ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টানা ১২০ দিন পানির নিচে থেকে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: রেকর্ড গড়তে মানুষ কত কিছুই না করে। এই যেমন জার্মানির ৫৯ বছর বয়সী নাগরিক রুডিগার কোচ করে দেখালেন। টানা ১২০ দিন পানির নিচে থেকে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

রুডিগার পেশায় প্রকৌশলী। পানামার পুয়ের্তো লিন্ডো এলাকার উপকূলে ক্যারিবীয় সাগরে পানিতে একটি ডুবো ক্যাপসুলের মধ্যে চার মাস বসবাস করেছেন তিনি। পানির নিচে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় থেকেছেন রুডিগার। সেখানে থেকেই নিজের কাজকর্মও চালিয়ে গেছেন তিনি।

রুডিগার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১ মিটার বা ৩৬ ফুট নিচে ছিলেন। তিনি যে একেবারে নিঃসঙ্গ ছিলেন, তা-ও বলা যাবে না। তিনি ৩২২ বর্গফুট আয়তনের যে ক্যাপসুলের ভেতরে থেকেছেন, তাতে ছিল একটি বহনযোগ্য টয়লেট। তাঁর সময় কাটানোর জন্য ছিল অত্যাধুনিক নানা আয়োজন যেমন টেলিভিশন, কম্পিউটার, একটি শয্যা, ব্যায়ামের জন্য স্থির সাইকেল, সৌরবিদ্যুৎ, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ইত্যাদি।

গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সেই ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে এসেছেন রুডিগার। এর মধ্য দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছে তাঁর। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ‘বিচারক’ সুজানা রিয়েসের উপস্থিতিতে পানির নিচ থেকে উঠে আসেন রুডিগার।

রুডিগার পানির নিচ থেকে উঠে আসার পর সুজানা রিয়েসে জানান, এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন রুডিগার। তিনি মার্কিন নাগরিক জোসেফ দিতুরির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে টানা ১০০ দিন পানির নিচে থেকে এত দিন রেকর্ডটি নিজের করে রেখেছিলেন জোসেফ দিতুরি।

রুডিগারের পানির নিচ থেকে উঠে আসা উদ্যাপনে সৈকতেই ছিল নানা আয়োজন। পানির নিচ থেকে রুডিগার উঠে আসার পর তাঁকে একটি ছোট নৌকায় করে সৈকতে নিয়ে আসা হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রুডিগার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা ছিল দারুণ এক অভিযান। সেখানে থাকার সময়টা দারুণ উপভোগ করেছি। শেষ হয়ে এখন বরং কিছুটা খারাপই লাগছে।’

রুডিগার আরও বলেন, ‘চারপাশ শান্ত ও সমুদ্র যখন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, তখন চারপাশে ভীষণ সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি হয়। এটা ভাষায় বর্ণনা করা অসম্ভব। এই সৌন্দর্য দেখতে চাইলে আপনাকেও পানির নিচে সময় কাটাতে হবে।’

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

টানা ১২০ দিন পানির নিচে থেকে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: রেকর্ড গড়তে মানুষ কত কিছুই না করে। এই যেমন জার্মানির ৫৯ বছর বয়সী নাগরিক রুডিগার কোচ করে দেখালেন। টানা ১২০ দিন পানির নিচে থেকে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

রুডিগার পেশায় প্রকৌশলী। পানামার পুয়ের্তো লিন্ডো এলাকার উপকূলে ক্যারিবীয় সাগরে পানিতে একটি ডুবো ক্যাপসুলের মধ্যে চার মাস বসবাস করেছেন তিনি। পানির নিচে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় থেকেছেন রুডিগার। সেখানে থেকেই নিজের কাজকর্মও চালিয়ে গেছেন তিনি।

রুডিগার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১ মিটার বা ৩৬ ফুট নিচে ছিলেন। তিনি যে একেবারে নিঃসঙ্গ ছিলেন, তা-ও বলা যাবে না। তিনি ৩২২ বর্গফুট আয়তনের যে ক্যাপসুলের ভেতরে থেকেছেন, তাতে ছিল একটি বহনযোগ্য টয়লেট। তাঁর সময় কাটানোর জন্য ছিল অত্যাধুনিক নানা আয়োজন যেমন টেলিভিশন, কম্পিউটার, একটি শয্যা, ব্যায়ামের জন্য স্থির সাইকেল, সৌরবিদ্যুৎ, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ইত্যাদি।

গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সেই ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে এসেছেন রুডিগার। এর মধ্য দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছে তাঁর। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ‘বিচারক’ সুজানা রিয়েসের উপস্থিতিতে পানির নিচ থেকে উঠে আসেন রুডিগার।

রুডিগার পানির নিচ থেকে উঠে আসার পর সুজানা রিয়েসে জানান, এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন রুডিগার। তিনি মার্কিন নাগরিক জোসেফ দিতুরির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে টানা ১০০ দিন পানির নিচে থেকে এত দিন রেকর্ডটি নিজের করে রেখেছিলেন জোসেফ দিতুরি।

রুডিগারের পানির নিচ থেকে উঠে আসা উদ্যাপনে সৈকতেই ছিল নানা আয়োজন। পানির নিচ থেকে রুডিগার উঠে আসার পর তাঁকে একটি ছোট নৌকায় করে সৈকতে নিয়ে আসা হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রুডিগার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা ছিল দারুণ এক অভিযান। সেখানে থাকার সময়টা দারুণ উপভোগ করেছি। শেষ হয়ে এখন বরং কিছুটা খারাপই লাগছে।’

রুডিগার আরও বলেন, ‘চারপাশ শান্ত ও সমুদ্র যখন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, তখন চারপাশে ভীষণ সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি হয়। এটা ভাষায় বর্ণনা করা অসম্ভব। এই সৌন্দর্য দেখতে চাইলে আপনাকেও পানির নিচে সময় কাটাতে হবে।’