বিদেশের খবর ডেস্ক : ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে শান্তির জন্য কারও বাধ্য করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন। গতকাল সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ এই মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পেশকভ বলেছেন, ‘‘শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যা ঘটেছে, তা ইউক্রেনকে ঘিরে একটি বন্দোবস্তের পথে পৌঁছানো কতটা কঠিন হবে, সেই চিত্রই তুলে ধরেছে। কিয়েভ সরকার এবং জেলেনস্কি শান্তি চায় না।
তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়।’’ তিনি বলেন, ‘‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, কেউ জেলেনস্কিকে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য করুক। জেলেনস্কিকে শান্তি চাইতে বাধ্য করুক কেউ। ইউরোপীয়রা যদি এটি করতে পারেন, তাহলে তাদের শ্রদ্ধা জানানো ও প্রশংসা করা উচিত।’’ ২০২২ সালে ইউক্রেনে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সৈন্য মোতায়েনের মধ্য দিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাত এখনও চলছে। স্নায়ুযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে অভিহিত করা হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে। ইউক্রেনে মায়দান বিপ্লবের মুখে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের রাশিয়াপন্থি প্রেসিডেন্টের পতন ঘটে এবং পূর্ব ইউক্রেনে সংঘাতের শুরু হয়। এরপর রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে এবং ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দখল নিয়ে নেয়।
পেসকভ বলেছেন, ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকে নজিরবিহীন যে ঘটনা ঘটেছে, সেই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন অবগত আছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে জেলেনস্কির কূটনৈতিক দক্ষতার অভাব ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেমলিনের এই মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘এছাড়া আমরা দেখছি, সম্মিলিত পশ্চিম আংশিকভাবে তার সামষ্টিগত ঐক্য হারাতে শুরু করেছে এবং পশ্চিমে বিভাজন শুরু হয়ে গেছে।’’ সূত্র: রয়টার্স।