শাহনেওয়াজ কবির ইমন
আহা! এক চিলতে জ্যোৎস্না’র আলো,
আবেগী এক আহ্লাদে দোল খাচ্ছিল
আমার পশ্চিম দিকের ঝুলবারান্দায়।
কী মায়াময় অপার্থিব এক দৃশ্যাবলি!
কেননা নীল অপরাজিতারা হাসছিল;
আহ্লাদ করে হেলেদুলে কথা বলছিল।
দেখছিলাম আমি বিস্ময় ও মুগ্ধতায়,
এ অপরূপ বিস্ময়কর আলাপচারিতা।
নিজেকেই অপরাজিতা মনে হচ্ছিল!
ইচ্ছে করছিল জ্যোৎস্না’র আলোয়
নীল মিশিয়ে খানিকটা বিলীন হতে।
কিন্তু বাঁশিটা সায় দিল না কোনোমতে!
জ্যোৎস্না যেন তাচ্ছিল্যভরে তাকালো,
সে নীরব চোখে ছিল আগুনের স্ফুলিঙ্গ
নিমেষেই অন্তরটা জ্বালিয়ে দিয়েছিল।
সে কথা যে আমি অস্বীকার করবো না।
ভাবলাম তবে জ্যোৎস্না’কে আসতে দিই
আমার এ জীর্ণ-শীর্ণ অগোছালো ঘরে।
যদিও মনের শঙ্কা বিছিয়ে ছিল দন্দ্ব!
তাই হৃদয়ের প্রবল ইচ্ছা হারালে ছন্দ।
আমি যেন এক মহাজাগতিক কাপুরুষ-
সময় উপস্থিত জেনেও মুখ ফিরিয়ে নিই।
আজও আমি দূর থেকেই জ্যোৎস্না দেখি;
আর মনে মনেই তাকে ভালোবেসে যাই।