ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঝিনাইদহের কৃষকরা বোরোর বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত

  • আপডেট সময় : ০৪:৪৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: বোরো ধানের বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের কৃষকরা। পৌষ মাসে কুয়াশায় বীজতলা নষ্টের ঝুঁকি এড়াতে নানা উপায় অবলম্বন করছেন তারা। ধানের চারার সুরক্ষায় পলিথিন ও ছাউনি দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিয়েছেন অনেক কৃষক। জেলার সব উপজেলার ধানি জমিতে একই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কৃষকরা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকার কাজে ব্যস্ত। কেউ কেউ বীজতলার বাড়তি পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি করেছেন ছোট ছোট ড্রেন। এছাড়া চারার ডগায় জমে থাকা শিশির ঝরিয়ে দিতে ব্যবহার করছেন পাটকাঠি।
আকস্মিক বৃষ্টির পূর্বাভাস ও ঘন কুয়াশায় গত এক সপ্তাহ যাবত জেলা জুড়ে বোরো ধানের বীজতলার বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকেরা বলছেন, কুয়াশা তীব্র হলে বীজতলার অঙ্কুরিত চারার বৃদ্ধি কমে যায়। এছাড়া কুয়াশার কারণে ধানের চারা বিবর্ণ হয়ে যায়। এতে ভালো চারা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রামের মাহফুজ হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা পড়ছে। এতে ধানের চারা পুড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। চারা যাতে নষ্ট না হয়ে যায় এজন্য পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা ছাড়া উপায় নেই।
হরিপুর গ্রামের কৃষক মোস্তফা আলী বলেন, ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের চারা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তার ওপর আবার অসময়ে বৃষ্টির ঝুঁকিও আছে। বীজতলার চারপাশে ছোট ছোট ড্রেন করেছি। যেন বীজতলার বাড়তি পানি সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে।
জেলার সব উপজেলায় বোরো ধান চাষীরা একই রকম প্রস্তুতি ও পরিচর্যা নিয়েছেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুর এ নবী বাসস’কে বলেন, পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেয়ার বিকল্প নেই। এতে চারার আর্দ্রতা ও বীজতলার তাপমাত্রা ঠিক থাকে। ফলে চারার বৃদ্ধি ভালো হয়। তিনি কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, যদি ধানের চারার ডগা লালচে বর্ণ ধারণ করে তাহলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। শৈত্যপ্রবাহ থাকলে ধানের চারার ডগায় শিশির জমে। এটা ক্ষতিকর। তাই, পাটকাঠি বা লম্বা কাঠি দিয়ে ধানের চারার ডগা থেকে শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠী চন্দ্র রায় বাসস’কে বলেন, ধানের বীজতলার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ, কৃষক পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা পৌঁছে দিচ্ছেন। কৃষক পর্যায়ে যাবতীয় তথ্য ও সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার কাজ আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে করে যাচ্ছি।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মব বন্ধ না করলে ডেভিল হিসেবে ট্রিট করবো: উপদেষ্টা মাহফুজ

ঝিনাইদহের কৃষকরা বোরোর বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত

আপডেট সময় : ০৪:৪৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: বোরো ধানের বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের কৃষকরা। পৌষ মাসে কুয়াশায় বীজতলা নষ্টের ঝুঁকি এড়াতে নানা উপায় অবলম্বন করছেন তারা। ধানের চারার সুরক্ষায় পলিথিন ও ছাউনি দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিয়েছেন অনেক কৃষক। জেলার সব উপজেলার ধানি জমিতে একই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কৃষকরা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকার কাজে ব্যস্ত। কেউ কেউ বীজতলার বাড়তি পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি করেছেন ছোট ছোট ড্রেন। এছাড়া চারার ডগায় জমে থাকা শিশির ঝরিয়ে দিতে ব্যবহার করছেন পাটকাঠি।
আকস্মিক বৃষ্টির পূর্বাভাস ও ঘন কুয়াশায় গত এক সপ্তাহ যাবত জেলা জুড়ে বোরো ধানের বীজতলার বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকেরা বলছেন, কুয়াশা তীব্র হলে বীজতলার অঙ্কুরিত চারার বৃদ্ধি কমে যায়। এছাড়া কুয়াশার কারণে ধানের চারা বিবর্ণ হয়ে যায়। এতে ভালো চারা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রামের মাহফুজ হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা পড়ছে। এতে ধানের চারা পুড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। চারা যাতে নষ্ট না হয়ে যায় এজন্য পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা ছাড়া উপায় নেই।
হরিপুর গ্রামের কৃষক মোস্তফা আলী বলেন, ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের চারা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তার ওপর আবার অসময়ে বৃষ্টির ঝুঁকিও আছে। বীজতলার চারপাশে ছোট ছোট ড্রেন করেছি। যেন বীজতলার বাড়তি পানি সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে।
জেলার সব উপজেলায় বোরো ধান চাষীরা একই রকম প্রস্তুতি ও পরিচর্যা নিয়েছেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুর এ নবী বাসস’কে বলেন, পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেয়ার বিকল্প নেই। এতে চারার আর্দ্রতা ও বীজতলার তাপমাত্রা ঠিক থাকে। ফলে চারার বৃদ্ধি ভালো হয়। তিনি কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, যদি ধানের চারার ডগা লালচে বর্ণ ধারণ করে তাহলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। শৈত্যপ্রবাহ থাকলে ধানের চারার ডগায় শিশির জমে। এটা ক্ষতিকর। তাই, পাটকাঠি বা লম্বা কাঠি দিয়ে ধানের চারার ডগা থেকে শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠী চন্দ্র রায় বাসস’কে বলেন, ধানের বীজতলার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ, কৃষক পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা পৌঁছে দিচ্ছেন। কৃষক পর্যায়ে যাবতীয় তথ্য ও সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার কাজ আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে করে যাচ্ছি।