কক্সবাজার সংবাদদাতা : টানা ভারী বর্ষণে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদীর অববাহিকা অঞ্চলের হাজার হাজার একর জমির চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিকরা। তাদের অভিযোগ এখনও তারা সরকারি কোনো সহায়তা পাননি বা সরকারি তরফে ক্ষয়ক্ষতিও নিরূপণ করা হয়নি। উপজেলার সীমান্ত জনপদ টেকনাফ সীমান্তের কোল ঘেঁষে বেড়িবাঁধ নির্মাণ চলমান থাকলেও একদিকে টানা ভারী বর্ষণ, অপরদিকে জোয়ারের ও ঢলের পানিতে বেশিরভাগ ঘের ভেসে যায়। কিছু কিছু জায়গায় পুরাতন বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে নষ্ট হয়েছে ঘেরের অভ্যন্তরে থাকা চাষাবাদ যোগ্য ফসলি জমিও। এই অবস্থায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন, টেকনাফ সদর, হ্নীলা ইউনিয়ন, হোয়াইক্যং ইউনিয়নসহ সীমান্তের অনেক ঘেরের মালিকের মাথায় হাত পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে। তিন নম্বর ওয়ার্ডসহ পুরো ইউনিয়নের ক্ষতির পরিমাণ বেশি বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এখনো হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকা পানির নিচে রয়েছে। বৃষ্টি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে সীমান্তের হাজার হাজার মানুষ। পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবারের সদস্যরা এখন সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা যায়। জোয়ারের প্রভাবে কোনো কোনো এলাকার রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বর্ষণে শতাধিক পুকুরের মাছও ভেসে গেছে। হোয়াইক্যং চিংড়ি উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ ইউনুস জানান, সমিতির সদস্যভুক্ত অনেক ঘের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পথে বসেছেন। তাদের ঘেরসমূহের প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘেরের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যমতে, উপজেলায় ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার চিংড়ি পোনা ও ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হয়তো ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।