ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

টাইটানিকের রেপ্লিকা বানাচ্ছে চীন

  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মে ২০২১
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ডুবে যাওয়া ঐতিহাসিক যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিকের অবিকল নকল একটি রেপ্লিকা বানাচ্ছে চীন। সিচুয়ান প্রদেশের দায়িং কাউন্টির এক থিম পার্কে নির্মাণ চলছে এই বিশাল রেপ্লিকার। আসল জাহাজটির মতো এটিও ২৬৯.০৬ মিটার লম্বা এবং ২৮.১৯ মিটার প্রস্থের হবে। এই রেপ্লিকার মাধ্যমে মানুষ আসল টাইটানিকের যাত্রী হওয়ার মতো অনুভূতি নিতে পারবে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রোমানদিসা থিম পার্কে স্থাপন করা হচ্ছে টাইটানিকের রেপ্লিকা। মূল জাহাজে যে পরিমাণ খাবার হল, থিয়েটার, পর্যবেক্ষণ ডেক এবং সুইমিং পুলি ছিলো রেপ্লিকাতেও তাই থাকবে। কিউজ্যাং নদীর একটি জলাধারে রেপ্লিকাটি স্থায়ীভাবে রাখা থাকবে। সেখানে যাত্রীরা এক রাত অবস্থানের সুযোগ পাবেন। তবে রেপ্লিকাটি কবে নাগাদ খুলে দেওয়া হবে তা এখনও জানা যায়নি।
২০১৬ সালে প্রকল্পটি শুরুর কথা প্রথম জানায় সিএনএন। ওই সময়ে এটির নির্মাণ কেবল শুরু হয়। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপির এক ফটো প্রতিবেদনে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখা গেছে। এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে রেপ্লিকাটি নির্মাণে ২৩ হাজার টন স্টিল লাগছে। এতে ব্যয় হচ্ছে একশ’ কোটি ইউয়ান। তবে টাইটানিকের রেপ্লিকা কেবল চীনই বানাচ্ছে না। ২০১৮ সাণে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি ব্লু স্টার লাইন টাইটানিক-২ বানানোর ঘোষণা দেয়। তবে সেই নির্মাণ কাজ এখনও থমকে আছে।
উল্লেখ্য, ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বন্দর থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে আসল টাইটানিক। ওই সময় এটিই ছিলো সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ। ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতে জাহাজটি একটি আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খায় আর এর তিন ঘণ্টার মধ্যে ডুবে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট প্রতিবেদন অনুযায়ী টাইটানিক বিপর্যয়ে এক হাজার ৫১৭ জনের মৃত্যু হয় আর বেঁচে যায় ৭০৬ জন।
১৯৮৫ সালে আমেরিকান বিজ্ঞানী রবার্ট বালার্ড এবং ফ্রান্সের জেন জ্যারির নেতৃত্বাধীন একটি দল কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। পরে বালার্ড এবং তার কর্মীরা মিলে প্রথমবারের মতো জাহাজটি খুঁজে দেখেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টাইটানিকের রেপ্লিকা বানাচ্ছে চীন

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মে ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ডুবে যাওয়া ঐতিহাসিক যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিকের অবিকল নকল একটি রেপ্লিকা বানাচ্ছে চীন। সিচুয়ান প্রদেশের দায়িং কাউন্টির এক থিম পার্কে নির্মাণ চলছে এই বিশাল রেপ্লিকার। আসল জাহাজটির মতো এটিও ২৬৯.০৬ মিটার লম্বা এবং ২৮.১৯ মিটার প্রস্থের হবে। এই রেপ্লিকার মাধ্যমে মানুষ আসল টাইটানিকের যাত্রী হওয়ার মতো অনুভূতি নিতে পারবে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রোমানদিসা থিম পার্কে স্থাপন করা হচ্ছে টাইটানিকের রেপ্লিকা। মূল জাহাজে যে পরিমাণ খাবার হল, থিয়েটার, পর্যবেক্ষণ ডেক এবং সুইমিং পুলি ছিলো রেপ্লিকাতেও তাই থাকবে। কিউজ্যাং নদীর একটি জলাধারে রেপ্লিকাটি স্থায়ীভাবে রাখা থাকবে। সেখানে যাত্রীরা এক রাত অবস্থানের সুযোগ পাবেন। তবে রেপ্লিকাটি কবে নাগাদ খুলে দেওয়া হবে তা এখনও জানা যায়নি।
২০১৬ সালে প্রকল্পটি শুরুর কথা প্রথম জানায় সিএনএন। ওই সময়ে এটির নির্মাণ কেবল শুরু হয়। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপির এক ফটো প্রতিবেদনে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখা গেছে। এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে রেপ্লিকাটি নির্মাণে ২৩ হাজার টন স্টিল লাগছে। এতে ব্যয় হচ্ছে একশ’ কোটি ইউয়ান। তবে টাইটানিকের রেপ্লিকা কেবল চীনই বানাচ্ছে না। ২০১৮ সাণে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি ব্লু স্টার লাইন টাইটানিক-২ বানানোর ঘোষণা দেয়। তবে সেই নির্মাণ কাজ এখনও থমকে আছে।
উল্লেখ্য, ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বন্দর থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে আসল টাইটানিক। ওই সময় এটিই ছিলো সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ। ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতে জাহাজটি একটি আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খায় আর এর তিন ঘণ্টার মধ্যে ডুবে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট প্রতিবেদন অনুযায়ী টাইটানিক বিপর্যয়ে এক হাজার ৫১৭ জনের মৃত্যু হয় আর বেঁচে যায় ৭০৬ জন।
১৯৮৫ সালে আমেরিকান বিজ্ঞানী রবার্ট বালার্ড এবং ফ্রান্সের জেন জ্যারির নেতৃত্বাধীন একটি দল কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। পরে বালার্ড এবং তার কর্মীরা মিলে প্রথমবারের মতো জাহাজটি খুঁজে দেখেন।