ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

টাঙ্গাইলের তাঁতপণ্যে ই-কর্মাস উদ্যোক্তা মৌসুমী

  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নহরে জান্নাত মিষ্টি : প্রভাষক হিসেবে কলেজে কর্মরত অবস্থায় একজন দেশীয় পণ্যের ই-কর্মাস উদ্যোক্তা মৌসুমী আক্তার। জন্ম ও বেড়ে ওঠা গাজীপুর জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ থেকে বস্ত্র ও বয়নশিল্প বিভাগে লেখাপড়া করেছেন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলায় বসবাস করছেন।
চাকরির পাশাপাশি ফেসবুক পেজ ‘তাঁত বয়ন- ঞধঃ ইধুড়হ’ নিয়ে উদ্যোক্তা জীবনের পথ চলা মৌসুমির। টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থান এবং দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যের প্রতি ভালোলাগা থেকেই তিনি টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী পণ্য নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করছেন তিনি। এরমধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন ধরনের তাঁতের তৈরি শাড়ি, থ্রিপিস, ওড়না, পাঞ্জাবি পিস এবং শাল ইত্যাদি। এছাড়াও পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের জামদানী পোশাক নিয়েও ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে তার।
নিজের ব্যবসার কথা বলতে গিয়ে মৌসুমী আক্তার বলেন, আসলে পড়াশোনা চলাকালীন থেকেই ভাবছিলাম কিছু একটা করার। কিন্তু পরিবেশটা তেমন অনুকুলে ছিল না এবং ব্যবসা নিয়ে তেমন গাইডলাইনও পাইনি। গতবছর ফেসবুক গ্রুপ উইতে (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম) যুক্ত হই। অন্যদের লেখা পোস্টগুলো পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি কিছু একটা করার। কি নিয়ে ব্যবসা করবো এটা আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম। যেহেতু পড়াশোনা ছিল বস্ত্র ও বয়নশিল্পে। তাই এই বিষয়গুলো পড়তে শুরু করলাম ও কীভাবে শুরু করা যায় তার একটা ধারণা পেলাম। সবকিছু জেনে বুঝে ব্যবসা শুরু করলাম। প্রথমে পরিবার ও আত্মীয়-পরিজনের সহযোগীতায় উৎসাহিত হয়েছি। এরপর নিয়মিত কাজের মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি সবার ভালোবাসায়। এভাবেই চলছে আমার উদ্যোক্তা জীবন।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেছি উই থেকে। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই নিশা (সভাপতি উই) আপু এবং শ্রদ্ধেয় রাজীব আহমেদ স্যারের প্রতি। যাদের গাইড লাইনে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে চলেছি সামনের দিকে। এছাড়াও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই আমাদের উইর টাঙ্গাইল জেলার প্রতিনিধি জান্নাত মিষ্টি আপুকে। যিনি সবসময় আমাদের বিভিন্ন আপডেট তথ্য দিয়ে সংযুক্ত রাখছেন উই’র সঙ্গে।
এই ই-কর্মাসের যুগে প্রতিযোগিতায় নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য অনলাইন বিষয়ক ধারণা থাকাটা খুব দরকার। ভালো মানের পণ্যের কনটেন্ট, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, ডেলিভারি সিস্টেম, কাস্টমার বিহেভিয়ার ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নিজের পণ্য সম্পর্কে তো অবশ্যই। যাতে কাষ্টমার তথা ভোক্তার সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। মোট কথা পড়াশুনা করতে হবে নিজের পণ্য ও ই-কর্মাস সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে।
সফলতা আসলে একেক জনের কাছে একেক রকম। মৌসুমি এখনো চেষ্টা করছেন তার উদ্যোগের তাঁত পণ্য নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার। কিভাবে দেশীয় পণ্যকে আরো গুণে ও মানে সেরা করা যায় এবং সকলের পছন্দের করে তোলা যায় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছেন তিনি। ইতোমধ্যেই তার পেজে রিপিট ক্রেতা পেয়েছেন অনেকবার। যা তার ব্যবসার জন্য একটি ইতিবাচক দিক। উদ্যোক্তা জীবনের শুরুর পর আট মাসে অনেক বাধা পেরিয়ে এভাবেই সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টাঙ্গাইলের তাঁতপণ্যে ই-কর্মাস উদ্যোক্তা মৌসুমী

আপডেট সময় : ১০:৪৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

নহরে জান্নাত মিষ্টি : প্রভাষক হিসেবে কলেজে কর্মরত অবস্থায় একজন দেশীয় পণ্যের ই-কর্মাস উদ্যোক্তা মৌসুমী আক্তার। জন্ম ও বেড়ে ওঠা গাজীপুর জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ থেকে বস্ত্র ও বয়নশিল্প বিভাগে লেখাপড়া করেছেন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলায় বসবাস করছেন।
চাকরির পাশাপাশি ফেসবুক পেজ ‘তাঁত বয়ন- ঞধঃ ইধুড়হ’ নিয়ে উদ্যোক্তা জীবনের পথ চলা মৌসুমির। টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থান এবং দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যের প্রতি ভালোলাগা থেকেই তিনি টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী পণ্য নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করছেন তিনি। এরমধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন ধরনের তাঁতের তৈরি শাড়ি, থ্রিপিস, ওড়না, পাঞ্জাবি পিস এবং শাল ইত্যাদি। এছাড়াও পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের জামদানী পোশাক নিয়েও ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে তার।
নিজের ব্যবসার কথা বলতে গিয়ে মৌসুমী আক্তার বলেন, আসলে পড়াশোনা চলাকালীন থেকেই ভাবছিলাম কিছু একটা করার। কিন্তু পরিবেশটা তেমন অনুকুলে ছিল না এবং ব্যবসা নিয়ে তেমন গাইডলাইনও পাইনি। গতবছর ফেসবুক গ্রুপ উইতে (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম) যুক্ত হই। অন্যদের লেখা পোস্টগুলো পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি কিছু একটা করার। কি নিয়ে ব্যবসা করবো এটা আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম। যেহেতু পড়াশোনা ছিল বস্ত্র ও বয়নশিল্পে। তাই এই বিষয়গুলো পড়তে শুরু করলাম ও কীভাবে শুরু করা যায় তার একটা ধারণা পেলাম। সবকিছু জেনে বুঝে ব্যবসা শুরু করলাম। প্রথমে পরিবার ও আত্মীয়-পরিজনের সহযোগীতায় উৎসাহিত হয়েছি। এরপর নিয়মিত কাজের মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি সবার ভালোবাসায়। এভাবেই চলছে আমার উদ্যোক্তা জীবন।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেছি উই থেকে। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই নিশা (সভাপতি উই) আপু এবং শ্রদ্ধেয় রাজীব আহমেদ স্যারের প্রতি। যাদের গাইড লাইনে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে চলেছি সামনের দিকে। এছাড়াও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই আমাদের উইর টাঙ্গাইল জেলার প্রতিনিধি জান্নাত মিষ্টি আপুকে। যিনি সবসময় আমাদের বিভিন্ন আপডেট তথ্য দিয়ে সংযুক্ত রাখছেন উই’র সঙ্গে।
এই ই-কর্মাসের যুগে প্রতিযোগিতায় নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য অনলাইন বিষয়ক ধারণা থাকাটা খুব দরকার। ভালো মানের পণ্যের কনটেন্ট, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, ডেলিভারি সিস্টেম, কাস্টমার বিহেভিয়ার ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নিজের পণ্য সম্পর্কে তো অবশ্যই। যাতে কাষ্টমার তথা ভোক্তার সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। মোট কথা পড়াশুনা করতে হবে নিজের পণ্য ও ই-কর্মাস সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে।
সফলতা আসলে একেক জনের কাছে একেক রকম। মৌসুমি এখনো চেষ্টা করছেন তার উদ্যোগের তাঁত পণ্য নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার। কিভাবে দেশীয় পণ্যকে আরো গুণে ও মানে সেরা করা যায় এবং সকলের পছন্দের করে তোলা যায় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছেন তিনি। ইতোমধ্যেই তার পেজে রিপিট ক্রেতা পেয়েছেন অনেকবার। যা তার ব্যবসার জন্য একটি ইতিবাচক দিক। উদ্যোক্তা জীবনের শুরুর পর আট মাসে অনেক বাধা পেরিয়ে এভাবেই সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছেন তিনি।