ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

টাকার বিনিময়ে হত্যা করে তারা গা ঢাকা দিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে

  • আপডেট সময় : ০১:০০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তে এক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে হত্যা করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গা ঢাকা দিয়ে থাকত বলে পুলিশের ভাষ্য।
গত বুধবার চাঁদপুরের হাইমচর ও ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শাহ জামান ওরফে সাবু, দুলাল প্যাদা ও সাইফুল ইসলাম সুজন। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার এবং তিন হাজার ইয়াবা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এরা ভাড়াটে খুনি। তাদের গ্রুপে ৮ থেকে ১০ জন সদস্য রয়েছে। “এই গ্রুপ ভাষানটেক, পল্লবী ও মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছিল। তারা বিভিন্ন সময় টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করত।” হাফিজ আক্তার বলেন, এই চক্রটি ভাষানটেক, কালশি, ক্যান্টনমেন্ট, মাটিকাটা এলাকায় ‘চাঁদাবাজি এবং মাদক কারবারেও’ জড়িত। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য তারা ‘অস্ত্র ব্যবহার’ করত।
গত ৩০ মার্চ ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রটিকে শনাক্ত করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ওই মামলার বাদী ঠিকাদার আরব আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১৫ মার্চ তিনি একটি পয়ঃনিষ্কাশন নালার কাজ পাওয়ার পর থেকে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না দেওয়ায় তারা গত ৩০ মার্চ দুপুরে তাকে ‘হত্যার চেষ্টা’ করে। “কাজের সাইটে এসে যুবরাজ নাম বলে একজন আমার বুকে গুলি করে। আমি পিস্তলে থাবা দিলে গুলি এসে পায়ে লাগে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যায়।” গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জানান, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও বিশ্লেষণ করে সাবুকে শনাক্ত করার পর চাঁদপুরের হাইমচর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি দুজনকে ঢাকার পল্লবী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“এই চক্রটি একটি ঘটনা ঘটিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে যায়। এমন এমন এলাকায় অবস্থা নেয়, তাদেরকে ধরে আনতে … বেগ পেতে হয়। পুলিশ ছদ্মবেশে চর অঞ্চলে গিয়ে সাবুকে গ্রেপ্তার করেছে।” এই চক্রের টাকার বিনিময়ে হত্যার ‘অনেকগুলো ঘটনা’ পুলিশ জানতে পেরেছে এবং সেসব বিষয়ে কাজ চলছে বলে জানান হাফিজ আক্তার। চক্রের বাকি সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা যে অঞ্চলে থাকুক না কেন, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করবেই।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টাকার বিনিময়ে হত্যা করে তারা গা ঢাকা দিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে

আপডেট সময় : ০১:০০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তে এক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে হত্যা করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গা ঢাকা দিয়ে থাকত বলে পুলিশের ভাষ্য।
গত বুধবার চাঁদপুরের হাইমচর ও ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শাহ জামান ওরফে সাবু, দুলাল প্যাদা ও সাইফুল ইসলাম সুজন। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার এবং তিন হাজার ইয়াবা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এরা ভাড়াটে খুনি। তাদের গ্রুপে ৮ থেকে ১০ জন সদস্য রয়েছে। “এই গ্রুপ ভাষানটেক, পল্লবী ও মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছিল। তারা বিভিন্ন সময় টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করত।” হাফিজ আক্তার বলেন, এই চক্রটি ভাষানটেক, কালশি, ক্যান্টনমেন্ট, মাটিকাটা এলাকায় ‘চাঁদাবাজি এবং মাদক কারবারেও’ জড়িত। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য তারা ‘অস্ত্র ব্যবহার’ করত।
গত ৩০ মার্চ ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রটিকে শনাক্ত করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ওই মামলার বাদী ঠিকাদার আরব আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১৫ মার্চ তিনি একটি পয়ঃনিষ্কাশন নালার কাজ পাওয়ার পর থেকে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না দেওয়ায় তারা গত ৩০ মার্চ দুপুরে তাকে ‘হত্যার চেষ্টা’ করে। “কাজের সাইটে এসে যুবরাজ নাম বলে একজন আমার বুকে গুলি করে। আমি পিস্তলে থাবা দিলে গুলি এসে পায়ে লাগে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যায়।” গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জানান, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও বিশ্লেষণ করে সাবুকে শনাক্ত করার পর চাঁদপুরের হাইমচর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি দুজনকে ঢাকার পল্লবী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“এই চক্রটি একটি ঘটনা ঘটিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে যায়। এমন এমন এলাকায় অবস্থা নেয়, তাদেরকে ধরে আনতে … বেগ পেতে হয়। পুলিশ ছদ্মবেশে চর অঞ্চলে গিয়ে সাবুকে গ্রেপ্তার করেছে।” এই চক্রের টাকার বিনিময়ে হত্যার ‘অনেকগুলো ঘটনা’ পুলিশ জানতে পেরেছে এবং সেসব বিষয়ে কাজ চলছে বলে জানান হাফিজ আক্তার। চক্রের বাকি সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা যে অঞ্চলে থাকুক না কেন, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করবেই।”