ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানা আট ম্যাচ জেতা রংপুরকে অবশেষে থামালো রাজশাহী

  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক: যেন অজেয় হয়ে পড়েছিল রংপুর রাইডার্স। কোনো দলই তাদের সামনে পাত্তা পাচ্ছিল না। বিপিএলের এবারের আসরে টানা আট ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। অবশেষে রাইডার্সদের জয়রথ থামালো দুর্বার রাজশাহী। ২৪ রানের জয়ে নিজেদের প্লে-অফের সম্ভাবনাও জোরালো করলো তাসকিন আহমেদের দল। নয় ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে উঠে এসেছে তারা। লক্ষ্য ১৭১। রান তাড়া শুরু থেকেই ধুঁকেছে রংপুর রাইডার্স। ১৫ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হন ইরফান শুক্কুর (০)। চতুর্থ ওভারে এসএম মেহরুব টানা দুই বলে ফেরান স্টিভেন টেলর (৪) আর ইফতিখার আহমেদকে (০)।

১৩ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা খুশদিল শাহও। সাইফ হাসান তবু চালিয়ে খেলছিলেন। ২৯ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৪৩ রান করে শফিউল ইসলামের শিকার হন তিনি। শেখ মেহেদী ১৩ বল খেলে করেন ৮ রান। একশর আগে (৯১ রানে) ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রংপুর। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান আরও একবার দলের হাল ধরেছিলেন।

কিন্তু তার ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪১ রান এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শেষদিকে ১৪ বলে ২৩ রানে পরাজয়ের ব্যবধানই যা একটু কমেছে। ১৯.২ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় রংপুর। রায়ান বার্ল ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার তাসকিন আহমেদ এবং এসএম মেহরুবের। এর আগে ১৬ ওভারের খেলা শেষে দুর্বার রাজশাহীর রান ছিল ৪ উইকেটে ১৫৩ রান। রানরেট ৯.৫৩। আর শেষ ৪ ওভারে রান হয়েছে মাত্র ১৭, উইকেটে হারিয়েছে ৫টি। রানরেট ৪.২৫। অর্থাৎ উড়ন্ত শুরু করা রাজশাহীর রান তোলার লাগাম শেষ দিকে বেশ ভালোভাবেই টেনে ধরে রংপুর রাইডার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজশাহী তোলে ৯ উইকেটে ১৭০ রান।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে রাজশাহী। উদ্বোধনী জুটিতে ১৫ বলে ২৪ রান তোলেন মোহাম্মদ হারিস ও সাব্বির ইসলাম। ১২ বলে ১৯ রান করেন ওপেনার হারিস। দ্বিতীয় উইকেটে ২৯ বলে ৫২ রানের জুটি করেন সাব্বির ও এনামুল হক বিজয়। ১৯ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন সাব্বির। নতুন ব্যাটার রায়ান বার্ল প্রথম বলেই আউট হন। চতুর্থ উইকেটে ৫০ বলে ৭৬ রানের জুটি করেন বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বি। ৩২ বলে ৬০ রানের (২ চার ও ৬ ছক্কা) ঝোড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরত যান ইয়াসির। এক বল বিরতি দিয়েই আউট হন বিজয়ও। এরপরই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনআপ।

বাকিরা যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। করতে পারেননি রানও। অবশেষে রাজশাহী থামে ১৭০ রানে। বল হাতে রংপুরের হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন আকিভ জাভেদ ও খুশদিল শাহ।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আর্থিক খাতের ‘ডাকাতি’ খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি পাঠানোর আহ্বান :ড. ইউনূস

টানা আট ম্যাচ জেতা রংপুরকে অবশেষে থামালো রাজশাহী

আপডেট সময় : ০৬:০৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া প্রতিবেদক: যেন অজেয় হয়ে পড়েছিল রংপুর রাইডার্স। কোনো দলই তাদের সামনে পাত্তা পাচ্ছিল না। বিপিএলের এবারের আসরে টানা আট ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। অবশেষে রাইডার্সদের জয়রথ থামালো দুর্বার রাজশাহী। ২৪ রানের জয়ে নিজেদের প্লে-অফের সম্ভাবনাও জোরালো করলো তাসকিন আহমেদের দল। নয় ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে উঠে এসেছে তারা। লক্ষ্য ১৭১। রান তাড়া শুরু থেকেই ধুঁকেছে রংপুর রাইডার্স। ১৫ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হন ইরফান শুক্কুর (০)। চতুর্থ ওভারে এসএম মেহরুব টানা দুই বলে ফেরান স্টিভেন টেলর (৪) আর ইফতিখার আহমেদকে (০)।

১৩ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা খুশদিল শাহও। সাইফ হাসান তবু চালিয়ে খেলছিলেন। ২৯ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৪৩ রান করে শফিউল ইসলামের শিকার হন তিনি। শেখ মেহেদী ১৩ বল খেলে করেন ৮ রান। একশর আগে (৯১ রানে) ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রংপুর। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান আরও একবার দলের হাল ধরেছিলেন।

কিন্তু তার ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪১ রান এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শেষদিকে ১৪ বলে ২৩ রানে পরাজয়ের ব্যবধানই যা একটু কমেছে। ১৯.২ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় রংপুর। রায়ান বার্ল ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার তাসকিন আহমেদ এবং এসএম মেহরুবের। এর আগে ১৬ ওভারের খেলা শেষে দুর্বার রাজশাহীর রান ছিল ৪ উইকেটে ১৫৩ রান। রানরেট ৯.৫৩। আর শেষ ৪ ওভারে রান হয়েছে মাত্র ১৭, উইকেটে হারিয়েছে ৫টি। রানরেট ৪.২৫। অর্থাৎ উড়ন্ত শুরু করা রাজশাহীর রান তোলার লাগাম শেষ দিকে বেশ ভালোভাবেই টেনে ধরে রংপুর রাইডার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজশাহী তোলে ৯ উইকেটে ১৭০ রান।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে রাজশাহী। উদ্বোধনী জুটিতে ১৫ বলে ২৪ রান তোলেন মোহাম্মদ হারিস ও সাব্বির ইসলাম। ১২ বলে ১৯ রান করেন ওপেনার হারিস। দ্বিতীয় উইকেটে ২৯ বলে ৫২ রানের জুটি করেন সাব্বির ও এনামুল হক বিজয়। ১৯ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন সাব্বির। নতুন ব্যাটার রায়ান বার্ল প্রথম বলেই আউট হন। চতুর্থ উইকেটে ৫০ বলে ৭৬ রানের জুটি করেন বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বি। ৩২ বলে ৬০ রানের (২ চার ও ৬ ছক্কা) ঝোড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরত যান ইয়াসির। এক বল বিরতি দিয়েই আউট হন বিজয়ও। এরপরই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনআপ।

বাকিরা যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। করতে পারেননি রানও। অবশেষে রাজশাহী থামে ১৭০ রানে। বল হাতে রংপুরের হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন আকিভ জাভেদ ও খুশদিল শাহ।