বিনোদন প্রতিবেদক : কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি ও বিনিসুতোয়। প্রথমটি ওয়েবসিরিজ, দ্বিতীয়টি চলচ্চিত্র। ভারতীয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জির নির্দেশনায় ওয়েব সিরিজটিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। আর কলকাতার পরিচালক অতনু ঘোষের বিনিসুতোয়-এর নায়িকা জয়া আহসান। জয়া ও বাঁধন-দুজনের কাজই পশ্চিমবঙ্গের দর্শক-সমালোচকের মন জয় করেছে।
সৃজিতের রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি সিরিজে বাঁধনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতীয় দর্শক ও গণমাধ্যম।
সৃজিত বলেছেন, ওয়েব সিরিজে বাঁধনের নিবেদন তাঁকে গর্বিত করেছে। সেখানকার অনেক অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকও তাঁর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। দেশটির সংবাদমাধ্যমে চোখ বোলালেই টের পাওয়া যায় বাঁধনকে নিয়ে সেখানকার সুধীজনদের ইতিবাচক সাড়া।
আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, ‘মুখ্য চরিত্রে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন সমানে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে গেছেন বহু সিনেমার কান্ডারি রাহুল বসুর সঙ্গে’, হিন্দুস্তান টাইমস-এর বাংলা বিভাগ শিরোনাম দিয়েছে ‘টলিউডের বড় পাওনা বাঁধন’। ‘বাঁধনের হক-কথা’ নামে বাঁধনকে নিয়ে ফিচার করেছে সংবাদ প্রতিদিন। দ্য টেলিগ্রাফ-এর শিরোনাম ছিল ‘বিয়ন্ড বর্ডারস’। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি কাগজ ‘মিস্টিক আবহে টান টান সিরিজ’, ‘আজমেরী হক বাঁধন সৃজিতের সিরিজের প্রাণ’সহ নানা শিরোনামের খবর ও ফিচার করে।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে রেহানা মরিয়ম নূর জায়গা করে নেওয়া ও প্রথমবারের মতো ভারতের পরিচালকের ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের পর বাঁধনকে নিয়ে দুই দেশেই আগ্রহ অনেক বেড়েছে। শোনা যাচ্ছে, ভারতের বেশ কয়েকজন পরিচালক তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য যোগাযোগ করেছেন।
দেশের বাইরে এমন সাফল্যে আনন্দিত বাঁধন। তিনি বলেন, ‘কলকাতার সাংবাদিকেরা শুধু তাঁদের সংবাদপত্রে লিখেছেন তা নয়, ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেও অভিনয় নিয়ে তাঁদের ভালো লাগার অনুভূতি জানিয়েছেন।’ তিনি মনে করেন, এই সবই তাঁর পরিশ্রমের ফল।
তিনি বলেন, ‘সুযোগ দিলে যে ভালো রেজাল্ট আসতে পারে, তার একটা উদাহরণ তৈরি হলো। এখন অনেকে বলে, বাঁধন গুণী অভিনেত্রী। একসময় এই বাঁধনকে শুনতে হয়েছে, “ও গ্ল্যামারারস, অভিনয় পারে না”।’
পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাওয়া বিনিসুতোয় ছবির পরিচালক অতনু ঘোষ জানালেন, ছবির শ্রাবণী চরিত্রের জন্য জয়া আহসান ছাড়া দ্বিতীয় কোনো অভিনেত্রীর কথা তাঁর মাথায় আসেনি। তিনি বলেন, ‘ছবিটি মুক্তির প্রথম তিন দিনে যে সাড়া পেয়েছি, সেখানে দর্শকেরা জয়া আহসানের অভিনয়ের ব্যাপারে আলাদা করে বলছেন।
অতনু ঘোষ জানালেন, ছবির শ্রাবণী চরিত্রের জন্য জয়া আহসান ছাড়া দ্বিতীয় কোনো অভিনেত্রীর কথা তাঁর মাথায় আসেনি
অতনু ঘোষ জানালেন, ছবির শ্রাবণী চরিত্রের জন্য জয়া আহসান ছাড়া দ্বিতীয় কোনো অভিনেত্রীর কথা তাঁর মাথায় আসেনি
ওর অভিব্যক্তি ও আবেগ প্রকাশ সিনেমার জন্য একদম যথোপযুক্ত। ভালো অভিনয় অনেকেই করেন, কিন্তু সেটা সব সময় সিনেমাটিক হয় না। জয়ার মধ্যে সিনেমার জন্য মাত্রা–উপযোগী গভীরতা আছে।’
জয়ার সহশিল্পী ভারতীয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী আনন্দবাজার পত্রিকায় মন্তব্য করেছেন, জয়া আহসান খুবই উঁচু মানের শিল্পী। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা দুজন এর আগে এক ছবিতে কাজ করেছিলাম। তবে একসঙ্গে দৃশ্য সে রকম ছিল না। ভালোবাসার শহর-এ একটি দৃশ্য ছিল দুজনের।’
এত সব প্রশংসার প্রতিক্রিয়ায় জয়া অনুচ্চ। বিষয়গুলোকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চান না তিনি। বরং কাজ করে যাওয়াটাই তাঁর লক্ষ্য। জয়া আহসান বলেন, ‘সফলতা ও সার্থকতার পার্থক্য আছে। আমি এটাকে কন্টিনিউয়াস জার্নি হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের দুই দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির মিল রয়েছে। ওই দেশে কাজ করা তাই সহজ। আমি কখনো দৌড়াইনি, এটা করব, ওটা করতে হবে—এসব নিয়ে ভাবিনি। না এখানে, না ওখানে। সে কারণেই দর্শকেরা পর্দায় একটা অনেস্টি দেখতে পান। দর্শক সেই অনেস্টিকে ভালোবাসেন।’
জয়া বাঁধনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কলকাতা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ