ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

টাইমের প্রচ্ছদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

  • আপডেট সময় : ১১:২৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন টাইমের সর্বশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদ করা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে। সর্বশেষ সংস্করণে জেলেনস্কির একটি সাক্ষাৎকার ছেপেছে টাইম। জেলেনস্কির জীবনযাপন ও যুদ্ধপরিস্থিতির মতো কঠিন সময়ে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন লিখেছেন সিমন শুস্টার।
প্রচ্ছদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ছবির সঙ্গে এক বাক্যে লেখা হয়েছে, ‘হাউ জেলেনস্কি লিডস: ইনসাইড দ্য কমপাউন্ড উইথ দ্য প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হিজ টিম’।
টাইম ম্যাগাজিনকে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বোমাবর্ষণে তিনি যতটা বিরক্ত হয়েছেন ইউক্রেন নিয়ে বিশ্বের মনোযোগ তাঁকে প্রায় ততটা বিরক্ত করে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ইনস্টাগ্রাম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ (ইউক্রেনে) যুদ্ধ দেখছে। কিন্তু যখন তারা এটা দেখে দেখে ক্লান্ত হচ্ছে, তখনই আর তারা যুদ্ধ নিয়ে কিছু দেখতে চাইছে না। স্ক্রল করে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেনে প্রচুর রক্ত ঝরছে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের সেনারা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহে জেলেনস্কি ছিলেন তটস্থ। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি জেনারেলদের কাছ থেকে হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইতেন। পরে অবশ্য তিনি যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার এ সময় বদলে ফেলেন। এরপর থেকে তিনি ঘুম থেকে উঠে সবার আগে সকালের খাবার খেয়ে নেন। খাওয়া শেষে প্রেসিডেন্ট ভবন নিজের কার্যালয়ে গিয়ে বসেন।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এক সময় জেলেনস্কি প্রেসিডেন্টের ভবন থেকে চুপিসারে বের হয়ে কিয়েভের ধ্বংসলীলা দেখতে রাস্তায় বের হতেন। জেলেনস্কির সাক্ষাৎকার নেওয়া টাইমের সিমন শুস্টার বলছেন, দুই মাসের এ যুদ্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আরও শক্ত, ক্ষিপ্ত করেছে ও ঝুঁকি নিতে শিখিয়েছে।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রুশ বাহিনী কিয়েভের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। এমনকি তাঁকে হত্যা বা আটক করার খুবই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। হামলা শুরুর পরই রুশ বাহিনীর অগ্রগতি দেখে কিয়েভ পতনকে অত্যাসন্ন বলে মনে করেছিলেন অনেকেই। সেই সময় দেশ ছাড়তে জেলেনস্কির জন্য হেলিকপ্টার পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জেলেনস্কি তা নাকচ করে তখন লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর দুই মাস পেরিয়েছে। যুদ্ধের এত দিন পরেও রাশিয়ার আক্রমণের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য বিশ্বজুড়ে ভীষণভাবে প্রশংসিত হচ্ছেন জেলেনস্কি। তিনি বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট, অনুষ্ঠান ও জনসমাবেশেও ভার্চ্যুয়াল যুক্ত হয়ে ভাষণ দিয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টাইমের প্রচ্ছদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

আপডেট সময় : ১১:২৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন টাইমের সর্বশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদ করা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে। সর্বশেষ সংস্করণে জেলেনস্কির একটি সাক্ষাৎকার ছেপেছে টাইম। জেলেনস্কির জীবনযাপন ও যুদ্ধপরিস্থিতির মতো কঠিন সময়ে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন লিখেছেন সিমন শুস্টার।
প্রচ্ছদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ছবির সঙ্গে এক বাক্যে লেখা হয়েছে, ‘হাউ জেলেনস্কি লিডস: ইনসাইড দ্য কমপাউন্ড উইথ দ্য প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হিজ টিম’।
টাইম ম্যাগাজিনকে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বোমাবর্ষণে তিনি যতটা বিরক্ত হয়েছেন ইউক্রেন নিয়ে বিশ্বের মনোযোগ তাঁকে প্রায় ততটা বিরক্ত করে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ইনস্টাগ্রাম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ (ইউক্রেনে) যুদ্ধ দেখছে। কিন্তু যখন তারা এটা দেখে দেখে ক্লান্ত হচ্ছে, তখনই আর তারা যুদ্ধ নিয়ে কিছু দেখতে চাইছে না। স্ক্রল করে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেনে প্রচুর রক্ত ঝরছে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের সেনারা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহে জেলেনস্কি ছিলেন তটস্থ। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি জেনারেলদের কাছ থেকে হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইতেন। পরে অবশ্য তিনি যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার এ সময় বদলে ফেলেন। এরপর থেকে তিনি ঘুম থেকে উঠে সবার আগে সকালের খাবার খেয়ে নেন। খাওয়া শেষে প্রেসিডেন্ট ভবন নিজের কার্যালয়ে গিয়ে বসেন।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এক সময় জেলেনস্কি প্রেসিডেন্টের ভবন থেকে চুপিসারে বের হয়ে কিয়েভের ধ্বংসলীলা দেখতে রাস্তায় বের হতেন। জেলেনস্কির সাক্ষাৎকার নেওয়া টাইমের সিমন শুস্টার বলছেন, দুই মাসের এ যুদ্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আরও শক্ত, ক্ষিপ্ত করেছে ও ঝুঁকি নিতে শিখিয়েছে।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রুশ বাহিনী কিয়েভের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। এমনকি তাঁকে হত্যা বা আটক করার খুবই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। হামলা শুরুর পরই রুশ বাহিনীর অগ্রগতি দেখে কিয়েভ পতনকে অত্যাসন্ন বলে মনে করেছিলেন অনেকেই। সেই সময় দেশ ছাড়তে জেলেনস্কির জন্য হেলিকপ্টার পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জেলেনস্কি তা নাকচ করে তখন লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর দুই মাস পেরিয়েছে। যুদ্ধের এত দিন পরেও রাশিয়ার আক্রমণের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য বিশ্বজুড়ে ভীষণভাবে প্রশংসিত হচ্ছেন জেলেনস্কি। তিনি বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট, অনুষ্ঠান ও জনসমাবেশেও ভার্চ্যুয়াল যুক্ত হয়ে ভাষণ দিয়েছেন।