ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

জ্বালানির দাম নি¤œমুখী কদিন থাকবে সেটাই চিন্তার বিষয়: তৌফিক-ই-ইলাহী

  • আপডেট সময় : ০২:১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম অনেক বেড়ে গেলেও বর্তমানে একটু কমতির দিকে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, ‘তবে কদিন এই অবস্থা থাকে সেটাই চিন্তার বিষয়। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় বিশ্ববাজার স্থিতিশীল থাকলেই দেশে জ্বালানির দাম কমতে পারে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এসব বলেন। ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) আয়োজিত একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম নির্ভর করে জ্বালানির ওপর। আমরা দেশে খুব অল্প পরিমাণ জ্বালানি উৎপাদন করি। আমরা জ্বালানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। দামটা স্থিতিশীল না হলে ভবিষ্যতে এটি কী হবে না-হবে বলা কঠিন। আমি মনে করি, যুদ্ধ বন্ধ না হলে দাম কমানো সম্ভব না। দাম একবারে বেশি পরিমাণে বাড়লে মানুষের সমস্যা হতে পারে। তাই অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়েছে।’ ‘কিছু দিন আগে ডলারের বাজার কিছ্টুা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ এখন ডলার সংকট কাটিয়ে উঠছে। জ্বালানি আমদানিতে এখন আর তেমন সমস্যা হচ্ছে না।’, বলেন তিনি। গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘কনকো ফিলিপস চলে গেল দামের ইস্যু তুলে। আমরা পসকো দাইয়ু ডেকে এনেছি। এখন এক্সন মবিল আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমার মনে হয় ওরা কৌশলগত কারণে আসতে চায়। এ বছরের মধ্যে কিছু একটা হতে পারে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, ‘আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনো পরিকল্পনা নেই। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে হবে। কয়লার ওপরে পানির স্তর রয়েছে। এই পানির স্তর বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। এর সঙ্গে কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রচুর জমি দরকার হয়।’ খনি এলাকার মাটিকে উর্বর উল্লেখ করে বলেন, ‘সরকার বিষয়গুলো বিবেচনা করছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কয়লানীতি চূড়ান্ত করার আদেশ দিয়েছে। জ্বালানি বিভাগ ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করে খসড়া চূড়ান্ত করেছে বলে জ্বালানি বিভাগের একটি বৈঠকের কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো আছি। সাউথ আফ্রিকা, বিটেনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তাদের তুলনায় ভালো আছি।’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জ্বালানির দাম নি¤œমুখী কদিন থাকবে সেটাই চিন্তার বিষয়: তৌফিক-ই-ইলাহী

আপডেট সময় : ০২:১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম অনেক বেড়ে গেলেও বর্তমানে একটু কমতির দিকে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, ‘তবে কদিন এই অবস্থা থাকে সেটাই চিন্তার বিষয়। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় বিশ্ববাজার স্থিতিশীল থাকলেই দেশে জ্বালানির দাম কমতে পারে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এসব বলেন। ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) আয়োজিত একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম নির্ভর করে জ্বালানির ওপর। আমরা দেশে খুব অল্প পরিমাণ জ্বালানি উৎপাদন করি। আমরা জ্বালানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। দামটা স্থিতিশীল না হলে ভবিষ্যতে এটি কী হবে না-হবে বলা কঠিন। আমি মনে করি, যুদ্ধ বন্ধ না হলে দাম কমানো সম্ভব না। দাম একবারে বেশি পরিমাণে বাড়লে মানুষের সমস্যা হতে পারে। তাই অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়েছে।’ ‘কিছু দিন আগে ডলারের বাজার কিছ্টুা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ এখন ডলার সংকট কাটিয়ে উঠছে। জ্বালানি আমদানিতে এখন আর তেমন সমস্যা হচ্ছে না।’, বলেন তিনি। গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘কনকো ফিলিপস চলে গেল দামের ইস্যু তুলে। আমরা পসকো দাইয়ু ডেকে এনেছি। এখন এক্সন মবিল আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমার মনে হয় ওরা কৌশলগত কারণে আসতে চায়। এ বছরের মধ্যে কিছু একটা হতে পারে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, ‘আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনো পরিকল্পনা নেই। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে হবে। কয়লার ওপরে পানির স্তর রয়েছে। এই পানির স্তর বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। এর সঙ্গে কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রচুর জমি দরকার হয়।’ খনি এলাকার মাটিকে উর্বর উল্লেখ করে বলেন, ‘সরকার বিষয়গুলো বিবেচনা করছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কয়লানীতি চূড়ান্ত করার আদেশ দিয়েছে। জ্বালানি বিভাগ ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করে খসড়া চূড়ান্ত করেছে বলে জ্বালানি বিভাগের একটি বৈঠকের কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো আছি। সাউথ আফ্রিকা, বিটেনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তাদের তুলনায় ভালো আছি।’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহ।