ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

টক অফ দ্য কান্ট্রি হিরো আলম হামলায় জাতিসংঘের উদ্বেগ, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং

  • আপডেট সময় : ০২:৫০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম)-এর ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এক টুইটে এ উদ্বেগের কথা জানান। টুইট বার্তায় তিনি লিখেন, ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয়। সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেকের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত ওসুরক্ষিত করতে হবে।
গত সোমবার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় হিরো আলমের ওপর হামলা হয়। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রামপুরায় বেটার লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয় হিরো আলমকে। সেখান থেকে সন্ধ্যায় তিনি বাসায় ফেরেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে হিরো আলম প্রসঙ্গ: ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে।
গত সোমবার ওই ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, “গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। “যে কোনো সহিংসতার ঘটনার পূর্ণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি।” এই উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালীন সোমবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে হামলার শিকার হন হিরো আলম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দিতে স্কুলের মাঠে কয়েকজনের সঙ্গে সেলফি তোলেন হিরো আলম। তখন নৌকার ব্যাজধারী কয়েকজন এসে তাকে ঘিরে ধরেন এবং বলেন, ‘এটা টিকটক ভিডিও বানানোর জায়গা না’। এরপর হিরো আলমকে ধাওয়া শুরু করেন। তখন কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে ধরে স্কুলের গেইটের বাইরে দিয়ে আসেন। এরপর হিরো আলমকে সড়কে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে আলোচনায় আসা হিরো আলম নিজ এলাকা বগুড়ার ভোটার হওয়ায় এই উপনির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটের পরিবেশ দেখছিলেন তিনি। পরে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের শেষ দিকে হামলার শিকার হলে ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। হিরো আলমের ওপর হামলা এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাঝপথে নির্বাচন বর্জনের মধ্যে ঢাকা-১৭ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহম্মদ এ আরাফাত। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ। হামলার ওই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে হিরো আলমের নাম না উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রসঙ্গটি তোলেন এক প্রশ্নকারী। মুখপাত্র মিলারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সফর থেকে ফেরার পর বাংলাদেশ সরকার আবার হামলার ধারায় ফিরেছে। গতকাল একটি উপ-নির্বাচন হয়েছে। যদিও প্রধান বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করেছেৃএমনকি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছে, তিনি এখন হাসপাতালে এবং (নির্বাচনে) ১০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে।
“যেখানে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ছিল না এবং এখন উপ-নির্বাচনই অবাধ ও নিরপেক্ষ না এবং প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছে, আপনারা কীভাবে বিশ্বাস করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে? এক্ষেত্রে আপনার অবস্থান কী? আপনারা কি এটা নজরে রাখছেন?”
জবাবে মিলার বলেন, “আগেও আমরা বলেছি, আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে এবং আমরা এটার নিবিড় পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখব।” ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সামনে বিক্ষোভ এবং ওই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এক ছাত্রদল নেতার নোয়াখালীর বাড়িতে হামলার ঘটনার প্রসঙ্গেও জানতে চান ওই প্রশ্নকারী। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র তখন বলেন, “আমি পুনরায় বলব, এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান রাজনৈতিক নির্বাচনে নেই।”
হামলার ঘটনায় রিমান্ডে দুজন, কারাগারে ৫ জন: ঢাকা-১৭ আসনে ভোট চলাকালে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টার মামলায় দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব ওই দুই আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি গ্রেপ্তার অপর পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন। রিমান্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন ছানোয়ার কাজী (২৮) ও বিপ্লব হোসেন (৩১)। তাঁদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। কারাগারে পাঠানো পাঁচ আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান (২৭), মোজাহিদ খান (২৭), আশিক সরকার (২৪), হৃদয় শেখ (২৪) ও সোহেল মোল্লা (২৫)। এই পাঁচজনের মধ্যে মাহমুদুল, মোজাহিদ ও সোহেলের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এ ছাড়া হৃদয়ের বাড়ি শরীয়তপুর এবং আশিকের বাড়ি কুমিল্লায়।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ছানোয়ার ও বিপ্লবকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। বাকি পাঁচজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে বনানী থানা-পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ছানোয়ার ও বিপ্লবকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাতজনকে। মঙ্গলবার দুপুরে হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান বাদী হয়ে বনানী থানায় এই মামলা করেন। সুজন রহমান বলেন, হামলাকারীদের নাম জানেন না, তাই মামলায় আসামিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পুলিশের কাছে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দিয়েছেন। এখন হামলায় যাঁরা জড়িত, পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টক অফ দ্য কান্ট্রি হিরো আলম হামলায় জাতিসংঘের উদ্বেগ, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং

আপডেট সময় : ০২:৫০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম)-এর ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এক টুইটে এ উদ্বেগের কথা জানান। টুইট বার্তায় তিনি লিখেন, ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয়। সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেকের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত ওসুরক্ষিত করতে হবে।
গত সোমবার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় হিরো আলমের ওপর হামলা হয়। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রামপুরায় বেটার লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয় হিরো আলমকে। সেখান থেকে সন্ধ্যায় তিনি বাসায় ফেরেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে হিরো আলম প্রসঙ্গ: ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে।
গত সোমবার ওই ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, “গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। “যে কোনো সহিংসতার ঘটনার পূর্ণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি।” এই উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালীন সোমবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে হামলার শিকার হন হিরো আলম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দিতে স্কুলের মাঠে কয়েকজনের সঙ্গে সেলফি তোলেন হিরো আলম। তখন নৌকার ব্যাজধারী কয়েকজন এসে তাকে ঘিরে ধরেন এবং বলেন, ‘এটা টিকটক ভিডিও বানানোর জায়গা না’। এরপর হিরো আলমকে ধাওয়া শুরু করেন। তখন কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে ধরে স্কুলের গেইটের বাইরে দিয়ে আসেন। এরপর হিরো আলমকে সড়কে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে আলোচনায় আসা হিরো আলম নিজ এলাকা বগুড়ার ভোটার হওয়ায় এই উপনির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটের পরিবেশ দেখছিলেন তিনি। পরে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের শেষ দিকে হামলার শিকার হলে ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। হিরো আলমের ওপর হামলা এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাঝপথে নির্বাচন বর্জনের মধ্যে ঢাকা-১৭ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহম্মদ এ আরাফাত। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ। হামলার ওই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে হিরো আলমের নাম না উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রসঙ্গটি তোলেন এক প্রশ্নকারী। মুখপাত্র মিলারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সফর থেকে ফেরার পর বাংলাদেশ সরকার আবার হামলার ধারায় ফিরেছে। গতকাল একটি উপ-নির্বাচন হয়েছে। যদিও প্রধান বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করেছেৃএমনকি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছে, তিনি এখন হাসপাতালে এবং (নির্বাচনে) ১০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে।
“যেখানে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ছিল না এবং এখন উপ-নির্বাচনই অবাধ ও নিরপেক্ষ না এবং প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছে, আপনারা কীভাবে বিশ্বাস করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে? এক্ষেত্রে আপনার অবস্থান কী? আপনারা কি এটা নজরে রাখছেন?”
জবাবে মিলার বলেন, “আগেও আমরা বলেছি, আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে এবং আমরা এটার নিবিড় পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখব।” ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সামনে বিক্ষোভ এবং ওই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এক ছাত্রদল নেতার নোয়াখালীর বাড়িতে হামলার ঘটনার প্রসঙ্গেও জানতে চান ওই প্রশ্নকারী। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র তখন বলেন, “আমি পুনরায় বলব, এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান রাজনৈতিক নির্বাচনে নেই।”
হামলার ঘটনায় রিমান্ডে দুজন, কারাগারে ৫ জন: ঢাকা-১৭ আসনে ভোট চলাকালে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টার মামলায় দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব ওই দুই আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি গ্রেপ্তার অপর পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন। রিমান্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন ছানোয়ার কাজী (২৮) ও বিপ্লব হোসেন (৩১)। তাঁদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। কারাগারে পাঠানো পাঁচ আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান (২৭), মোজাহিদ খান (২৭), আশিক সরকার (২৪), হৃদয় শেখ (২৪) ও সোহেল মোল্লা (২৫)। এই পাঁচজনের মধ্যে মাহমুদুল, মোজাহিদ ও সোহেলের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এ ছাড়া হৃদয়ের বাড়ি শরীয়তপুর এবং আশিকের বাড়ি কুমিল্লায়।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ছানোয়ার ও বিপ্লবকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। বাকি পাঁচজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে বনানী থানা-পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ছানোয়ার ও বিপ্লবকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাতজনকে। মঙ্গলবার দুপুরে হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান বাদী হয়ে বনানী থানায় এই মামলা করেন। সুজন রহমান বলেন, হামলাকারীদের নাম জানেন না, তাই মামলায় আসামিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পুলিশের কাছে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দিয়েছেন। এখন হামলায় যাঁরা জড়িত, পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করবে।