ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

জোড়া সেঞ্চুরিতে ১০ উইকেটের বিশাল জয় তামিম-বিজয়দের

  • আপডেট সময় : ১২:১৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ব্যাট হাতে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে যেন একের পর এক ইতিহাস রচনা করে গেছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ওপেনার এমানুল হক বিজয়। এবারও তিনি খেলেছেন সেঞ্চুরির ইনিংস। সে সঙ্গে গড়লেন হাজার রানের বিরল কৃতিত্ব। শুধু এনামুল হক বিজয়ই নন, সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবালও। প্রাইম ব্যাংকের দুই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে ভর করে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ১০ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ৪৯.৪ ওভারে ২২৯ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। জবাব দিতে নেমে একটি উইকেটও হারাতে হয়নি প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে। রীতিমত টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেলে ২৬.৪ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিম-বিজয়রা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয় মিলে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের লক্ষ্যে। দু’জনই করেছেন সেঞ্চুরি। ৮৪ বলে ১১২ রানে এমানুল হক বিজয় এবং ৮১ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম ইকবাল। ১১টি বাউন্ডারি মেরেছেন বিজয়, সঙ্গে ছক্কা ৬টি। তামিম বাউন্ডারি মেরেছেন ৯টি এবং ছক্কা ৭টি। প্রিমিয়ার লিগের লিগ পর্বের শুরুর দিকে বেশ ভালো অবস্থানেই ছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেটার্স। এনামুল হক বিজয় আর নাসির হোসেনদের দারুণ পারফরম্যান্স প্রাইম ব্যাংককে দারুণ একটি অবস্থানে রেখেছিল। কিন্তু শেষ দিকে এসে কিছুটা বিচ্যুতি ঘটেছিল। যে কারণে দলটি আর চ্যাম্পিয়নশিপ রেসে নেই। তবে, তামিম ইকবালের যোগ দেয়ার পর প্রাইম ব্যাংক দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চ্যাম্পিয়ন না হলেও শেষ মুহূর্তে নিজেদের শক্তির বেশ জানান দিচ্ছে তারা।
বিকেএসপির চার নম্বর গ্রাউন্ডে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রূপগঞ্জ টাইগার্স খুব বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারেনি প্রাইমের সামনে। ৪৯.৪ ওভারে ২২৯ রানে অলআউট হয়ে যায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। সাদ নাসিম সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৯৪ বলে ৬টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব খেলেন ৯০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। এছাড়া দুই ওপেনার জাকির হাসান ২৫ এবং ইমরানুজ্জামান ২৩ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে আফগান করিম জানাত ৪টি এবং রুবেল হোসেন নেন ৪টি করে উইকেট। রাকিবুল হাসান (সালো) এবং নাসির হোসেন নেন ১টি করে উইকেট। জবাব দিতে নেমে এনামুল হক বিজয় ৮৪ বলে ১১২ রান করেন। তামিম ইকবাল ৮১ বলে ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৩ রান। সাতজন বোলার ব্যবহার করেও কোনো উইকেট নিতে পারেনি রূপগঞ্জ টাইগার্স।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউনূস-রুবিও ফোনালাপ, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়াতে জোর

জোড়া সেঞ্চুরিতে ১০ উইকেটের বিশাল জয় তামিম-বিজয়দের

আপডেট সময় : ১২:১৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ব্যাট হাতে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে যেন একের পর এক ইতিহাস রচনা করে গেছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ওপেনার এমানুল হক বিজয়। এবারও তিনি খেলেছেন সেঞ্চুরির ইনিংস। সে সঙ্গে গড়লেন হাজার রানের বিরল কৃতিত্ব। শুধু এনামুল হক বিজয়ই নন, সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবালও। প্রাইম ব্যাংকের দুই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে ভর করে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ১০ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ৪৯.৪ ওভারে ২২৯ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। জবাব দিতে নেমে একটি উইকেটও হারাতে হয়নি প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে। রীতিমত টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেলে ২৬.৪ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিম-বিজয়রা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয় মিলে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের লক্ষ্যে। দু’জনই করেছেন সেঞ্চুরি। ৮৪ বলে ১১২ রানে এমানুল হক বিজয় এবং ৮১ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম ইকবাল। ১১টি বাউন্ডারি মেরেছেন বিজয়, সঙ্গে ছক্কা ৬টি। তামিম বাউন্ডারি মেরেছেন ৯টি এবং ছক্কা ৭টি। প্রিমিয়ার লিগের লিগ পর্বের শুরুর দিকে বেশ ভালো অবস্থানেই ছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেটার্স। এনামুল হক বিজয় আর নাসির হোসেনদের দারুণ পারফরম্যান্স প্রাইম ব্যাংককে দারুণ একটি অবস্থানে রেখেছিল। কিন্তু শেষ দিকে এসে কিছুটা বিচ্যুতি ঘটেছিল। যে কারণে দলটি আর চ্যাম্পিয়নশিপ রেসে নেই। তবে, তামিম ইকবালের যোগ দেয়ার পর প্রাইম ব্যাংক দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চ্যাম্পিয়ন না হলেও শেষ মুহূর্তে নিজেদের শক্তির বেশ জানান দিচ্ছে তারা।
বিকেএসপির চার নম্বর গ্রাউন্ডে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রূপগঞ্জ টাইগার্স খুব বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারেনি প্রাইমের সামনে। ৪৯.৪ ওভারে ২২৯ রানে অলআউট হয়ে যায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। সাদ নাসিম সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৯৪ বলে ৬টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব খেলেন ৯০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। এছাড়া দুই ওপেনার জাকির হাসান ২৫ এবং ইমরানুজ্জামান ২৩ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে আফগান করিম জানাত ৪টি এবং রুবেল হোসেন নেন ৪টি করে উইকেট। রাকিবুল হাসান (সালো) এবং নাসির হোসেন নেন ১টি করে উইকেট। জবাব দিতে নেমে এনামুল হক বিজয় ৮৪ বলে ১১২ রান করেন। তামিম ইকবাল ৮১ বলে ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৩ রান। সাতজন বোলার ব্যবহার করেও কোনো উইকেট নিতে পারেনি রূপগঞ্জ টাইগার্স।