ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার কথা জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেরিতে চিকিৎসা নেওয়ার কারণে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের মৃত্যুহার বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, আজ একদিনেই ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিনই প্রাণ হারান।

চিকিৎসকরা বলছেন, সময়মতো পরীক্ষা ও চিকিৎসা শুরু না করলে ডেঙ্গু দ্রুত জটিল আকার নেয়, ফলে রোগীকে বাঁচানোর সুযোগ কমে যায়।

রোববার (৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. মঈনুল আহসান।

তিনি জানান, বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ হচ্ছে হাসপাতালে আসতে দেরি করা। ‘আজ যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে সাতজন ভর্তি হওয়ার দিনই মৃত্যুবরণ করেছেন। একজন পরদিন মারা গেছেন। এটা স্পষ্ট যে রোগীরা হাসপাতালে আসছেন অনেক দেরিতে,’ বলেন তিনি।

ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ডেঙ্গু জ্বরকে সাধারণ জ্বর ভেবে অবহেলা না করে, জ্বর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাছের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো জরুরি। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের সব হাসপাতালেই বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট, স্যালাইন ও ওষুধ মজুত রয়েছে। তবে মৃত্যুহার কমাতে শুধু চিকিৎসা নয়, একইসঙ্গে দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ, গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা এবং কার্যকর মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ‘ডেঙ্গু চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা অত্যন্ত সতর্ক ও তৎপর। কিন্তু জনগণের সহযোগিতা ছাড়া মৃত্যুহার কমানো কঠিন। সবাইকে অনুরোধ করছি— জ্বর হলে অবহেলা করবেন না, সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করান।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর গুরুতর পর্যায় সাধারণত জ্বরের ৩-৫ দিনের মধ্যে শুরু হয়। তাই এ সময়ের মধ্যেই রোগ শনাক্ত করা এবং চিকিৎসা শুরু করাই রোগীর জীবন বাঁচানোর মূল চাবিকাঠি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সর্বস্তরের নাগরিক, স্থানীয় প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও জোরদার করতে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে একযোগে কাজ করতে।

ওআ/আপ্র/০৫/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার কথা জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেরিতে চিকিৎসা নেওয়ার কারণে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের মৃত্যুহার বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, আজ একদিনেই ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিনই প্রাণ হারান।

চিকিৎসকরা বলছেন, সময়মতো পরীক্ষা ও চিকিৎসা শুরু না করলে ডেঙ্গু দ্রুত জটিল আকার নেয়, ফলে রোগীকে বাঁচানোর সুযোগ কমে যায়।

রোববার (৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. মঈনুল আহসান।

তিনি জানান, বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ হচ্ছে হাসপাতালে আসতে দেরি করা। ‘আজ যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে সাতজন ভর্তি হওয়ার দিনই মৃত্যুবরণ করেছেন। একজন পরদিন মারা গেছেন। এটা স্পষ্ট যে রোগীরা হাসপাতালে আসছেন অনেক দেরিতে,’ বলেন তিনি।

ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ডেঙ্গু জ্বরকে সাধারণ জ্বর ভেবে অবহেলা না করে, জ্বর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাছের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো জরুরি। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের সব হাসপাতালেই বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট, স্যালাইন ও ওষুধ মজুত রয়েছে। তবে মৃত্যুহার কমাতে শুধু চিকিৎসা নয়, একইসঙ্গে দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ, গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা এবং কার্যকর মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ‘ডেঙ্গু চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা অত্যন্ত সতর্ক ও তৎপর। কিন্তু জনগণের সহযোগিতা ছাড়া মৃত্যুহার কমানো কঠিন। সবাইকে অনুরোধ করছি— জ্বর হলে অবহেলা করবেন না, সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করান।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর গুরুতর পর্যায় সাধারণত জ্বরের ৩-৫ দিনের মধ্যে শুরু হয়। তাই এ সময়ের মধ্যেই রোগ শনাক্ত করা এবং চিকিৎসা শুরু করাই রোগীর জীবন বাঁচানোর মূল চাবিকাঠি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সর্বস্তরের নাগরিক, স্থানীয় প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও জোরদার করতে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে একযোগে কাজ করতে।

ওআ/আপ্র/০৫/১০/২০২৫