ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

ঝুঁকির মুখে মোবাইল ফোন উৎপাদকদের বিনিয়োগ

  • আপডেট সময় : ০২:১৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘পণ্যের উপকরণে উচ্চ শুল্কায়ন ও শুল্ক জটিলতা এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় ঝুঁকি মুখে রয়েছে সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজন শিল্পের বিনিয়োগ। এর ফলে বর্তমান সরকারের প্রযুক্তি নির্ভর সেলুলার ফোন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাঠানো ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা সংক্রান্ত চিঠিতে এ কথা বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গত ২১ মার্চ পাঠানো চিঠিতে জব্বার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল সংশ্লিষ্ট এসআরওতে না থাকায় একদিকে উৎপাদনকারীরা রেয়াতি সুবিধা পাচ্ছেন না, অন্যদিকে পণ্যের উপকরণে উচ্চ শুল্কায়নের ফলে উৎপাদন দুরূহ হওয়া দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত প্রযুক্তিনির্ভর সেলুলার ফোন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ানো, সেলুলার ফোনের যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন, প্রজ্ঞাপনের বাস্তবিক কার্যকারিতা, সরাসরি উৎপাদনের উৎসাহ দেওয়া, প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। উৎপাদনকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বিকাশে রেয়াতি সুবিধা দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ রক্ষার্থে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত মূল্য সংযোজন করের জটিলতা এড়ানোর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূসক থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মূসক সর্বনি¤œ ৩ থেকে ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এর ফলে দেশীয় শিল্প বিকাশের মাধ্যমে রিজার্ভ ও রাজস্ব বাড়াবে, উৎসাহ বাড়াবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়, আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, সেলুলার মোবাইল ফোন উৎপাদনের জন্য লোডেড প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (পিসিবি) অ্যাসেম্বলি ও মাদারবোর্ড ফর সেলুলার ফোন যন্ত্রাংশগুলো সুনির্দিষ্ট নামে না থাকার কারণে এইচএস কোডের মাধ্যমে কম মূল্যে শুল্কায়ন হচ্ছে। এর ফলে দেশীয় উৎপাদনকারীর বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উপকরণগুলো নিজস্ব কারখানায় উৎপাদনে সক্ষম এবং আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীর মধ্যে সুষম বাজার প্রতিযোগিতার জন্য সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন তিনি। তিনি বলেন, সেলুলার ফোন উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত টাচ প্যানেল ফর মোবাইল ফোন, এলসিএম ফর মোবাইল ফোন এবং টাচউইথ ডিসপ্লে অ্যাসেম্বলি ফর মোবাইল ফোনের সঙ্গে এইচএস কোডের বর্ণনা সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় আমদানির ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ জটিলতা নিরসনের আহ্বান জানান মোস্তাফা জব্বার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝুঁকির মুখে মোবাইল ফোন উৎপাদকদের বিনিয়োগ

আপডেট সময় : ০২:১৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘পণ্যের উপকরণে উচ্চ শুল্কায়ন ও শুল্ক জটিলতা এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় ঝুঁকি মুখে রয়েছে সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজন শিল্পের বিনিয়োগ। এর ফলে বর্তমান সরকারের প্রযুক্তি নির্ভর সেলুলার ফোন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাঠানো ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা সংক্রান্ত চিঠিতে এ কথা বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গত ২১ মার্চ পাঠানো চিঠিতে জব্বার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল সংশ্লিষ্ট এসআরওতে না থাকায় একদিকে উৎপাদনকারীরা রেয়াতি সুবিধা পাচ্ছেন না, অন্যদিকে পণ্যের উপকরণে উচ্চ শুল্কায়নের ফলে উৎপাদন দুরূহ হওয়া দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত প্রযুক্তিনির্ভর সেলুলার ফোন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ানো, সেলুলার ফোনের যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন, প্রজ্ঞাপনের বাস্তবিক কার্যকারিতা, সরাসরি উৎপাদনের উৎসাহ দেওয়া, প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। উৎপাদনকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বিকাশে রেয়াতি সুবিধা দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ রক্ষার্থে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত মূল্য সংযোজন করের জটিলতা এড়ানোর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূসক থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মূসক সর্বনি¤œ ৩ থেকে ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এর ফলে দেশীয় শিল্প বিকাশের মাধ্যমে রিজার্ভ ও রাজস্ব বাড়াবে, উৎসাহ বাড়াবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়, আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, সেলুলার মোবাইল ফোন উৎপাদনের জন্য লোডেড প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (পিসিবি) অ্যাসেম্বলি ও মাদারবোর্ড ফর সেলুলার ফোন যন্ত্রাংশগুলো সুনির্দিষ্ট নামে না থাকার কারণে এইচএস কোডের মাধ্যমে কম মূল্যে শুল্কায়ন হচ্ছে। এর ফলে দেশীয় উৎপাদনকারীর বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উপকরণগুলো নিজস্ব কারখানায় উৎপাদনে সক্ষম এবং আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীর মধ্যে সুষম বাজার প্রতিযোগিতার জন্য সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন তিনি। তিনি বলেন, সেলুলার ফোন উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত টাচ প্যানেল ফর মোবাইল ফোন, এলসিএম ফর মোবাইল ফোন এবং টাচউইথ ডিসপ্লে অ্যাসেম্বলি ফর মোবাইল ফোনের সঙ্গে এইচএস কোডের বর্ণনা সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় আমদানির ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ জটিলতা নিরসনের আহ্বান জানান মোস্তাফা জব্বার।