ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়লতা আর নিরঞ্জনের আকাশ ছোঁয়ার নিদারুণ গল্প

  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

ফারজানা কাশেমী : জয়লতা আর নিরঞ্জনের প্রায়শই যোগাযোগ হতো। ঝড়-ঝঞ্ঝা, রোগ-শোক, বাধা-বিপত্তি সব ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও জয়লতা আর নিরঞ্জনের যোগাযোগ হতো। সুখ-দুঃখ সব কিছুতেই তাদের পারস্পরিক অংশগ্রহণ ছিল।
বিচ্ছিন্ন পরিক্রমার জীবনধারায় শত অস্তাচলেও জয়লতা আর নিরঞ্জনের প্রায়শই যোগাযোগ হতো। কখনো সে যোগাযোগে মিশে যেতো মুগ্ধতা, আবার কখনো দায়িত্ববোধ, সাহসের সঞ্চারন, সম্মান, আগলে রাখার অপার চেষ্টা। যেন এক মায়াময় মোহজাল; ক্রমান্বয়ে অফুরান ভালবাসা আর নির্ভরতার আশ্বাস। কিছুটা স্বস্তি, হাসি, দুঃখ ভাগ আর মাঝেমধ্যে মান-অভিমান।
জয়লতা আর নিরঞ্জনের প্রায়শই মান-অভিমান চলতো। জয়লতা তুচ্ছতম বিষয়েও নিরঞ্জনের সাথে অভিমান করতো। জয়লতার মান ভাঙাতে নিরঞ্জনের ব্যাকুলতা। অসংখ্যবার ক্ষমা চাওয়া আর শিশুসুলভ ‘বিশ্বাস করো’ অনুযোগে দিনাতিপাত করতো জয়লতা আর নিরঞ্জন।
ব্যতিক্রমী চিত্রে আবার নিরঞ্জনও জয়লতার সাথে অভিমান, অভিযোগ করতো। জয়লতা বুঝেও নিশ্চুপ থাকতো। নিরঞ্জন নিরবে অভিমান, অভিযোগ পুষতো। জয়লতা বুঝেও নিরঞ্জনের মান ভাঙাতো না। তবুও নিরঞ্জন মান-অভিমান আড়াল করে আবারও জয়লতার সাথে যোগাযোগ মুখর হতো।
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে কেন যেন জয়লতা আর নিরঞ্জনের জীবনে বাধা-বিপত্তির অবারিত জলরাশি বহমান ছিলো। শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও জয়লতা আর নিরঞ্জনের ইচ্ছাশক্তি, মনোবল হারিয়ে যায়নি। কেউ কাউকে ছেড়ে যাবার বিন্দুমাত্র উপক্রম করেননি। হয়তো মুগ্ধতার ঘোর ফুরিয়ে যায়। শুদ্ধতম ভালবাসায় পরিপূর্ণ হয় জয়লতা আর নিরঞ্জনের গল্প। নামমাত্র কিছু বছরের যোগাযোগটা শুদ্ধতায় শুধু অগ্রসর হয়।
জয়লতা আর নিরঞ্জনের গল্প হয়। কবিতা নিয়ে কথা হয়। কাব্যের পঙক্তিগুলো আদান-প্রদান চলে। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে তর্ক হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, যুগোস্লাভিয়া, রুয়ান্ডা, তৃতীয় শ্রেণির দেশের জটিলতা, নূর হোসেন, সবই যেন জয়লতা আর নিরঞ্জনের প্রায়শই গল্পের ছন্দ। রোগ, শোক, রোহিঙ্গা, অটিজমও জয়লতা আর নিরঞ্জনের গল্পের বিষয়। ধর্ম, মূল্যবোধ, দেশভাগ, দেশাত্মবোধের কথাও আদানপ্রদান করত জয়লতা আর নিরঞ্জন। কখনো ইংরেজি সাহিত্য বা ভিনদেশী সংস্কৃতি, চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আইন-কানুন সব কিছুই জয়লতা আর নিরঞ্জনের গল্পের উপজীব্য।
নিরঞ্জন তার বাধা-বিপত্তি, সুখকর অনুভূতি প্রকাশ করতো জয়লতার কাছে। জয়লতা তার ক্ষুদ্র জ্ঞানে সবকিছুতে নিজের একাত্মতা প্রকাশ করতো।
নিরঞ্জন ভীষণ সুন্দর কবিতা লিখতো আর ছবি আঁকত। জয়লতা যুদ্ধজয়ের গল্প লিখতো, কখনো আবার কাগজে ছাপাতো। জয়লতাকে তার সকল কাজে নিরঞ্জন উৎসাহ দিতো। প্রশংসা করতো। আবার নিরঞ্জনের কাজগুলো দৈনিক পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত হতো। জয়লতা নিরঞ্জনকে ভড়ৎ নবরহম ঢ়ধৎঃ ড়ভ যরংঃড়ৎু তে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য অভিনন্দন জানাতো। জয়লতা আর নিরঞ্জনের গল্প বহমান হয় আর জীবন চক্রের আয়োজন অনুভূতি প্রকাশ পায়।
নিরঞ্জন জয়লতার সাথে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করলো। হঠাৎ অজানা শিকলে বাঁধা আসে জয়লতা আর নিরঞ্জনের। তাদের আর দেখা হয় না। কিছুটা স্বাভাবিক পরিক্রমায় নিরঞ্জন জয়লতার সাথে দেখা করার ইচ্ছে পোষণ করে। বিধিবাম, নিয়তির পরিহাসে এ যাত্রাও জয়লতা আর নিরঞ্জনের দেখা হয় না। সময়ের চালচিত্র প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। এবার জয়লতা আর নিরঞ্জন দুজনের জীবনের দমকা হাওয়া বিপন্ন হয়। তীব্র যন্ত্রণা বুকে পুষে জয়লতা এবার নিরঞ্জনের ঘোর অমানিশায় তার হাত ধরে। নিরঞ্জনের নিকষ কালো দুঃসময়ে জয়লতা তার ক্ষুদ্র প্রাণশক্তিতে নিরঞ্জনের হার মানাকে উপেক্ষা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়।
ক্ষুদ্র সময়ে নিরঞ্জন জয়লতাতে নির্ভর করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। নিরঞ্জন দুঃসহ বোঝাতেও জয়লতার যতœ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়। তীব্র আঁধারেও জয়লতা আর নিরঞ্জন দুজনের নির্মোহ ভালোবাসা, অনুভূতি উপলব্ধি করে।
মেঘের জলরাশিতে জয়লতা নিরঞ্জনের হাত ছেড়ে যায় না; যেন প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যায় আর ভবিতব্যকে উপেক্ষা করে। নিরঞ্জন কখনো জয়লতার জন্য মুগ্ধ হয়, আবার হাসে আর অভিমানের করুণ মুখে নিরঞ্জন জয়লতাকে ডাকে। জীবনের ভারে পরাজিত হয়ে জয়লতার ভালবাসার পরিপূর্ণতায় নিরঞ্জন কেঁদেছিল।
প্রবাহমান গতিতে জয়লতাকে নিরঞ্জন কোন একদিন বিদায় জানায়নি! চোখের ভাষায় চলে যাওয়ার মৌন সম্মতি দেয়নি। হঠাৎ কোন এক বিকেলে জয়লতার অনুপস্থিতিতে কারা যেন নিরঞ্জনকে নিয়ে অচিন গ্রহে পাড়ি জমায়। জয়লতার ডাক নিরঞ্জন আর শুনতে পায় না। নিরঞ্জন নিস্প্রাণতায় নিরব হয়ে যায়! নিরঞ্জনের মায়াময় হাসি বিলীন হয়ে যায়!
জয়লতা নিরঞ্জনের চোখের জল মুছতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জয়লতার বাঁধভাঙ্গা কান্না নিরঞ্জন দেখতে পায়নি। সময়ের নিয়মে নিরঞ্জন আর জয়লতার হয়তো খুব ক্ষণিকের ব্যবধানে দেখা হবে। প্রকৃতি তার কোমলতায় জয়লতাকে নিরঞ্জনের কাছে পৌঁছে দিবে। জয়লতার রুক্ষ দিনগুলো যেন নিমিষেই ফুরিয়ে যায় আর নিরঞ্জনের জন্য অপেক্ষা যেন ক্ষণিকেই ফুরায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জয়লতা আর নিরঞ্জনের আকাশ ছোঁয়ার নিদারুণ গল্প

আপডেট সময় : ১১:৪৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

ফারজানা কাশেমী : জয়লতা আর নিরঞ্জনের প্রায়শই যোগাযোগ হতো। ঝড়-ঝঞ্ঝা, রোগ-শোক, বাধা-বিপত্তি সব ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও জয়লতা আর নিরঞ্জনের যোগাযোগ হতো। সুখ-দুঃখ সব কিছুতেই তাদের পারস্পরিক অংশগ্রহণ ছিল।
বিচ্ছিন্ন পরিক্রমার জীবনধারায় শত অস্তাচলেও জয়লতা আর নিরঞ্জনের প্রায়শই যোগাযোগ হতো। কখনো সে যোগাযোগে মিশে যেতো মুগ্ধতা, আবার কখনো দায়িত্ববোধ, সাহসের সঞ্চারন, সম্মান, আগলে রাখার অপার চেষ্টা। যেন এক মায়াময় মোহজাল; ক্রমান্বয়ে অফুরান ভালবাসা আর নির্ভরতার আশ্বাস। কিছুটা স্বস্তি, হাসি, দুঃখ ভাগ আর মাঝেমধ্যে মান-অভিমান।
জয়লতা আর নিরঞ্জনের প্রায়শই মান-অভিমান চলতো। জয়লতা তুচ্ছতম বিষয়েও নিরঞ্জনের সাথে অভিমান করতো। জয়লতার মান ভাঙাতে নিরঞ্জনের ব্যাকুলতা। অসংখ্যবার ক্ষমা চাওয়া আর শিশুসুলভ ‘বিশ্বাস করো’ অনুযোগে দিনাতিপাত করতো জয়লতা আর নিরঞ্জন।
ব্যতিক্রমী চিত্রে আবার নিরঞ্জনও জয়লতার সাথে অভিমান, অভিযোগ করতো। জয়লতা বুঝেও নিশ্চুপ থাকতো। নিরঞ্জন নিরবে অভিমান, অভিযোগ পুষতো। জয়লতা বুঝেও নিরঞ্জনের মান ভাঙাতো না। তবুও নিরঞ্জন মান-অভিমান আড়াল করে আবারও জয়লতার সাথে যোগাযোগ মুখর হতো।
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে কেন যেন জয়লতা আর নিরঞ্জনের জীবনে বাধা-বিপত্তির অবারিত জলরাশি বহমান ছিলো। শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও জয়লতা আর নিরঞ্জনের ইচ্ছাশক্তি, মনোবল হারিয়ে যায়নি। কেউ কাউকে ছেড়ে যাবার বিন্দুমাত্র উপক্রম করেননি। হয়তো মুগ্ধতার ঘোর ফুরিয়ে যায়। শুদ্ধতম ভালবাসায় পরিপূর্ণ হয় জয়লতা আর নিরঞ্জনের গল্প। নামমাত্র কিছু বছরের যোগাযোগটা শুদ্ধতায় শুধু অগ্রসর হয়।
জয়লতা আর নিরঞ্জনের গল্প হয়। কবিতা নিয়ে কথা হয়। কাব্যের পঙক্তিগুলো আদান-প্রদান চলে। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে তর্ক হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, যুগোস্লাভিয়া, রুয়ান্ডা, তৃতীয় শ্রেণির দেশের জটিলতা, নূর হোসেন, সবই যেন জয়লতা আর নিরঞ্জনের প্রায়শই গল্পের ছন্দ। রোগ, শোক, রোহিঙ্গা, অটিজমও জয়লতা আর নিরঞ্জনের গল্পের বিষয়। ধর্ম, মূল্যবোধ, দেশভাগ, দেশাত্মবোধের কথাও আদানপ্রদান করত জয়লতা আর নিরঞ্জন। কখনো ইংরেজি সাহিত্য বা ভিনদেশী সংস্কৃতি, চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আইন-কানুন সব কিছুই জয়লতা আর নিরঞ্জনের গল্পের উপজীব্য।
নিরঞ্জন তার বাধা-বিপত্তি, সুখকর অনুভূতি প্রকাশ করতো জয়লতার কাছে। জয়লতা তার ক্ষুদ্র জ্ঞানে সবকিছুতে নিজের একাত্মতা প্রকাশ করতো।
নিরঞ্জন ভীষণ সুন্দর কবিতা লিখতো আর ছবি আঁকত। জয়লতা যুদ্ধজয়ের গল্প লিখতো, কখনো আবার কাগজে ছাপাতো। জয়লতাকে তার সকল কাজে নিরঞ্জন উৎসাহ দিতো। প্রশংসা করতো। আবার নিরঞ্জনের কাজগুলো দৈনিক পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত হতো। জয়লতা নিরঞ্জনকে ভড়ৎ নবরহম ঢ়ধৎঃ ড়ভ যরংঃড়ৎু তে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য অভিনন্দন জানাতো। জয়লতা আর নিরঞ্জনের গল্প বহমান হয় আর জীবন চক্রের আয়োজন অনুভূতি প্রকাশ পায়।
নিরঞ্জন জয়লতার সাথে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করলো। হঠাৎ অজানা শিকলে বাঁধা আসে জয়লতা আর নিরঞ্জনের। তাদের আর দেখা হয় না। কিছুটা স্বাভাবিক পরিক্রমায় নিরঞ্জন জয়লতার সাথে দেখা করার ইচ্ছে পোষণ করে। বিধিবাম, নিয়তির পরিহাসে এ যাত্রাও জয়লতা আর নিরঞ্জনের দেখা হয় না। সময়ের চালচিত্র প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। এবার জয়লতা আর নিরঞ্জন দুজনের জীবনের দমকা হাওয়া বিপন্ন হয়। তীব্র যন্ত্রণা বুকে পুষে জয়লতা এবার নিরঞ্জনের ঘোর অমানিশায় তার হাত ধরে। নিরঞ্জনের নিকষ কালো দুঃসময়ে জয়লতা তার ক্ষুদ্র প্রাণশক্তিতে নিরঞ্জনের হার মানাকে উপেক্ষা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়।
ক্ষুদ্র সময়ে নিরঞ্জন জয়লতাতে নির্ভর করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। নিরঞ্জন দুঃসহ বোঝাতেও জয়লতার যতœ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়। তীব্র আঁধারেও জয়লতা আর নিরঞ্জন দুজনের নির্মোহ ভালোবাসা, অনুভূতি উপলব্ধি করে।
মেঘের জলরাশিতে জয়লতা নিরঞ্জনের হাত ছেড়ে যায় না; যেন প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যায় আর ভবিতব্যকে উপেক্ষা করে। নিরঞ্জন কখনো জয়লতার জন্য মুগ্ধ হয়, আবার হাসে আর অভিমানের করুণ মুখে নিরঞ্জন জয়লতাকে ডাকে। জীবনের ভারে পরাজিত হয়ে জয়লতার ভালবাসার পরিপূর্ণতায় নিরঞ্জন কেঁদেছিল।
প্রবাহমান গতিতে জয়লতাকে নিরঞ্জন কোন একদিন বিদায় জানায়নি! চোখের ভাষায় চলে যাওয়ার মৌন সম্মতি দেয়নি। হঠাৎ কোন এক বিকেলে জয়লতার অনুপস্থিতিতে কারা যেন নিরঞ্জনকে নিয়ে অচিন গ্রহে পাড়ি জমায়। জয়লতার ডাক নিরঞ্জন আর শুনতে পায় না। নিরঞ্জন নিস্প্রাণতায় নিরব হয়ে যায়! নিরঞ্জনের মায়াময় হাসি বিলীন হয়ে যায়!
জয়লতা নিরঞ্জনের চোখের জল মুছতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জয়লতার বাঁধভাঙ্গা কান্না নিরঞ্জন দেখতে পায়নি। সময়ের নিয়মে নিরঞ্জন আর জয়লতার হয়তো খুব ক্ষণিকের ব্যবধানে দেখা হবে। প্রকৃতি তার কোমলতায় জয়লতাকে নিরঞ্জনের কাছে পৌঁছে দিবে। জয়লতার রুক্ষ দিনগুলো যেন নিমিষেই ফুরিয়ে যায় আর নিরঞ্জনের জন্য অপেক্ষা যেন ক্ষণিকেই ফুরায়।