ক্রীড়া ডেস্ক: ইন্টার মায়ামির জার্সিতে মাঠে নেমে আবারও জ্বলে উঠলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন জাদুকর আরেকবার জোড়া গোল করে জেতালেন দলকে, নাম লেখালেন ইতিহাসে। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মায়ামি। প্রতিপক্ষের মাঠে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে প্রথমার্ধেই মায়ামির গোল দুটি করেন মেসি।
এমএলএসে টানা চার ম্যাচে দুটি করে গোল করলেন ৩৮ বছর বয়সী বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে টানা চার ম্যাচে একাধিক গোল করা প্রথম খেলোয়াড় তিনিই। মেসির এই যাত্রা শুরু হয় গত মে মাসে। মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে দলের ৪-২ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে দুটি গোল করেন তিনি। পরে কলম্বাস ক্রুর বিপক্ষে ৫-১ ব্যবধানের জয়ে করেন দুটি গোল।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেওয়ার পর গত রোববার মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ে চোখধাঁধানো দুটি গোল করেন আটবারের ব্যালন দ’র জয়ী। সেই ধারা অব্যাহত রাখলেন তিনি নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও। এই ম্যাচে গোলে কিংবা লক্ষ্যে শট নেওয়ায় এগিয়ে ছিল অবশ্য নিউ ইংল্যান্ড। গোলের জন্য ১৬টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। ৫টি সেভ করে মায়ামিকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। প্রায় ৫৬ শতাংশ সময় বল নিজেদের কাছে রেখে মায়ামির ১৩টি শটের ৩টি ছিল লক্ষ্যে, যার ২টিই সফল।
প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৭তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। স্বাগতিকদের এক খেলোয়াড়ের হেড থেকে বক্সে বল পেয়ে হাফ ভলিতে গোলটি করেন তিনি। ৩৮তম মিনিটে দারুণ গোলে ব্যবধান বাড়ান সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। মাঝমাঠ থেকে সের্হিও বুসকেতসের বাড়ানো বলে ছুটে গিয়ে বক্সের বাইরে থেকে প্রথম স্পর্শে বাঁ পায়ের নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। এই গোলে একটি সেঞ্চুরি পূর্ণ হলো মেসির। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ওপেন প্লেতে বক্সের বাইরে থেকে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
এই মৌসুমে এমএলএসে মেসির গোল হলো ১৪টি, আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২০টি। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট বাকি থাকতে বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার গোলে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন কার্লেস হিল। তবে সমতা ফেরানো গোলের দেখা আর পায়নি স্বাগতিকরা। ১৮ ম্যাচে ১০ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে মায়ামি। শীর্ষে থাকা সিনসিনাটির চেয়ে ৭ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে তারা, তবে ক্লাব বিশ্বকাপে ব্যস্ত থাকায় মায়ামি তিনটি ম্যাচ কম খেলেছে।