ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

জোহরান মামদানিকে বেছে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে: ডোনাল্ড ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘সার্বভৌমত্ব’ হারিয়েছে। কারণ, নিউইয়র্কের ভোটাররা ‘বামপন্থী’ জোহরান মামদানিকে (জোহরান একজন ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট) তাদের পরবর্তী মেয়র হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আমরা বিষয়টা সামলে নেব।’ তবে তিনি এর অর্থ ব্যাখ্যা করেননি; বরং দাবি করেন, দেশের সবচেয়ে বড় শহরটি এখন ‘কমিউনিস্ট শহর’ হয়ে উঠবে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নিউইয়র্কে জোহরান মামদানির মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার ‘সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে’। বুধবার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টা দেখবো। তবে তিনি ব্যাখ্যা দেননি কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে। তিনি দাবি করেন, দেশটির সবচেয়ে বড় এই শহরটি এখন ‘কমিউনিস্ট শহরে’ পরিণত হবে।

মামদানির নিরঙ্কুশ বিজয়ের একদিন পর মায়ামিতে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প আরও বলেন, ফ্লোরিডা খুব শিগগিরই নিউইয়র্কের কমিউনিজম থেকে পালিয়ে আসা মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে।

তিনি আরো বলেন, আমেরিকানদের সামনে এখন সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কার— আমরা কমিউনিজম বেছে নেব, না কমনসেন্স? আমরা অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন নয়, বরং অর্থনৈতিক অলৌকিকতা চাই।

তবে ট্রাম্প বলেন, আমরা চাই নিউইয়র্ক সফল হোক। তিনি ইঙ্গিত দেন, মামদানিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে কিছুটা সহায়তা দেওয়া হতে পারে। ট্রাম্পের ভাষায়, “আমরা ওকে একটু সাহায্য করব, হয়তো সামান্য।

ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে নিজের নির্বাচনী জয়ের এক বছর পূর্তিতে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অর্থনীতি উদ্ধার করেছি, স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি এবং এক বছর আগে সেই মহিমান্বিত রাতে একসঙ্গে দেশকে রক্ষা করেছি।

অন্যদিকে ব্যবসায়ী মহল, রক্ষণশীল গণমাধ্যম ও ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা সত্ত্বেও মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বুধবার মামদানি বলেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী।

অভিবাসী মুসলিম এই রাজনীতিক কার্যত ‘আউটসাইডার’ থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। তিনি মজার ছলে বলেন, “হোয়াইট হাউস থেকে এখনও আমাকে অভিনন্দন জানানো হয়নি।”

তিনি আরো বলেন, কীভাবে আমরা একসঙ্গে নিউইয়র্কবাসীর সেবা করতে পারি সে বিষয়ে আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে, বিশেষ করে জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে কাজ করার সুযোগ আছে।

মামদানি বলেন, ট্রাম্পের মতো তিনিও জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব এবং বাজারদর বৃদ্ধিকে নিজের প্রচারণার কেন্দ্রে রেখেছিলেন। তার ভাষায়, প্রেসিডেন্টের জন্য এখান থেকে শেখার বিষয় হলো— শুধু শ্রমজীবী মানুষের সংকট চিহ্নিত করলেই হবে না, সেই সংকট মোকাবিলায় বাস্তব পদক্ষেপও নিতে হবে।

এসি/আপ্র/০৬/১১/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা নিয়ে গেছে মোটরসাইকেল, চালকের মরদেহ উদ্ধার

জোহরান মামদানিকে বেছে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে: ডোনাল্ড ট্রাম্প

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘সার্বভৌমত্ব’ হারিয়েছে। কারণ, নিউইয়র্কের ভোটাররা ‘বামপন্থী’ জোহরান মামদানিকে (জোহরান একজন ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট) তাদের পরবর্তী মেয়র হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আমরা বিষয়টা সামলে নেব।’ তবে তিনি এর অর্থ ব্যাখ্যা করেননি; বরং দাবি করেন, দেশের সবচেয়ে বড় শহরটি এখন ‘কমিউনিস্ট শহর’ হয়ে উঠবে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নিউইয়র্কে জোহরান মামদানির মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার ‘সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে’। বুধবার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টা দেখবো। তবে তিনি ব্যাখ্যা দেননি কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে। তিনি দাবি করেন, দেশটির সবচেয়ে বড় এই শহরটি এখন ‘কমিউনিস্ট শহরে’ পরিণত হবে।

মামদানির নিরঙ্কুশ বিজয়ের একদিন পর মায়ামিতে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প আরও বলেন, ফ্লোরিডা খুব শিগগিরই নিউইয়র্কের কমিউনিজম থেকে পালিয়ে আসা মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে।

তিনি আরো বলেন, আমেরিকানদের সামনে এখন সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কার— আমরা কমিউনিজম বেছে নেব, না কমনসেন্স? আমরা অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন নয়, বরং অর্থনৈতিক অলৌকিকতা চাই।

তবে ট্রাম্প বলেন, আমরা চাই নিউইয়র্ক সফল হোক। তিনি ইঙ্গিত দেন, মামদানিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে কিছুটা সহায়তা দেওয়া হতে পারে। ট্রাম্পের ভাষায়, “আমরা ওকে একটু সাহায্য করব, হয়তো সামান্য।

ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে নিজের নির্বাচনী জয়ের এক বছর পূর্তিতে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অর্থনীতি উদ্ধার করেছি, স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি এবং এক বছর আগে সেই মহিমান্বিত রাতে একসঙ্গে দেশকে রক্ষা করেছি।

অন্যদিকে ব্যবসায়ী মহল, রক্ষণশীল গণমাধ্যম ও ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা সত্ত্বেও মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বুধবার মামদানি বলেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী।

অভিবাসী মুসলিম এই রাজনীতিক কার্যত ‘আউটসাইডার’ থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। তিনি মজার ছলে বলেন, “হোয়াইট হাউস থেকে এখনও আমাকে অভিনন্দন জানানো হয়নি।”

তিনি আরো বলেন, কীভাবে আমরা একসঙ্গে নিউইয়র্কবাসীর সেবা করতে পারি সে বিষয়ে আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে, বিশেষ করে জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে কাজ করার সুযোগ আছে।

মামদানি বলেন, ট্রাম্পের মতো তিনিও জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব এবং বাজারদর বৃদ্ধিকে নিজের প্রচারণার কেন্দ্রে রেখেছিলেন। তার ভাষায়, প্রেসিডেন্টের জন্য এখান থেকে শেখার বিষয় হলো— শুধু শ্রমজীবী মানুষের সংকট চিহ্নিত করলেই হবে না, সেই সংকট মোকাবিলায় বাস্তব পদক্ষেপও নিতে হবে।

এসি/আপ্র/০৬/১১/২০২৫