নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামী অক্টোবর থেকে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু এবং প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এ টিকার আওতায় আনা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় এক লাখ দশ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে টাইফয়েডের প্রকোপ অনেক বেশি। প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ ৮৯ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৮ হাজার মানুষ মারা যান, যাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা টাইফয়েড হয়। দুষিত খাবার, পানীয় জল এবং অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থার কারণে এ রোগ ছড়ায়। উচ্চ জ্বর, পেট ব্যথা, মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদি টাইফয়েডের প্রধান লক্ষণ।
টিকাদান কর্মসূচির আওতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত সব শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের নির্দিষ্ট দিনে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের অনলাইনে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ক্যাম্পেইনকে সফল করতে মাঠপর্যায়ে শিক্ষক, সাংবাদিক, সামাজিক সংগঠনসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। গর্ভবতী বা দুধদানকারী মাকে এ টিকা দেওয়া হবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও গ্যাভির সহযোগিতায় বাস্তবায়িত এ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণে বড় অর্জন আনতে সক্ষম হবে বলে আশা করছে সরকার।
এসি/আপ্র/১৪/০৯/২০২৫