লাইফস্টাইল ডেস্ক : টক দই খেতে যেমন মজা তেমনি উপকারী। পেটের সমস্যা নিরসনে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে টক দই বিশেষ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা বলেন, “টক দই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত টক দই খেলে পেটের সমস্যা কমে, শরীর ঠা-া থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।”
টক দইয়ের পুষ্টিগুণ: টক দইয়ে আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-সিক্স, টুয়েল্ভ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। টক দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ যা পেটের নানান সমস্যা দূর করে। এতে আছে নানান খনিজ উপাদান ও ভালো ব্যাক্টেরিয়া যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতি এক কাপ টক দইয়ে প্রায় ২৭০ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়ের গঠনে সহায়তা করে। প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকায় টক দই খাওয়া ক্ষুধাভাব কমায় ফলে ওজন কমানো সহজ হয়। ভালো ব্যাক্টেরিয়া থাকায় অন্ত্র সুস্থ রাখে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফলে বয়সের ছাপ ধীর হয়।
রূপচর্চায় পিছিয়ে নেই টক দই: রেড বিউটি স্যালনের কর্ণধার আফরোজা পারভীন বলেন, “টক দই দিয়েই ত্বক ও চুলের যতœ ঘরে বসে নেওয়া যায়”। সহজেই টক দই দিয়ে ত্বক ও চুল পরিচর্যার উপায় জানান তিনি।
চুলের যতেœ টকদই: উপকরণ: টক দই, অ্যালো ভেরা ও মধু। তৈরি ও ব্যবহার পদ্ধতি: টক দই ও অ্যালো ভেরা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে তাতে সামান্য মধু যোগ করুন। চুলে হালকা গরম তেল মালিশ করে প্যাকটি মাথার ত্বক ও সম্পূর্ণ চুলে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাক চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও চকচকে-ভাব আনে।
ত্বকের যতেœ টক দই: উপকরণ: টক দই ও হলুদ গুঁড়া। তৈরি ও ব্যবহার পদ্ধতি: দুই চা-চামচ টক দইয়ের সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। প্যাকটি মুখসহ রোদপোড়া অংশে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাক দ্রুত রোদপোড়াভাব কমাতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
টক দইয়ের যত উপকারিতা
ট্যাগস :
টক দইয়ের যত উপকারিতা
জনপ্রিয় সংবাদ