ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

টিকার চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে, জানালেন রুশ দূত

  • আপডেট সময় : ০১:১৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাশিয়ার সঙ্গে করোনাভাইরাসের টিকা স্পুৎনিক-ভি কেনার চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাতোভ।
গতকাল রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা টিকা সরবরাহে এবং আপনাদের জনগণকে কোভিড মোকাবেলায় সহায়তায় প্রস্তুত। “এটা (চুক্তি) প্রায় হয়ে গেছে এবং ভালো মতই হবে। এটা খুব দ্রুতই হবে।”
কবে নাগাদ টিকা পাওয়া যেতে পারে, এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, “যৌথ উৎপাদন ও সরবরাহ, দুটো দিকই আছে। এটা জটিল প্রক্রিয়া, তবে কোনো সমস্যা হবে না।”
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার নতুন চালান না আসায় বাংলাদেশ রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে টিকা কিনতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য দেশটির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরুর কথা আগেই জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। রোববার রুশ রাষ্ট্রদূত জানালেন সর্বশেষ অবস্থা।
টিকা কেনার চলমান আলোচনা ও প্রচেষ্টার মধ্যে রোববার চীনের দ্বিতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা। সিনোভ্যাকের দেশীয় এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের ইনসেপ্টা ভ্যাক্সিন ‘করোনা ভ্যাক’ নামের এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছিল। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেই অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মোট পাঁচটি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ সরকার। এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক-ভি, চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার বিবিআইবিপি-সিওরভি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সবুজ সংকেত পায়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টিকার চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে, জানালেন রুশ দূত

আপডেট সময় : ০১:১৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাশিয়ার সঙ্গে করোনাভাইরাসের টিকা স্পুৎনিক-ভি কেনার চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাতোভ।
গতকাল রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা টিকা সরবরাহে এবং আপনাদের জনগণকে কোভিড মোকাবেলায় সহায়তায় প্রস্তুত। “এটা (চুক্তি) প্রায় হয়ে গেছে এবং ভালো মতই হবে। এটা খুব দ্রুতই হবে।”
কবে নাগাদ টিকা পাওয়া যেতে পারে, এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, “যৌথ উৎপাদন ও সরবরাহ, দুটো দিকই আছে। এটা জটিল প্রক্রিয়া, তবে কোনো সমস্যা হবে না।”
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার নতুন চালান না আসায় বাংলাদেশ রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে টিকা কিনতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য দেশটির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরুর কথা আগেই জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। রোববার রুশ রাষ্ট্রদূত জানালেন সর্বশেষ অবস্থা।
টিকা কেনার চলমান আলোচনা ও প্রচেষ্টার মধ্যে রোববার চীনের দ্বিতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা। সিনোভ্যাকের দেশীয় এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের ইনসেপ্টা ভ্যাক্সিন ‘করোনা ভ্যাক’ নামের এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছিল। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেই অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মোট পাঁচটি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ সরকার। এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক-ভি, চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার বিবিআইবিপি-সিওরভি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সবুজ সংকেত পায়।