ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিকা দেয়ায় যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে ভর্তি কমছে: বিশেষজ্ঞ

  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা সামাল দিতে পুরো বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই সমগ্র বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি এখন টিকা দিয়ে করোনা মোকাবেলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাতে সুফলও মিলছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ পিটার হরবি বলেছেন, টিকা দেয়ার ফলে যুক্তরাজ্যে হাসপাতালে করোনা রোগীর ভর্তির সংখ্যা কমেছে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইভিনিং স্টান্টার্ডে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
পিটার হরবি বলেছেন, ‘অনেকেই বলছেন, টিকা নিয়েও তো সংক্রমণ ঘটছে। সেটা সত্যি। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখুন, সংক্রমণ বেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি কিন্তু তেমন বাড়েনি। প্রতিষেধকের জন্যই সুফল মিলছে।’
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের আক্রমণের কারণে যুক্তরাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ফের বেড়েছে। নতুন করে করোনা-বিধি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছে দেশটির সরকার। ২১ জুন লকডাউন সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার কথা ছিল যুক্তরাজ্যে ব্রিটেনে। সেই সিদ্ধান্তও বাতিল করা হয়েছে। টিকাকরণেরর গতি বাড়ানো হয়েছে দেশটিতে।
যুক্তরাজ্যের সরকার-পক্ষ থেকে লকডাউন তুলে দেওয়ার জন্য নতুন দিন শোনা যাচ্ছে ১৯ জুলাই। তবে সরকারি উপদেষ্টা হরবি বলছেন, ‘আমরা তারিখ নয়, পরিসংখ্যান দেখছি। তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
যুক্তরাজ্যে কড়াকড়ি করা হলেও ইউরোপের বহু দেশে বাসিন্দাদের করোনা-বিধি থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জার্মানিতে যেমন, রাস্তাঘাটে মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক নেই। পর্যটন খুলে দেওয়া হয়েছে। ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, এমনকি চিড়িয়াখানাও খুলে দেওয়া হয়েছে বহু দেশে।
এ বিষয়ে হরবির সতর্কবার্তা, ‘ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট মারাত্মক সংক্রামক। এর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও, আমার ধারণা খুব শিগগিরি গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়বে ডেল্টা।’
ইতিমধ্যেই ৮৫টি দেশে চিহ্নিত হয়েছে ডেল্টা। আফ্রিকাতেও ছড়াতে শুরু করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এতদিন মূলত সংক্রমণ ঘটছিল করোনার বিটা স্ট্রেনে। এটিকে ‘দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেন’ও বলা হচ্ছিল। কিন্তু ক্রমশ এটিকে সরিয়ে জায়গা দখল করছে ডেল্টা। রাশিয়াতেও সংক্রমণ বেড়েছে মারাত্মক। ১ জুন একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৫০০ জন। এখন সেটা দ্বিগুণ।
ওমান থেকে ইন্দোনেশিয়া, সংক্রমণ বাড়ছে সর্বত্র। ইন্দোনেশিয়ায় দৈনিক সংক্রমণ ২১ হাজার ছুঁয়েছে। আসল সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি বলে দাবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের। অধিকাংশ হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ে। এই মুহূর্তে সব চেয়ে বড় আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টিকা দেয়ায় যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে ভর্তি কমছে: বিশেষজ্ঞ

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা সামাল দিতে পুরো বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই সমগ্র বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি এখন টিকা দিয়ে করোনা মোকাবেলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাতে সুফলও মিলছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ পিটার হরবি বলেছেন, টিকা দেয়ার ফলে যুক্তরাজ্যে হাসপাতালে করোনা রোগীর ভর্তির সংখ্যা কমেছে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইভিনিং স্টান্টার্ডে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
পিটার হরবি বলেছেন, ‘অনেকেই বলছেন, টিকা নিয়েও তো সংক্রমণ ঘটছে। সেটা সত্যি। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখুন, সংক্রমণ বেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি কিন্তু তেমন বাড়েনি। প্রতিষেধকের জন্যই সুফল মিলছে।’
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের আক্রমণের কারণে যুক্তরাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ফের বেড়েছে। নতুন করে করোনা-বিধি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছে দেশটির সরকার। ২১ জুন লকডাউন সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার কথা ছিল যুক্তরাজ্যে ব্রিটেনে। সেই সিদ্ধান্তও বাতিল করা হয়েছে। টিকাকরণেরর গতি বাড়ানো হয়েছে দেশটিতে।
যুক্তরাজ্যের সরকার-পক্ষ থেকে লকডাউন তুলে দেওয়ার জন্য নতুন দিন শোনা যাচ্ছে ১৯ জুলাই। তবে সরকারি উপদেষ্টা হরবি বলছেন, ‘আমরা তারিখ নয়, পরিসংখ্যান দেখছি। তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
যুক্তরাজ্যে কড়াকড়ি করা হলেও ইউরোপের বহু দেশে বাসিন্দাদের করোনা-বিধি থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জার্মানিতে যেমন, রাস্তাঘাটে মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক নেই। পর্যটন খুলে দেওয়া হয়েছে। ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, এমনকি চিড়িয়াখানাও খুলে দেওয়া হয়েছে বহু দেশে।
এ বিষয়ে হরবির সতর্কবার্তা, ‘ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট মারাত্মক সংক্রামক। এর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও, আমার ধারণা খুব শিগগিরি গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়বে ডেল্টা।’
ইতিমধ্যেই ৮৫টি দেশে চিহ্নিত হয়েছে ডেল্টা। আফ্রিকাতেও ছড়াতে শুরু করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এতদিন মূলত সংক্রমণ ঘটছিল করোনার বিটা স্ট্রেনে। এটিকে ‘দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেন’ও বলা হচ্ছিল। কিন্তু ক্রমশ এটিকে সরিয়ে জায়গা দখল করছে ডেল্টা। রাশিয়াতেও সংক্রমণ বেড়েছে মারাত্মক। ১ জুন একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৫০০ জন। এখন সেটা দ্বিগুণ।
ওমান থেকে ইন্দোনেশিয়া, সংক্রমণ বাড়ছে সর্বত্র। ইন্দোনেশিয়ায় দৈনিক সংক্রমণ ২১ হাজার ছুঁয়েছে। আসল সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি বলে দাবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের। অধিকাংশ হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ে। এই মুহূর্তে সব চেয়ে বড় আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো।