ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

টাকা সাদা করার সুযোগ অসততাকে উৎসাহিত করা: জমির উদ্দিন

  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার অর্থ ‘অসততাকে উৎসাহিত করা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রসঙ্গ টেনে গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “এই যে লুটপাটের কালো টাকা বাজেটে ১৫% (কর) দিয়ে হোয়াইট করা হয়, যদি ১৫% দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যায় তাহলে তো যারা আমরা খেটে খাওয়া লোক আছি, তাদের সঙ্গে ওদের (কালো টাকার মালিক) তো পার্থক্য থাকছে না।
“যে করাপশন করে টাকা রাখবে, এই টাকা বাজেয়াপ্ত হবে না। ট্যাক্স দিয়ে যদি হোয়াইট করা যায় তাহলে তো ইউ উইল বি এনকারেজিং ডিজঅনেস্টি।” বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উপস্থাপিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই অপ্রদর্শিত অর্থ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন। দুই বছর আগে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমন সাড়া না পাওয়ায় পরে এ সুযোগ বাতিল করা হয়। এর পরের বছর দেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হলেও কেউ সেই সুযোগ নেননি। এক বছর বিরতির পর আগামী অর্থবছরে আবারও ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারের উদ্দেশে সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন বলেন, “আমি এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এটি বিবেচনার সময়ে সাবধানে দেখবেন যে, পার্থক্য থাকে যেন, ওয়ান ইজ আর্নিং মানি অ্যান্ড আদার ওয়ান ইজ গেটিং মানি। আর্নিং মানি কোনো সময়ে গেটিং মানির সঙ্গে এক না হয়ৃ এটুকু অনুরোধ সরকারের কাছে রইল।”
জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলীর স্মরণে এই আলোচনা সভা হয়। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে সভাপতি এজে মোহাম্মদ আলী গত ২ মে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আইন অঙ্গনে প্রয়াত আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলীর কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, রুহুল আমিন গাজী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম লিটন, আবদুল হালিম মিঞা, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাডভোকেট জামিলা মনসুর, খুরশীদ আলম, জামিলা মমতাজ, শামীমুর রহমাম শামীম, ফখরুল আলম, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও প্রয়াত এজে মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিয়াজ হোসেন খন্দকার বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা কোর্টের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

টাকা সাদা করার সুযোগ অসততাকে উৎসাহিত করা: জমির উদ্দিন

আপডেট সময় : ০৯:৩১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার অর্থ ‘অসততাকে উৎসাহিত করা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রসঙ্গ টেনে গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “এই যে লুটপাটের কালো টাকা বাজেটে ১৫% (কর) দিয়ে হোয়াইট করা হয়, যদি ১৫% দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যায় তাহলে তো যারা আমরা খেটে খাওয়া লোক আছি, তাদের সঙ্গে ওদের (কালো টাকার মালিক) তো পার্থক্য থাকছে না।
“যে করাপশন করে টাকা রাখবে, এই টাকা বাজেয়াপ্ত হবে না। ট্যাক্স দিয়ে যদি হোয়াইট করা যায় তাহলে তো ইউ উইল বি এনকারেজিং ডিজঅনেস্টি।” বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উপস্থাপিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই অপ্রদর্শিত অর্থ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন। দুই বছর আগে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমন সাড়া না পাওয়ায় পরে এ সুযোগ বাতিল করা হয়। এর পরের বছর দেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হলেও কেউ সেই সুযোগ নেননি। এক বছর বিরতির পর আগামী অর্থবছরে আবারও ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারের উদ্দেশে সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন বলেন, “আমি এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এটি বিবেচনার সময়ে সাবধানে দেখবেন যে, পার্থক্য থাকে যেন, ওয়ান ইজ আর্নিং মানি অ্যান্ড আদার ওয়ান ইজ গেটিং মানি। আর্নিং মানি কোনো সময়ে গেটিং মানির সঙ্গে এক না হয়ৃ এটুকু অনুরোধ সরকারের কাছে রইল।”
জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলীর স্মরণে এই আলোচনা সভা হয়। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে সভাপতি এজে মোহাম্মদ আলী গত ২ মে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আইন অঙ্গনে প্রয়াত আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলীর কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, রুহুল আমিন গাজী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম লিটন, আবদুল হালিম মিঞা, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাডভোকেট জামিলা মনসুর, খুরশীদ আলম, জামিলা মমতাজ, শামীমুর রহমাম শামীম, ফখরুল আলম, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও প্রয়াত এজে মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিয়াজ হোসেন খন্দকার বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা কোর্টের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।