ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

জেলেনস্কিকে পেটাননি ট্রাম্প, এটাই বিস্ময়ের: রাশিয়া

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। ছবি: এএফপি

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির বৈঠক উত্তেজনা ও বাক-বিতণ্ডায় পণ্ড হওয়ার জন্য জেলেনস্কিকেই দায়ী করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেলেনস্কির কঠোর সমালোচনা করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, বৈঠকে জেলেনস্কি যে পরিমাণ ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছেন-তাতে তার গায়ে হাত তোলা থেকে বিরত থেকে সংযমের পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্প।

টেলিগ্রাম পোস্টে এ প্রসঙ্গে জাখারোভা বলেন, আমি মনে করি জেলেনস্কি এ পর্যন্ত যত মিথ্যে বলেছেন, সেসবের মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যে ছিল ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর সময় কিয়েভ একা ছিল এবং কেউ তার পাশে ছিল না।

যে হাত তাকে খাবার দেয়, সেই হাতেই কামড় দিতে উদ্যত হয়েছিলেন জেলেনস্কি। তার এই ঔদ্ধত্যের পরও ট্রাম্প এবং ভ্যান্স (মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স) তাকে শারীরিকভাবে আঘাত না করে যে সংযমের পরিচয় দিয়েছেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর।

জাখারোভার চেয়ে আরও একধাপ কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ফোরাম রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় মেদভেদেভ বলেন, এই প্রথম ট্রাম্প ওই কোকেন ক্লাউন (জেলেনস্কি)-এর মুখের ওপর সত্য কথা বলেছেন; তিনি বলেছেন যে কিয়েভ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে খেলছে। এই অকৃতজ্ঞ শূকরটি শূকরের খামারের মালিকদের হাতে রীতিমতো থাপ্পড় খেয়েছে।

তবে এটাই যথেষ্ট নয়। আমাদের অবশ্যই এই নাৎসী মেশিনকে সহায়তা প্রদান বন্ধ করতে হবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থার প্রধান নির্বাহী ইয়েভগেনি প্রিমাকভ এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, বৈঠকের সবকিছু সবাই দেখেছে। কিয়েভের স্বভাব প্রধান দিকটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সেখানে। আর সেটি হলো উসকানি, ঘৃণ্য উসকানি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ সংক্রান্ত সংলাপ ও ইউক্রেনের খনিজ উপাদান যুকরাষ্ট্রকে হস্তান্তর সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। সেই বৈঠকে ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য জেলেনস্কিকে আহ্বান জানান।

কিন্তু জেলেনস্কি ট্রাম্পের বক্তব্যের তাৎপর্য বুঝতে ব্যর্থ হন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। তার জবাবে বৈঠকে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স জেলেনস্কিকে বলেন যে তার কৃতজ্ঞতাবোধের অভাব রয়েছে। এভাবে এক-দুই কথায় বৈঠকের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে ট্রাম্প তার সহকারীদের মাধ্যমে জেলেনস্কিকে চলে যেতে বলেন। ফলে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির শুক্রবারের বৈঠক কার্যত পণ্ড হয়। সূত্র: এএফপি

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জেলেনস্কিকে পেটাননি ট্রাম্প, এটাই বিস্ময়ের: রাশিয়া

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির বৈঠক উত্তেজনা ও বাক-বিতণ্ডায় পণ্ড হওয়ার জন্য জেলেনস্কিকেই দায়ী করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেলেনস্কির কঠোর সমালোচনা করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, বৈঠকে জেলেনস্কি যে পরিমাণ ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছেন-তাতে তার গায়ে হাত তোলা থেকে বিরত থেকে সংযমের পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্প।

টেলিগ্রাম পোস্টে এ প্রসঙ্গে জাখারোভা বলেন, আমি মনে করি জেলেনস্কি এ পর্যন্ত যত মিথ্যে বলেছেন, সেসবের মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যে ছিল ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর সময় কিয়েভ একা ছিল এবং কেউ তার পাশে ছিল না।

যে হাত তাকে খাবার দেয়, সেই হাতেই কামড় দিতে উদ্যত হয়েছিলেন জেলেনস্কি। তার এই ঔদ্ধত্যের পরও ট্রাম্প এবং ভ্যান্স (মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স) তাকে শারীরিকভাবে আঘাত না করে যে সংযমের পরিচয় দিয়েছেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর।

জাখারোভার চেয়ে আরও একধাপ কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ফোরাম রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় মেদভেদেভ বলেন, এই প্রথম ট্রাম্প ওই কোকেন ক্লাউন (জেলেনস্কি)-এর মুখের ওপর সত্য কথা বলেছেন; তিনি বলেছেন যে কিয়েভ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে খেলছে। এই অকৃতজ্ঞ শূকরটি শূকরের খামারের মালিকদের হাতে রীতিমতো থাপ্পড় খেয়েছে।

তবে এটাই যথেষ্ট নয়। আমাদের অবশ্যই এই নাৎসী মেশিনকে সহায়তা প্রদান বন্ধ করতে হবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থার প্রধান নির্বাহী ইয়েভগেনি প্রিমাকভ এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, বৈঠকের সবকিছু সবাই দেখেছে। কিয়েভের স্বভাব প্রধান দিকটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সেখানে। আর সেটি হলো উসকানি, ঘৃণ্য উসকানি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ সংক্রান্ত সংলাপ ও ইউক্রেনের খনিজ উপাদান যুকরাষ্ট্রকে হস্তান্তর সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। সেই বৈঠকে ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য জেলেনস্কিকে আহ্বান জানান।

কিন্তু জেলেনস্কি ট্রাম্পের বক্তব্যের তাৎপর্য বুঝতে ব্যর্থ হন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। তার জবাবে বৈঠকে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স জেলেনস্কিকে বলেন যে তার কৃতজ্ঞতাবোধের অভাব রয়েছে। এভাবে এক-দুই কথায় বৈঠকের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে ট্রাম্প তার সহকারীদের মাধ্যমে জেলেনস্কিকে চলে যেতে বলেন। ফলে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির শুক্রবারের বৈঠক কার্যত পণ্ড হয়। সূত্র: এএফপি