ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝুলেই থাকলো বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে তুলনামূলক বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। আবার নতুন প্রতিষ্ঠিত এবং তুলনামূলক কম শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে মতামত দেন। শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ বৈঠক শেষ হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেওয়া তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বললে তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। একই তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তাও। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযাগ কর্মকর্তা সিরাজ উদ-দৌলা খান জানান, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পাওয়া বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, বৈঠকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির বিষয়ে বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের মতামত গ্রহণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের (অংশীজন) সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গুচ্ছে থাকতে চায় না এমন একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সব উপাচার্য নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান তুলে ধরেছেন। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে চায়। তুলনামূলক নবীন ও কম শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। একেবারে সংখ্যাগরিষ্ঠ কোনো মতামত না আসায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
উত্তরাঞ্চলের আরেকটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘যাদের এখনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সক্ষমতা নেই, তারা গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে। বিষয়টি নিয়ে বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আমিনুল স্যার শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন। ইউজিসির সঙ্গেও আলোচনা করবেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের মতামতও নেওয়া হবে। সবাই যেভাবে চান, শেষ পর্যন্ত সেটা হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘যদি এবারও শেষ পর্যন্ত গুচ্ছ থেকে যায়, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কমবে। কারণ যারা এরই মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন, তাদের আর গুচ্ছে ফেরার সুযোগ নেই। অনেকে হয়তো মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিলেও এবার গুচ্ছে থাকবে না। অর্থাৎ, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শেষ পর্যন্ত গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারে।’ বিষয়টি নিয়ে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘উপাচার্যরা বিভক্ত। ফলে সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা ও ছাত্র উপদেষ্টাদের কাছেও যেতে পারে। তাছাড়া ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতামতও নেওয়া হতে পারে।’

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঝুলেই থাকলো বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে তুলনামূলক বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। আবার নতুন প্রতিষ্ঠিত এবং তুলনামূলক কম শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে মতামত দেন। শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ বৈঠক শেষ হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেওয়া তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বললে তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। একই তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তাও। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযাগ কর্মকর্তা সিরাজ উদ-দৌলা খান জানান, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পাওয়া বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, বৈঠকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির বিষয়ে বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের মতামত গ্রহণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের (অংশীজন) সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গুচ্ছে থাকতে চায় না এমন একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সব উপাচার্য নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান তুলে ধরেছেন। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে চায়। তুলনামূলক নবীন ও কম শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। একেবারে সংখ্যাগরিষ্ঠ কোনো মতামত না আসায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
উত্তরাঞ্চলের আরেকটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘যাদের এখনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সক্ষমতা নেই, তারা গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে। বিষয়টি নিয়ে বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আমিনুল স্যার শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন। ইউজিসির সঙ্গেও আলোচনা করবেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের মতামতও নেওয়া হবে। সবাই যেভাবে চান, শেষ পর্যন্ত সেটা হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘যদি এবারও শেষ পর্যন্ত গুচ্ছ থেকে যায়, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কমবে। কারণ যারা এরই মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন, তাদের আর গুচ্ছে ফেরার সুযোগ নেই। অনেকে হয়তো মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিলেও এবার গুচ্ছে থাকবে না। অর্থাৎ, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শেষ পর্যন্ত গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারে।’ বিষয়টি নিয়ে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘উপাচার্যরা বিভক্ত। ফলে সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা ও ছাত্র উপদেষ্টাদের কাছেও যেতে পারে। তাছাড়া ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতামতও নেওয়া হতে পারে।’