ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

টিকা নেওয়ার ৬ মাস পরও শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি

  • আপডেট সময় : ০১:২২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে দুই ডোজ টিকা নেওয়ার ছয় মাস পরও মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি বিদ্যমান থাকে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, যারা এক ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের প্রায় ৬২ শতাংশের দেহে ও যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের প্রায় ৯৯ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এছাড়াও টিকা না নিয়েও প্রায় অর্ধেক মানুষের দেহে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আবার, প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির তুলনায় টিকার প্রথম ডোজগ্রহীতাদের তিনগুণ ও দুই ডোজগ্রহীতাদের শরীরে পাঁচগুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
গবেষকরা জানান, গত মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, রোগী, রোগীর সহযোগী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, পোশাকশ্রমিকসহ মোট ৭৪৬ জনের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়। তাদের মধ্যে ২২৩ জন প্রথম ডোজ ও ২৩১ জন টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া বাকি ২৯২ জন কোনো টিকা নেননি। গবেষণায় শেষে দেখা গেছে, যারা টিকা নেননি তাদের প্রায় অর্ধেকের দেহে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আর যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও যারা দুই ডোজ নিয়েছেন তাদের প্রায় ৯৯ দশমিক ১৩ শতাংশের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, টিকা না নিয়েও মানুষের দেহে প্রাকৃতিকভাবে ৫৩ দশমিক ৭১ একক (ডিইউ/মিলি), এক ডোজ টিকা নিয়ে ১৫৯ দশমিক শূন্য আট একক ও টিকার দুই ডোজ নিয়ে ২৫৫ দশমিক ৪৬ একক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে শরীরে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার প্রথম মাসে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি থাকে (১৭৫ দশমিক ১ একক), দ্বিতীয় মাসে এসে তা ২৫ শতাংশ কমে যায়। আবার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দুইমাস পর যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি থাকে (৩২৪ দশমিক ৪২ একক) চতুর্থ মাসে এসে তা ২১ শতাংশ হ্রাস পায়। এছাড়া ষষ্ঠ মাসে এসে চতুর্থ মাসের তুলনায় তিন দশমিক চার শতাংশ হ্রাস পায়। ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ জাগো নিউজকে বলেন, গবেষণায় যারা টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন ছয় মাস পরও তাদের শরীরে সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি থাকে। এছাড়া প্রায় অর্ধেক মানুষের দেহে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। তবে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি টিকাগ্রহীতাদের তুলনায় কম। গবেষকদলে আরও ছিলেন- প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, প্রফেসর ডা. এম এ হাসান চৌধুরী, ডা. জাহান আরা, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তারেক উল কাদের, ডা. আনান দাশ, ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ডা. ইয়াসির হাসিব ডা. তাজরিনা রহমান ও ডা. সীমান্ত দাশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টিকা নেওয়ার ৬ মাস পরও শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি

আপডেট সময় : ০১:২২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে দুই ডোজ টিকা নেওয়ার ছয় মাস পরও মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি বিদ্যমান থাকে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, যারা এক ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের প্রায় ৬২ শতাংশের দেহে ও যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের প্রায় ৯৯ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এছাড়াও টিকা না নিয়েও প্রায় অর্ধেক মানুষের দেহে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আবার, প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির তুলনায় টিকার প্রথম ডোজগ্রহীতাদের তিনগুণ ও দুই ডোজগ্রহীতাদের শরীরে পাঁচগুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
গবেষকরা জানান, গত মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, রোগী, রোগীর সহযোগী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, পোশাকশ্রমিকসহ মোট ৭৪৬ জনের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়। তাদের মধ্যে ২২৩ জন প্রথম ডোজ ও ২৩১ জন টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া বাকি ২৯২ জন কোনো টিকা নেননি। গবেষণায় শেষে দেখা গেছে, যারা টিকা নেননি তাদের প্রায় অর্ধেকের দেহে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আর যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও যারা দুই ডোজ নিয়েছেন তাদের প্রায় ৯৯ দশমিক ১৩ শতাংশের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, টিকা না নিয়েও মানুষের দেহে প্রাকৃতিকভাবে ৫৩ দশমিক ৭১ একক (ডিইউ/মিলি), এক ডোজ টিকা নিয়ে ১৫৯ দশমিক শূন্য আট একক ও টিকার দুই ডোজ নিয়ে ২৫৫ দশমিক ৪৬ একক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে শরীরে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার প্রথম মাসে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি থাকে (১৭৫ দশমিক ১ একক), দ্বিতীয় মাসে এসে তা ২৫ শতাংশ কমে যায়। আবার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দুইমাস পর যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি থাকে (৩২৪ দশমিক ৪২ একক) চতুর্থ মাসে এসে তা ২১ শতাংশ হ্রাস পায়। এছাড়া ষষ্ঠ মাসে এসে চতুর্থ মাসের তুলনায় তিন দশমিক চার শতাংশ হ্রাস পায়। ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ জাগো নিউজকে বলেন, গবেষণায় যারা টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন ছয় মাস পরও তাদের শরীরে সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি থাকে। এছাড়া প্রায় অর্ধেক মানুষের দেহে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। তবে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি টিকাগ্রহীতাদের তুলনায় কম। গবেষকদলে আরও ছিলেন- প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, প্রফেসর ডা. এম এ হাসান চৌধুরী, ডা. জাহান আরা, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তারেক উল কাদের, ডা. আনান দাশ, ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ডা. ইয়াসির হাসিব ডা. তাজরিনা রহমান ও ডা. সীমান্ত দাশ।