ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

টিকাদানের সফলতায় যুক্তরাষ্ট্র অনেক প্রশংসা করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : টিকাদানসহ করোনা চিকিৎসায় বাংলাদেশ সফল বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘করোনার চিকিৎসায় আমরা সফল হয়েছি। টিকাদান কর্মসূচিতেও আমরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। দেশবাসী আমাদের প্রশংসা করেন, প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন। দেশের বাইরেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার অনেক প্রশংসা করেছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলক টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেখানেই গিয়েছি সবাই জানতে চেয়েছে, শিশুদের টিকা দেওয়া হবে কবে? আমরা টিকা পেয়েছি, কিন্তু আমাদের শিশুরা টিকা পায়নি। অভিভাবকরা এ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। আজকে আমরা শিশুদের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আজকে পরীক্ষামূলক শুরু করতে যাচ্ছি এবং আগামী ২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে টিকা কার্যক্রম দেশব্যাপী চলবে। প্রথমে আমাদের সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হবে, তারপর পর্যায়ক্রমে সারা দেশে।’ জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৩১ কোটি টিকা পেয়েছি। ফাইজারের ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পেয়েছি প্রায় ৬ কোটি, মডার্না পেয়েছি সাড়ে ৫ কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসন পেয়েছি ৬ লাখ। শিশুদের দিতে হলে আমাদের ৪ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ৩০ লাখ টিকা আমরা পেয়ে গেছি, বাকি টিকার প্রতিশ্রুতিও কোভ্যাক্সের মাধ্যমে চলে আসবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মাধ্যমে। ফাইজারের টিকা বিশেষ করে শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি খুবই নিরাপদ ও ভালো।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একদিনে ৮৫ লাখ টিকা দিয়েছি, আমাদের সেই সক্ষমতা আছে। বিশ্ব এখন জানে যে বাংলাদেশ সুন্দরভাবে টিকা দিতে পারে। আমরা প্রায় ১১ কোটি টিকা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বিনামূল্যে পেয়েছি। বাংলাদেশ নিজেদের অর্থায়নে টিকা দিয়েছে, আমাদের প্রায় ৩০ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। অনেক দেশ আছে যারা টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে না, কিন্তু আমরা দিচ্ছি। টিকার জন্য আমাদের কোনও সময় টাকার অভাব হয়নি। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে টিকার জন্য। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ আনওয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেল্ডন ইয়েট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. বরদান জং রানা প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টিকাদানের সফলতায় যুক্তরাষ্ট্র অনেক প্রশংসা করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : টিকাদানসহ করোনা চিকিৎসায় বাংলাদেশ সফল বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘করোনার চিকিৎসায় আমরা সফল হয়েছি। টিকাদান কর্মসূচিতেও আমরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। দেশবাসী আমাদের প্রশংসা করেন, প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন। দেশের বাইরেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার অনেক প্রশংসা করেছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলক টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেখানেই গিয়েছি সবাই জানতে চেয়েছে, শিশুদের টিকা দেওয়া হবে কবে? আমরা টিকা পেয়েছি, কিন্তু আমাদের শিশুরা টিকা পায়নি। অভিভাবকরা এ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। আজকে আমরা শিশুদের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আজকে পরীক্ষামূলক শুরু করতে যাচ্ছি এবং আগামী ২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে টিকা কার্যক্রম দেশব্যাপী চলবে। প্রথমে আমাদের সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হবে, তারপর পর্যায়ক্রমে সারা দেশে।’ জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৩১ কোটি টিকা পেয়েছি। ফাইজারের ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পেয়েছি প্রায় ৬ কোটি, মডার্না পেয়েছি সাড়ে ৫ কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসন পেয়েছি ৬ লাখ। শিশুদের দিতে হলে আমাদের ৪ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ৩০ লাখ টিকা আমরা পেয়ে গেছি, বাকি টিকার প্রতিশ্রুতিও কোভ্যাক্সের মাধ্যমে চলে আসবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মাধ্যমে। ফাইজারের টিকা বিশেষ করে শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি খুবই নিরাপদ ও ভালো।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একদিনে ৮৫ লাখ টিকা দিয়েছি, আমাদের সেই সক্ষমতা আছে। বিশ্ব এখন জানে যে বাংলাদেশ সুন্দরভাবে টিকা দিতে পারে। আমরা প্রায় ১১ কোটি টিকা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বিনামূল্যে পেয়েছি। বাংলাদেশ নিজেদের অর্থায়নে টিকা দিয়েছে, আমাদের প্রায় ৩০ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। অনেক দেশ আছে যারা টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে না, কিন্তু আমরা দিচ্ছি। টিকার জন্য আমাদের কোনও সময় টাকার অভাব হয়নি। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে টিকার জন্য। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ আনওয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেল্ডন ইয়েট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. বরদান জং রানা প্রমুখ।