো আসলে প্রতিরক্ষা বাহিনীর দ্বারা ছোড়া তীর। এটাকে সিরিয়াসলি নেবেন না। তার আবেগ স্থির হতে দিন এবং ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এড়িয়ে যান।
সমর্থন: কৈশোর হলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়, শখ থেকে বন্ধুত্ব পর্যন্ত সবকিছুরই নীরিক্ষা চলে এসময়ে। যদিও তার পছন্দগুলো চঞ্চল বা অসঙ্গত বলে মনে হতে পারে, তবে এই অন্বেষণটি পরিচয় গঠনের জন্য অপরিহার্য। লজিস্টিক সীমা নির্ধারণ করার সময় পিতামাতাদের এই উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিনা বিচারে উৎসাহ তাদের আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতা বাড়ায়।
স্বাধীনতা এবং বাউন্ডারি স্পষ্ট করুন: কিশোর-কিশোরীরা স্বাধীনতা চায় কিন্তু নিয়ন্ত্রণেরও প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত। টিনএজ সন্তানকে তার পোশাক বাছাই করতে দিন। তবে বয়সের আগেই ড্রাইভিং বা কোনোকিছুর অপব্যবহার করতে দেবেন না। এই পদ্ধতিটি পারস্পরিক শ্রদ্ধা গড়ে তোলে এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টিনএজ সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার আচরণ হবে সমর্থনসূচক

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বয়ঃসন্ধিকালকে অভিভাবকত্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পর্যায় বলা হয়। এক সময়ের আড্ডাবাজ ও স্নেহপূর্ণ শিশু হঠাৎ দূরের, খিটখিটে মেজাজের বা বিদ্রোহী বলে মনে হতে পারে। ফলে বাবা-মা বিভ্রান্ত বোধ করে এবং কীভাবে সংযোগ করা যায় তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায়। কিশোর-কিশোরীদের জন্য এটি একটি বিশাল পরিবর্তনের সময় কারণ তারা তাদের ক্রমবর্ধমান স্বাধীনতা, সময়বয়সীদের সঙ্গে প্রতিযোগীতার চাপ এবং মানসিক উত্থান-পতনে নিজেও দিশাহারা বোধ করে। তাই টিনএজ সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার আচরণ সম্পর্কে জানা দরকার। তা হলোÑ
বেশি শুনুন, কম কথা বলুন: কথোপকথনের আগে, চলাকালীন এবং পরে কথা বলার চেয়ে অনেক বেশি শুনুন। কিশোর-কিশোরীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রমাগত উপদেশ বা নির্দেশ পেতে থাকে। আপনার নিজের শব্দ নিরীক্ষা করে এবং অপ্রয়োজনীয় বক্তৃতা সীমিত করে, তার স্বায়ত্তশাসনের প্রতি আস্থা ও সম্মান প্রকাশ করেন। এই সূক্ষ্ম পরিবর্তন তাকে মন খুলে কথা বলতে সাহায্য করবে।

ভাষাকে আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করবেন না: কিশোর-কিশোরীরা প্রায়ই নাটকীয় বা আঘাতমূলক ভাষা ব্যবহার করে, কিন্তু এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া করা উচিত নয়। ‘আমি তোমাকে ঘৃণা করি’ বা ‘আমি তোমাকে মেরে ফেলবো’ এর মতো বাক্যাংশগুলো সাধারণত প্রকৃত উদ্দেশ্যের পরিবর্তে হতাশার প্রকাশ করে। এগুলো আসলে প্রতিরক্ষা বাহিনীর দ্বারা ছোড়া তীর। এটাকে সিরিয়াসলি নেবেন না। তার আবেগ স্থির হতে দিন এবং ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এড়িয়ে যান।
সমর্থন: কৈশোর হলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়, শখ থেকে বন্ধুত্ব পর্যন্ত সবকিছুরই নীরিক্ষা চলে এসময়ে। যদিও তার পছন্দগুলো চঞ্চল বা অসঙ্গত বলে মনে হতে পারে, তবে এই অন্বেষণটি পরিচয় গঠনের জন্য অপরিহার্য। লজিস্টিক সীমা নির্ধারণ করার সময় পিতামাতাদের এই উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিনা বিচারে উৎসাহ তাদের আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতা বাড়ায়।
স্বাধীনতা এবং বাউন্ডারি স্পষ্ট করুন: কিশোর-কিশোরীরা স্বাধীনতা চায় কিন্তু নিয়ন্ত্রণেরও প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত। টিনএজ সন্তানকে তার পোশাক বাছাই করতে দিন। তবে বয়সের আগেই ড্রাইভিং বা কোনোকিছুর অপব্যবহার করতে দেবেন না। এই পদ্ধতিটি পারস্পরিক শ্রদ্ধা গড়ে তোলে এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।