ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

জ্বালানিতেলের দাম বৃদ্ধি তেল না পেয়ে সড়কে গ্রাহকরা

  • আপডেট সময় : ১২:২৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার খবরে রাতে পঞ্চগড় জেলা শহরসহ পাঁচ উপজেলায় পেট্রোল পাম্পগুলোতে যানবাহন মালিকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। পাম্পগুলো রাত ১২টার আগে কিছু গ্রাহককে ১০০/২০০ টাকা করে তেল সরবরাহ করা হয়। পরে তেল শেষ বলে পাম্পগুলো সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে গ্রাহকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা শহরের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পের সামনে যানবাহন রেখে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধের কারণে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় রাত ১২টার পর নতুন দামে তেল বিক্রি শুরু করে পাম্প মালিকরা। বিক্ষোভ সড়ক অবরোধ ও উত্তেজনা নিরসনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ বিভিন্ন পাম্পে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। জানা যায়, পঞ্চগড়ে তালিকাভুক্ত ২৯টি পাম্প রয়েছে। জেলায় ডিজেলের হাদিা রয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার লিটার। এছাড়া পেট্রোল ১৬ হাজার লিটার এবং অকটেনের চাহিদা রয়েছে প্রায় চার হাজার লিটার। সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ট্রাক চালক শরিফুল বলেন, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও তেল পাইনি। মোটরসাইকেল চালক আশরাফুল বলেন, আগের দামে তেল নিতে এসে মাত্র ১০০ টাকার তেল পেয়েছি। এর বেশি তেল দেয়নি পাম্প কর্তৃপক্ষ।
অপর মোটরসাইকেল আরোহী নিযামউদ্দিন পাম্পে তেল না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান। ক্ষুব্ধ মোটরসাইকেল চালক আশরাফুল জানান, অসাধু পাম্প মালিকরা দাম বাড়ানোর খবরে তেল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মজুতকৃত তেল নতুন দামে বিক্রির জন্যই এমনটি করেছেন তারা। পঞ্চগড় ফিলিং স্টেশনের মালিক আবু হিরণ বলেন, গত জুন মাস থেকে জ্বালানি তেলের সংকট চলছে। আমরা চাহিদা অনুযায়ী তেল পাচ্ছি না। পাম্পে দৈনিক ৩০ হাজার লিটার ডিজেলের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি ১০ থেকে ১৫ হাজার লিটার। পেট্রোলের পাঁচ হাজার লিটারের বিপরীতে সপ্তাহে পাচ্ছি মাত্র এক গাড়ি পেট্রোল। এ কারণে বর্তমানে তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। আজ তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সব গ্রাহক পাম্পে ভিড় করেন। যতক্ষণ তেল ছিল ততক্ষণ বিক্রি করেছি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জ্বালানিতেলের দাম বৃদ্ধি তেল না পেয়ে সড়কে গ্রাহকরা

আপডেট সময় : ১২:২৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার খবরে রাতে পঞ্চগড় জেলা শহরসহ পাঁচ উপজেলায় পেট্রোল পাম্পগুলোতে যানবাহন মালিকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। পাম্পগুলো রাত ১২টার আগে কিছু গ্রাহককে ১০০/২০০ টাকা করে তেল সরবরাহ করা হয়। পরে তেল শেষ বলে পাম্পগুলো সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে গ্রাহকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা শহরের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পের সামনে যানবাহন রেখে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধের কারণে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় রাত ১২টার পর নতুন দামে তেল বিক্রি শুরু করে পাম্প মালিকরা। বিক্ষোভ সড়ক অবরোধ ও উত্তেজনা নিরসনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ বিভিন্ন পাম্পে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। জানা যায়, পঞ্চগড়ে তালিকাভুক্ত ২৯টি পাম্প রয়েছে। জেলায় ডিজেলের হাদিা রয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার লিটার। এছাড়া পেট্রোল ১৬ হাজার লিটার এবং অকটেনের চাহিদা রয়েছে প্রায় চার হাজার লিটার। সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ট্রাক চালক শরিফুল বলেন, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও তেল পাইনি। মোটরসাইকেল চালক আশরাফুল বলেন, আগের দামে তেল নিতে এসে মাত্র ১০০ টাকার তেল পেয়েছি। এর বেশি তেল দেয়নি পাম্প কর্তৃপক্ষ।
অপর মোটরসাইকেল আরোহী নিযামউদ্দিন পাম্পে তেল না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান। ক্ষুব্ধ মোটরসাইকেল চালক আশরাফুল জানান, অসাধু পাম্প মালিকরা দাম বাড়ানোর খবরে তেল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মজুতকৃত তেল নতুন দামে বিক্রির জন্যই এমনটি করেছেন তারা। পঞ্চগড় ফিলিং স্টেশনের মালিক আবু হিরণ বলেন, গত জুন মাস থেকে জ্বালানি তেলের সংকট চলছে। আমরা চাহিদা অনুযায়ী তেল পাচ্ছি না। পাম্পে দৈনিক ৩০ হাজার লিটার ডিজেলের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি ১০ থেকে ১৫ হাজার লিটার। পেট্রোলের পাঁচ হাজার লিটারের বিপরীতে সপ্তাহে পাচ্ছি মাত্র এক গাড়ি পেট্রোল। এ কারণে বর্তমানে তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। আজ তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সব গ্রাহক পাম্পে ভিড় করেন। যতক্ষণ তেল ছিল ততক্ষণ বিক্রি করেছি।